মিসওয়াকের ধর্মীয় এবং বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব সমুহ

মিসওয়াকের ধর্মীয় এবং বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব সমুহ

মিসওয়াক করা সুন্নত। উলামায়ে কেরামের মতে, মিসওয়াকের অভ্যাস করার মধ্যে যে সকল উপকার রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ‘মৃত্যুর সময় কালেমা শাহাদাত নসীব হয়।’

হযরত আবু দারদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেছেন, ‘তোমরা মিসওয়াক করা থেকে উদাসীন হয়ো না; কেননা এতে বহু গুণ রয়েছে।’

তন্মধ্যে শ্রেষ্ঠ গুণগুলি হলো:
১। এর দ্বারা আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জন হয়।
২। নামাজের আগে মিসওয়াক করলে নামাজের ফজিলত ৭৭ গুণ বৃদ্ধি পায়।
৩। সচ্ছলতা বয়ে আনে।
৪। মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
৫। দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়।
৬। মাথা ব্যথা দূর হয়।
৭। দাঁতের পীড়া-ব্যথা দূর হয়।
৮। ফেরেশতারা নূরানী চেহারায় মুসাফাহা (হ্যান্ডশেক) করেন।
৯। দাঁতের শুভ্রতা ও উজ্জ্বলতা বাড়ে।
১০। মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকে।
১১। দাঁত শক্ত থাকে।
১২। দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
১৩। পাকস্থলী কর্মক্ষম থাকে।
১৪। শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়।
১৫। বাকশক্তি সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়।
১৬। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
১৭। অন্তর পরিচ্ছন্ন হয়।
১৮। নেকী বৃদ্ধি পায়।
১৯। মিসওয়াককারী ব্যক্তি বিজলির ন্যায় পুলসিরাত পার হয়ে যাবে।
২০। শরীর ইবাদতের উপযোগী হয়।
২১। শরীরের অতিরিক্ত তাপ দূর হয়ে যায়।
২২। সর্বপ্রকার ব্যথা দূর হয়।
২৩। পিঠ মজবুত হয়।
২৪। জ্বর কমে যায়।
২৫। পাকস্থলী ঠিক থাকে।
২৬। দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়।
২৭। কণ্ঠ সুন্দর হয়।
২৮। জিহ্বা তেজস্বী হয়।
২৯। শরীরের অতিরিক্ত আর্দ্রতা দূর হয়।
৩০। জান্নাতের দরজা উন্মুক্ত হয়।
৩১। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সন্তুষ্টি বজায় থাকে।
৩২। সন্তানরা নেক ও শালীন হয়।
৩৩। ফেরেশতারা মিসওয়াককারীকে দেখে বলেন, ‘এই ব্যক্তি নবীগণের অনুসারী।’
৩৪। জাহান্নামের দরজা তার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
৩৫। মৃত্যুর সময় ফেরেশতারা নবীগণের মতো আকৃতিতে আসেন।
৩৬। আল্লামা জালাল উদ্দিন সুয়ূতি (রাহঃ) শরহুস সুদুর গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, মিসওয়াকের বরকতে মৃত্যুর সময় আত্মা সহজে বের হয়।
৩৭। ভাষা সুন্দর হয়।
৩৮। মৃত্যুর সময় কালিমায়ে শাহাদাত নসীব হয়।
৩৯। চুলের গোড়া শক্ত হয়।
৪০। মুখের জড়তা, তোতলামি ও বাকরুদ্ধতা দূর হয়।
৪১। যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৪২। হযরত আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, মিসওয়াক ধীশক্তি বাড়ায়।
৪৩। কাশি দূর হয়।
৪৪। যার মাথায় বা শরীরে পশম নেই, মিসওয়াক করলে তার শরীরে ও মাথায় চুল গজায়।
৪৫। শরীরের রং উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় হয়।
৪৬। শয়তানের ওয়াসওয়াসা দূর হয়।
৪৭। সহবাসে অধিক শক্তি লাভ হয়।
৪৮। চেহারা সুন্দর হয়।
৪৯। দাঁতের হলুদ বর্ণ দূর হয়ে দাঁত ধবধবে সাদা ও উজ্জ্বল হয়।
৫০। চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৫১। জান্নাতে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।

ইমাম তিরমিজি ও ইমাম হাকেম বলেছেন, মিসওয়াক করার সময় প্রথম বারের লালা গিলে ফেলতে হবে। কেননা এতে কুষ্ঠ রোগ থেকে বাঁচা যায় এবং মৃত্যু ছাড়া অন্যান্য রোগ থেকেও মুক্তি মেলে। তবে প্রথম বারের পর আর গিলে ফেলবে না, কারণ এতে স্মৃতিশক্তি কমে যায়।

মিসওয়াকের ধর্মীয় এবং বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব সমুহ

ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার প্রতীক রাসুল (সা)

একটি শিক্ষণীয় ঘটনা

একটি শিক্ষণীয় ঘটনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *