রাজাল ইবনে দোজখী হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী

রাফে, ইবনে খাদীজ (রাঃ) বর্ণনা করেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) উপস্থিত সকলকে বললেনঃ দোযখে তোমাদের মধ্যে থেকে এক লোকের চোয়ালের দু’পাশের দাত ওহোদ পাহাড়ের সমান হবে। হযরত আবূ হোরায়রা (রাঃ) বলেন, আমিও ঐ মজলিসে উপস্থিত ছিলাম। পরবর্তীতে ঐ মজলিসে একে একে সকলেই ইন্তেকাল করলেন। তাহাদের কাউকেই দোজখী বলে মনে হল না।) তবে এক ব্যক্তি ছিল সে ইসলাম ত্যাগ করে ইয়ামামার যুদ্ধে প্রাণ হারায়।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ভবিষ্যদ্বাণীতে ঐ ব্যক্তির প্রতিই ইশারা করা হয়েছিল। (তাবরানী)

নাসীমূর রিয়াজ গ্রন্থে ইয়ামামার অধিবাসী ঐ ব্যক্তির নাম ছিল রাজাল ইবনে উনকূয়াহ। সে বনু হানাফিয়ার প্রতিনিধি দলের সাথে ইসলাম গ্রহণ করে কোরআন পাঠ শিখে। কিন্তু পরবর্তীতে মুসায়লামা কাজ্জাব নবূওয়তের দাবী করলে সে ইসলাম ত্যাগ করে তাঁর উপর ইমাম আনে। অতঃপর মুসায়লামার সাথে মুসলিম বাহিনীর যুদ্ধ বাধলে এ ব্যক্তির মুসায়লামার পক্ষে যুদ্ধ করতে করতে হযরত যায়েদ বিন খাত্তাবের হাতে নিহত হয়ে জাহান্নামের নিক্ষিপ্ত হয়।

(তাবরানি)

আরো পড়তে পারেন...

কয়েকটি বিশেষ ধরনের বেদআত

হযরত মাওলানা মুহেব্বুদ্দিন ছিলেন হাজী এমদাদুল্লাহ মক্কী (রহঃ)-এর খলীফা। তিনি কাশফওয়ালা বুযুর্গ ব্যক্তি ছিলেন। একদিন…

মানুষ বেশে জিব্রাইল

হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আমরা রাসূল করীম (সাঃ) এর দরবারে বসা ছিলাম। হঠাৎ…

মুসলিম পরিচয় প্রদানকারী কয়েকজন দুবৃত্ত সম্পর্কে আগাম সতর্কবাণী

হযরত আবু ছাইদ খদরী (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সম্মুখে উপস্থিত ছিলাম। রাসূলুল্লাহ…

রাজাল ইবনে দোজখী হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী

রাফে, ইবনে খাদীজ (রাঃ) বর্ণনা করেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) উপস্থিত সকলকে বললেনঃ দোযখে তোমাদের মধ্যে থেকে এক লোকের চোয়ালের দু’পাশের দাত ওহোদ পাহাড়ের সমান হবে। হযরত আবূ হোরায়রা (রাঃ) বলেন, আমিও ঐ মজলিসে উপস্থিত ছিলাম। পরবর্তীতে ঐ মজলিসে একে একে সকলেই ইন্তেকাল করলেন। তাহাদের কাউকেই দোজখী বলে মনে হল না।) তবে এক ব্যক্তি ছিল সে ইসলাম ত্যাগ করে ইয়ামামার যুদ্ধে প্রাণ হারায়।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ভবিষ্যদ্বাণীতে ঐ ব্যক্তির প্রতিই ইশারা করা হয়েছিল। (তাবরানী)

নাসীমূর রিয়াজ গ্রন্থে ইয়ামামার অধিবাসী ঐ ব্যক্তির নাম ছিল রাজাল ইবনে উনকূয়াহ। সে বনু হানাফিয়ার প্রতিনিধি দলের সাথে ইসলাম গ্রহণ করে কোরআন পাঠ শিখে। কিন্তু পরবর্তীতে মুসায়লামা কাজ্জাব নবূওয়তের দাবী করলে সে ইসলাম ত্যাগ করে তাঁর উপর ইমাম আনে। অতঃপর মুসায়লামার সাথে মুসলিম বাহিনীর যুদ্ধ বাধলে এ ব্যক্তির মুসায়লামার পক্ষে যুদ্ধ করতে করতে হযরত যায়েদ বিন খাত্তাবের হাতে নিহত হয়ে জাহান্নামের নিক্ষিপ্ত হয়।

(তাবরানি)