রাসূল (সাঃ)-এর হিজরত-শেষ পর্ব
রাসূল (সাঃ)-এর হিজরত-পর্ব ২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কাফেরগণ গর্তের মুখে যেয়ে যখন এ অবস্থা দেখল তারা বলল এ গুহায় কোন কিছু থাকতে পারে না। কারণ লোক যদি তাতে প্রবেশ করত তা হলে মাকড়সার জাল, কবুতরের ডিম কিছুই থাকতো না। এদিকে হযরত আবু বকর (রাঃ) কাফেরগণের পা দেখতেছেন এবং তা এমন পর্যায়ে যে, যদি তারা নিচের দিকে দৃষ্টি করে তাহলে অবশ্যই আবু বকর কে দেখে ফেলবে। তখন হযরত আবু বকর (রাঃ) অত্যন্ত ভীত হয়ে রাসূল (সাঃ) কে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এখন আর রক্ষা পাওয়ার কোন উপায় দেখা যায় না। এ বলে হযরত আবু বকর (রাঃ) ক্রন্দন করতে লাগলেন।
হযরত রাসূলে পাক (সাঃ) হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর ক্রন্দন দেখে তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, ভয় পেয়ো না, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন।
এ গুহায় হযরত আবু বকর (রাঃ) ছিলেন প্রথম ব্যক্তি এবং হযরত রাসূলে পাক (সাঃ)-ছিলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি। রাসূল (সাঃ)-এর দোসর হিসাবে তিনি বয়সে দ্বিতীয়, জানমাল কুরবানে দ্বিতীয়, ইসলাম গ্রহণে দ্বিতীয়, মৃত্যুতে দ্বিতীয় এবং রওজা শরীফের পার্শ্বে চির শায়িত হিসাবে রাসূল (সাঃ)-এর দ্বিতীয়।
তিন দিন তিন রাত্র এ সংকীর্ণ গুহায় হযরত মুহাম্মাদ তাঁর একমাত্র ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবু বকরকে নিয়ে অবস্থান করেন। হযরত আমেন বিন ফুহায়রা (রাঃ) রাত্রি বেলায় বকরীর দুধ গুহায় পৌঁছিয়ে বকরী নিয়ে বাড়ী ফিরতেন এবং আছমা (রাঃ) রাত্রের নিশিতে খাদ্য সরবরাহ করতেন এবং হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর পুত্র আবদুল্লাহ দিনের বেলায় কাফেরগণের আলাপ আলোচনা শুনে রাত্রিকালে গুহায় যেয়ে রাসূল (সাঃ)-কে অবগত করাতেন এবং সেখানে তিনি রাত্রি যাপন করতেন। তিনি তখন অত্যন্ত অল্প বয়সের শিশু ছিলেন।