যুলকারনাইনের উত্থান
যুলকারনাইন এক আশ্চার্যজনক দিগ্বীজয়ী বীরের আসনে অধিষ্ঠত হয়েছিলেন। তার জন্মের পূর্বেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। এমনকি তার নানা সে যড়যন্ত্রের প্রধান নেতা ছিল। কিন্তু আল্লাহর মেহেরবানীতে তিনি সে ষড়যন্ত্রের কারাল ছোবল হতে এক বিশ্বয়কর উপায়ে রক্ষা পেয়েছিল। প্রথম জীবনে তিনি বনে-জঙ্গলে, পাহাড়-পর্ব্বতে লুকিয়া জীবন রক্ষা করে ছিলেন।
সেখান থেকে নিজের জীবনকে এমনভাবে গড়ে তোলেন যে, দুনিয়ার এক অসাধারণ ব্যাক্তিত্বে পরিণত হন। পরে তিনি জনসমক্ষে প্রকাশ হয়ে পড়েন। জনসাধারণ তার অনুপত্র চরিত্র ও স্বভাব এবং অসাধারণ ব্যক্তিতে মুগ্ধ হয়ে তার সমর্থক হয়ে পড়ল।
এবং শেষ পর্যন্ত তারা তাকে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করল। সিংহাসনে আরোহণের পর থেকে তার বিজয়ের পালা শুরু হয়। একের পর এক দেশ জয় শুরু করেন। তার দেশ জয় করার পিছনে উদ্দেশ্যে ছিল জনসাধারণকে অত্যাচারো শাসক চক্রের অত্যাচার হতে মুক্তি দেয়া।
কিন্তু তার এ বিজয় অত্যাচারী ও দুর্ধুর্ষ ব্যক্তিদের ন্যায় রক্তারক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়নি। এবং মানবতা ও উত্তম চরিত্রবলীর প্রভাবে সম্পন্ন হয়েছিল।
কোরআনে যুলকারনাইন এ বিস্ময়কর উত্থানের দিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন-
অর্থঃ আমি তাকে দুনিয়ার বুকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছিলাম এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু দিয়েছিলাম।
আল্লাহ কাউকে উন্নতি ও সাফল্য দিতে চাইলে নিজের প্রতি সম্পর্কিত করেন আর এর দ্বারা উন্নতি ও সফলতাকে আল্লাহ পাকের বিশেষ অনুগ্রহ বলে বুঝানো হয়। যেমন আল্লাহ হযরত ইউসুফ (আঃ) পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন-
অর্থঃ অনুরূপভাবে আমি ইউসুফকে দুনিয়ার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছিলাম।
এ সম্পর্কে পরে বিস্তারিত আলোচনা আসবে। অনুরূপভাবে প্রতিকুল অবস্থার ভিতর দিয়েও আল্লাহ যুলকারনাইনকে সমগ্র দুনিয়ার অধিপতি করেছিলেন।
এমন কি আল্লাহ তাকে পৃথিবীর এক প্রান্ত হতে ওপর প্রান্ত ভ্রমন করার ও দেশজয় করার সর্ব প্রকার প্রয়োজনীয় সামগ্রী, জ্ঞান, বুদ্ধি এবং বিভিন্ন ভাষায় কথা বলার ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন।