মুহাজিরদের জন্য আনসারদের অর্থ-সম্পদ দ্বারা সহানুভূতি – শেষ পর্ব
মুহাজিরগণও (আত্মত্যাগের খাতিরে) ডালপালাবিহীন ভাগ, যাহা দেখিতে কম মনে হয়, গ্রহণ করিতেন। অথচ সেই ভাগেই বেশী হইত। এইভাবে আনসারীর ভাগে ডালপালা মিশ্রিত ভাগ পড়িত। যাহা দেখিতে বেশী মনে হইলেও প্রকৃতপক্ষে কম হইত। খাইবার বিজয় পর্যন্ত তাহাদের মধ্যে এই রীতি চলিতেছিল। খাইবার বিজয়ের পর রাসূল (সাঃ) আনসারদিগকে বলিলেন, আমাদের নুসরত ও সাহায্যের যে হক তোমাদের উপর ছিল তাহা তোমরা পূর্ণরূপে আদায় করিয়া দিয়াছ। এখন তোমরা চাহিলে এরূপ করিতে পার যে, খাইবার হইতে তোমাদের প্রাপ্য অংশ খুশী মনে মুহাজিরদিগকে দিয়া দাও এবং (মদীনার বাগানের) সমস্ত ফল তোমরা রাখ। সেখান হইতে মুহাজিরদিগকে আর কিছুই দিও না। এইভাবে মদীনার সম্পূর্ণ তোমাদের হইবে এবং খাইবারের সমস্ত ফল মুহাজিরদের হইবে।
আনসারগণ বলিলেন, আমরা ইহা সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহণ করিলাম। তবে আপনি আমাদের উপর কিছু কাজের ভার দিয়া দিয়াছিলেন এবং আমাদের ব্যাপারে আপনি দায়িত্ব গ্রহণ করিয়াছিলেন যে, (এই সকল কাজের বিনিময়ে) আমরা বেহেশত লাভ করিব। আমাদের উপর যে কাজের ভার দিয়াছিলেন আমরা তাহা পূর্ণ করিয়াছি এখন আমরা আমাদের জিনিস পাইতে চাই। রাসূল (সাঃ) বলিলেন, তোমাদের বেহেশত তোমরা অবশ্যই লাভ করিবে।
হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, নবী কারীম (সাঃ) আনসারদিগকে বাইরাইনের জমীন দিবার জন্য ডাকিলেন। আনসারগণ বলিলেন, আমরা বাহরাইনের জমীন তখন গ্রহণ করিব যখন আপনি সমপরিমাণ জমীন আমাদের মুহাজির ভাইদিগকেও দিবেন। নবী কারীম (সাঃ) বলিলেন, তোমরা
যদি তাহাদিগকে বাদ দিয়া জমীন লইতে না চাও তবে কিয়ামতের দিন হাউজে কাওসারের নিকট আমার সহিত সাক্ষাৎ পর্যন্ত সবর করিতে থাকিও। কারণ আমার পর তোমাদের উপর অগ্রাধিকার দেওয়া হইবে।
সূত্রঃ হায়াতুস সাহাবা
মুহাজিরদের জন্য আনসারদের অর্থ-সম্পদ দ্বারা সহানুভূতি – প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন