মহান আল্লাহর নামের বরকতে ৬ মাসে নির্বাপণযোগ্য আগুন ১১ দিনে নিয়ন্ত্রণের ঘটনা

পাকিস্তানের সব মানুষ জানেন উজড়ি ক্যাম্পের আগুন কেমন ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল। সেই আগুনে পুড়ে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। পাকিস্তান সরকার আগুন নেভানোর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বিদেশী টিমের সাহায্য চাইল। বিদেশী টিম ৬ মাস সময় চাইল। তারা শর্ত আরোপ করল যে, আগুন নেভানোর সময় রাওয়াল পিন্ডি এবং ইসলামাবাদ উভয় শহর থেকে সব মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপণ কাজে নিয়োজিতদের পরিধানের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত কে আইটি পোশাক আমদানী করতে হবে।

এসব কথা শোনার পর পাকিস্তানের একজন ইমানদার আর্মি জেনারেল একটি বিশেষ টিম তৈরি করলেন। সেই টিমের সদস্যদের সব সময় মহান আল্লাহর যিকির করতে বলা হল। জেনারেল সাহেব আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিচ্ছিলেন এবং আগুন নিভানোর কাজ করছিলেন। এতো বিরাট অগ্নিকুণ্ড মাত্র ১১ দিনে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হল। আলহামদুলিল্লাহ। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য নিবেদিত।

আয়াতুল কুরসির বরকতে আমি জ্বীনের হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। অনেকবার শুনেছি চোরের চুরি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আয়াতুল কুরসি পড়া বিশেষ উপকারী। সাউদি আরবের বারিদায় চাকরি করার সময়ে দোতলা ফ্লাটের মত একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। নতুন তৈরি এ বিল্ডিং ছিল খালি। বড় রাস্তার পাশে অবস্থিত এর নিচ তালায় আমি ক্লিনিক স্থাপন করলাম এবং দোতলায় থাকার ব্যবস্থা করলাম।

বিল্ডিং এর নিচ তলায় ৩ টি, দোতলায় ৩ টি কামরা ছিল। একটি কামরা দরজার বাইরের থেকে খোলা যেত। সেখানে ছিল একটি বাবুর্চি খানা এবং গোসল খানা। এ ছাড়া যে কামরা বাইরে খোলা যেত সে কামরা খালি পড়ে থাকতো। মাঝখানের কামরায় আমি থাকতাম। আর শেষ দিকের কামরাকে ড্রয়িং রুম হিসাবে ব্যবহার করতাম।

একদি মাছ রান্না করলাম। প্লেটে মাছ রেখে বাজারে রুটি কিনতে গেলাম। রুটি নিয়ে এসে দেখি প্লেটে মাছ নেই। গোসলখানায় গায়ে সাবান মাখানোর সময় হঠাৎ আমার মনে সন্দেহ জাগলো যে, আমি ছাড়াও এই ভবনে অদৃশ্য কেউ বসবাস করে। আমি সব সময় যিকির করতাম এবং দুরুদ পড়তাম। এ কারণে আমার মনে কোন প্রকার ভয়ের উদ্রেক হত না। মনে থাকতো শান্তি। কোন টেনশন অনুভব করতাম না। এক রাতে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে বাইরে থেকে বন্ধ কামরার দরজা খুলে গেল। আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। বছর দশেকের একটি বালক ক্রদ্ধভাবে আমার দিকে এগিয়ে আসছিল। আমি জোরে জোরে আয়াতুল কুরছি পাঠ করতে লাগলাম।

আমার নিকট থেকে দুই গজ দূরে এসে বালক হঠাৎ বাম দিকে ঘুরে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছিল। আমি তাকে ধরার জন্য দ্রুত এগুলাম। কিন্তু দরজার কাছে গিয়ে দেখি সেখানে কেউ নেই। দরজা বন্ধ ছিল এবং তালার চাবি ছিল আমার কাছে। এ ঘটনার পর আমি সতর্ক হয়ে গেলাম। আয়াতুল কুরছি পড়ে ছাদের উপর শুয়ে থাকতাম। আমার কোন ক্ষতি হত না। কয়েক মাস পর হাসপাতালের কোয়ার্টরে চলে গেলাম।

আমি চলে আসার পর একজন সিরীয় ডাক্তার সেই ভবন ভাড়া নিলেন। একদিন সেই ডাক্তার ডিউটিতে এলেন না। হাসপাতালের বেয়ারাকে খবর নেওয়ার জন্য পাঠালেন। দেখা গেল, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ, ডাক্তার আহত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে চিৎকার করছেন। তার সব জিনিস পত্র ভেঙ্গে চুরমার করা হয়েছে।

সিরীয় ডাক্তার বললেন, একটি বালক তাকে প্রচণ্ড মেরেছে। বালক ছিল তার চেয়ে শক্তিশালী। পরবর্তীকালে সেই ভবন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেল।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।