রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মদীনায় আগমন ও আনসার (রাঃ) দের আনন্দ উৎসব – পর্ব ২
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মদীনায় আগমন ও আনসার (রাঃ) দের আনন্দ উৎসব – পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মুসলমানগণ সেখানে পূর্ব হইতেই নামায পড়িয়া আসিতেছিলেন। উক্ত যায়গাটি সোহাইল ও সাহল (রাঃ) নামক দুই এতীম বালকের মালিকাধীন তাহাদের খেজুর শুকাইবার স্থান ছিল। হযরত আসআদ যুরারা (রাঃ) এর তত্বাবধানে তাঁহারা লালিত পালিত হইতেছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উটনী সেখানে আসিয়া বসিয়া গেলে তিনি বলিলেন, ইনশাল্লাহ ইহাই মনযিল (অর্থাৎ অবস্থানের জায়গা হইবে)।
অতঃপর তিনি উক্ত দুই বালককে ডাকিয়া মসজিদে সেই জায়গা খরিদ করতে চাহিলেন। তাঁহারা বলিল, ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমরা এই জায়গা আপনাকে বিনা মুল্যে দান করিতেছি। কিন্তু তিনি তাহাদের নিকট হইতে দান হিসাবে লইতে রাজি হলেন না, বরং তাহাদের নিকট হইতে খরিদ করিয়া লইলেন এবং সেখানে মসজিদ নির্মান করিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং সাহাবা (রাঃ) দের সহিত নির্মাণ কাজে কাচা মাটির ইট বহন করতেছিলেন এবং এই কবিতা আবৃত্তি করিতেছিলেন–
هذا الحمال لا حمال خيبر
هذا ابر ربنا واطهر
অর্থাৎ এই (ইটের) বোঝা খাইবারের (খেজুর ও কিসমিসের) বোঝার মত নহে, হে আমাদের রব, ইহা তাহা অপেক্ষা উত্তম ও পবিত্র।
বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন মুসলমানের কবিতা আবৃত্তি করিয়াছেন, যাহার নাম আমার নিকট বর্ণনা করা হয় নাই। ইবনে শিহাব (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই কবিতা ব্যতীত আর কাহারো সম্পূর্ণ কবিতা আবৃত্তি করিয়াছেন বলিয়া আমরা হাদীদের মধ্যে কোথাও পাই নাই।
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন, আমিও ছেলেদের সহিত ছুটাছুটি করিতেছিলাম। সকলে বলিতেছিল, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আসিয়া গিয়াছেন। আমি দৌড়াইতেছিলাম ঠিকই কিন্তু কিছুই দেখিতে পাইতেছিলাম না।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মদীনায় আগমন ও আনসার (রাঃ) দের আনন্দ উৎসব – শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন