মসজিদে নববী- পর্ব ১
মক্কায় যে সূর্য উদয় হয়েছিল, সে সূর্য এখন মদীনায় আলো বিস্তার করতে আরম্ভ করল। মক্কার সূর্য গগনে দৃষ্ট হতে লাগল এবং মদীনায়ই সে সূর্য অস্তমিত হল। মদীনায় আগমনের প দলে দলে লোকজন সরকারে দো-আলমের দরবারে উপস্থিত হতে লাগল। নামাজের বিশেষ অসুবিধা দেখা দিল। বনী নাজ্জারের কিছু পতিত স্থান আবু আইয়ুবের গৃহের পার্শ্বেই ছিল।
সহল ও সোহাইল নামক দু’জন এতীম ঐ জমির মালিক ছিল এবং তার সঙ্গেই আসাদ বিন জায়ারের একখণ্ড জমি ছিল। আসাদ তাঁর অংশ মসজিদের জন্য দান করে দিলেন। কিন্তু রাসূল (সাঃ) তাদের দান গ্রহণ করলেন না। তাদেরকে দশ দিনার মূল্য দিয়ে ঐ স্থান গ্রহণ করলেন। হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) ঐ মূল্য পরিশোধ করেছিলেন। সে স্থানে অনেক গাছপালা, বহুগর্ত এবং মুশরিকদের কবর ছিল।
রাসূল (সাঃ)-এর আদেশে গাছপালা কাটা হল। মুশরিকদের অস্থিপঞ্জর এলে দূর করা হল এবং গর্তসমূহ ভরাট করে সমান করা হল। প্রস্তর দ্বারা তার দেয়াল নির্মিত হল এবং খেজুর পাতা দ্বারা ছাউনী দেয়া হল। মসজিদ খুব নিচু ছিল। ভিতরে প্রবেশের সময় ছাউনী মস্তকে স্পর্শ সাহাবাদের সঙ্গে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) পাথর বহন করে এনেছিলেন।
হযরত আম্মার (রাঃ) দুটি করে প্রস্তর বহন করতেন। রাসূল (সাঃ) তাঁকে লক্ষ্য করে বললেন- সকলের একটি করে সওয়াব এবং আম্মারের দুটি করে সওয়াব একবার তারা আম্মারকে তিনটি পাথর দিলেন। আম্মার অনেক কষ্টে তা যথাস্থানে পৌঁছালেন এবং বললেন, তাঁরা আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। এ কথা শুনে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বললেন, তোমাকে তারা হত্যা করবে না বরং তোমাকে বিদ্রোহীরা হত্যা করবে। এ কথা শুনে হযরত আম্মার (রাঃ) বললেন, আমি ফেতনা হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।