মেসওয়াক করার একটি ঘটনা
বর্তমানে সব রকমের টুথপেস্ট ফ্লোরাইড মেশানো হয়। অথচ বিজ্ঞানের মতে মেসওয়াকের মাধ্যমে নাচ্যারাল ফ্লোরাইড পাওয়া যায়। দাঁতের জন্য এ ফ্লোরাইড হচ্ছে মহৌষধ। একজন নওমুসলিমের সাথে কথা হচ্ছিল। তার ইসলাম গ্রহণের কারণ জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, দাঁতে এবং দাঁতের মাড়িতে আমার দূরারোগ্য রোগ হয়েছিল। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি, চিকিৎসা নিয়েছি, কিন্তু কোনো উপকার পাইনি। আমেরিকার বিশিষ্ট চিকিৎসকের বোর্ড বসে কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
মার্কিন নাগরিক হওয়ার কারণে তারাও আমার সমস্যাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তারা ঔষধ দিলেন। ঔষধ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। পথে একজন মুসলমান বন্ধুর সাথে আমার দেখা হলো। সে গাড়ি চালিয়ে আসছিল। দু’জনে গাড়ি থামিয়ে কথা বললাম, কুশল বিনিময় হলো। বন্ধু আমাকে একদল মুসলমানের কাছে নিয়ে গেল যারা আমেরিকায় ইসলাম প্রাচারের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। নামাযের সময় হলে সব মুসলমান লাকড়ির মেসওয়াক নিলো এবং ব্যবহার করতে বললো।
আমি তাঁদের সাথে কয়েক দিন অবস্থান করলাম। এ সময় নিয়মিত লাকড়ির টুকরো মেসওয়াক ব্যবহার করেছিলাম। আটদিন মেসওয়াক করার ফলে আমার দাঁতের এবং মাড়ির রোগ যথেষ্ট কমে গেল। চিকিৎসা বোর্ডের কাছে গেলাম রোগের উল্লেখ্যযোগ্য নিরাময় হওয়ার কথা জানালাম, তারা খূশী হলেন যে, তার ব্যবস্থা সুফল পাওয়া গেছে।
আমি তাঁদের দেয়া সব ঔষধ টেবিলের উপর রাখলাম। তারা অবাক হয়ে বললেন, কি ব্যাপার তোমার রোগ কীভাবে নিরাময় হলো। আমি তখন কাঠের সেই মেসওয়াক বের করে দেখালাম। ডাক্তারদের বিষ্ময়ের অবধি রইল না। তারা সেই মেসওয়াক ছুবি তুলে রাখলেন এবং সেই মেসওয়াক নিয়ে অধিকতর গবেষণা করার কথা জানালেন।