মে’রাজের বিবরণ-শেষ পর্ব
মে’রাজের বিবরণ-৪র্থ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তারপর হযরত ঈসা (আঃ) দাঁড়িয়ে আল্লাহর প্রশংসা করতঃ বললেন, সমস্ত প্রশংসা জাতে পাক আল্লাহর জন্য যিনি আমাকে কুন কালেমা দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। আমাকে আদম (আঃ)-এর সাদৃশ্য করেছেন। আমাকে লিখন, হেকমত, তাওরাত ও ইঞ্জিলের এলেম দান করেছেন। আমাকে মাটি দ্বারা পাখী তৈয়ার করে তাতে ফুঁক দিয়ে প্রাণ সঞ্চার করার শক্তি প্রদান করেছেন। জন্মাদ্ধ ও শ্বেতকুষ্ঠ রোগীকে আরোগ্য করার এবং মৃত্যুকে জীবিত করার শক্তি প্রদান করেছেন। আমাকে এবং আমার মাতাকে শয়তান হতে আশ্রয় দিয়েছেন। ফলে শয়তান আমাদের উপর কোন প্রকার প্রভাব বিস্তার করতে নি।
অবশেষে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর প্রশংসা পাঠ করে বললেন, আপনারা সকলে আল্লাহর প্রশংসা পাঠ করেছেন, আমিও আল্লাহর প্রশংসা পাঠ করছি। সমস্ত প্রশংসা সেই পাক জাতের যিনি আমাকে রাহমাতুল্লিল আলামীন করেছেন। সমগ্র মানব জাতির জন্য বেহেশতের সুসংবাদ দাতা দোযখের ভয় প্রদর্শক করে প্রেরণ করেছেন। আমার উপর কুরআন নাজিল করেছেন, যার মধ্যে যাবতীয় বিষয়ের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। আমার উম্মতকে সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত করেছেন। মানুষের মঙ্গলের জন্য তাদের অভ্যুদয় হয়েছে। আমার উম্মতকে মর্যাদার দিক দিয়ে সর্বপ্রথম এবং প্রকাশের দিক দিয়ে সর্বপ্রথম উম্মত করেছেন। আমাকে নূরের জগতে সর্বপ্রথম এবং আবির্ভাব সর্বপ্রথম করেছেন। আমার জিকির বুলন্দ করেছেন।
সর্বপ্রথম হজরত ইব্রাহীম (আঃ) সকলকে লক্ষ্য করে বললেন, এ সময় কামালাতের কারণে চেয়ে শ্রেষ্ঠ। তারপর সমস্ত নবীগণ নিজ নিজ স্থানে চলে যান। মজলিশে ভঙ্গ হয়ে গেল। সামনে আছে আসমানের সফর। তখন রাসূল (সাঃ)-এর পিপাসা হল। তার সামনে তিনটি পেয়ালা মতান্তরে চারটি পেয়ালা উপস্থিত করা হল। এক পেয়ালাতে মদ এবং আর এক পেয়ালাতে পানি।
কিন্তু বোখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফের বর্ণনায় আছে মাত্র দুটি পেয়ালা হযরত জিব্রাইল (আঃ) তার সামনে পেশ করেছিলেন। একটিতে দুদ্ধ এবং অপরটিকে শরাব।
হযরত রাসূলে পাক (সাঃ) দুধের পেয়ালা উঠিয়ে পান করলেন। জিব্রাইল বললেন, আপনি সঠিক পথের সন্ধান পেয়েছেন। যদি আপনি শরাবের পেয়ালা পান করতেন তা হলে আপনার উম্মত গোমরাহ হয়ে যেত।