মনে হয় না কোন পাপ করেছি জীবনে

হযরত কাবুল আহবান (রহঃ) বলেন, হযরত মূসা (আঃ) এর  জামানায় একবার দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে লোকেরা তাকে বৃষ্টির নামায পড়তে অনুরোধ করল। তিনি বললেন, তোমরা সবাই  আমার সাথে অমুক পাহাড়ে চল। হযরত মূসা (আঃ) এর আদেশমত সবাই তাঁর সাথে পাহাড়ে উঠল। এবার তিনি সবাইকে লক্ষ্য করে ঘোষনা দিলেন, এমন কোন ব্যক্তি এখানে থাকতে পারে না যে ব্যক্তি জীবনে কোন পাপ করেছে।

হযরত মূসা (আঃ) এর ঘোষনার পর একে একে সবাই ঐ স্থান ত্যাগ করল। অবেশেষে দেখা গেল সবাই চলে যাওয়ার পর এক ব্যক্তি সেখানে বসে রইল। লোকটির এক চোখ অন্ধ। মূসা (আঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি আমার ঘোষনা শুনতে পাওনি? লোকটি উত্তর দিল, হ্যাঁ শুনেছি। তিনি পূনরায়  জিজ্ঞেস করলেন। তুমি কি জীবনে কোন পাপ করনি? কোন গুনাহের কথা আমার মনে পড়ছে না। তবে একটি ঘটনার ব্যাপারে আমার সন্ধেহ আছে। যদি তাহা গুনাহ হয়। তাহলে আমি ফিরে যাব।

অতঃপর সে ঐ ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলল, একবার আমি কোথাও যাচ্ছিলাম। পথের পাশে একটি ঘরের দরজা ছিল খোলা। অতঃপর সে তাঁর অন্ধ চোখটির দিকে ইশারা করে বলল, হঠাৎ আমার এ চক্ষু দ্বারা ঘরের ভেতর একটি মানুষ  দেখতে পাই। কিন্তু তা এত অল্প সময়ের জন্য যে আমি বুঝতে পারিনি।

ঐ লোকটি পুরুষ ছিল না মহিলা। ঘটনার পর আমি আমার এই চক্ষুটিকে লক্ষ্য করে বললাম, আমার  দেহের অঙ্গ সমূহের মধ্যে তুমিই সর্বপ্রথম গুনাহ করলে। সুতরাং তোমার আর আমার দেহে সংশ্লিষ্ট থাকার প্রয়োজন  নেই। 

এ বলেই আমি নিজ হাতে চক্ষুটিকে উফড়ে ফেলি।  যাই হোক, ঐ গৃহের দিকে তাকানো যদি আমার অপরাধ হয়ে থাকে তবে এক্ষুণি চলে যাব।

হযরত মূসা (আঃ) বললেন, এতে তোমার কোন অপরাধ হয়নি। অতঃপর তিনি লোকটিকে বললেন, তুমি আল্লাহর নিকট বৃষ্টির জন্য দোয়া কর। হযরত মূসা (আঃ) এর হুকুমে সে দোয়া করল। তোমার নিকট যা আছে তা কখনো শেষ হবে না। তোমার ভান্ডার ফুরাবার মত নয়। আর না তুমি কৃপণতাঁর দোষে অভিযুক্ত হতে পার। সুতরাং তোমার খাস রহমত দ্বারা এ মূহুর্তে বৃষ্টি বর্ষণ কর। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তাঁরা ঐ স্থান হতে বৃষ্টির পানিতে ভিজেই প্রত্যাবর্তন করেন।

আরো পড়তে পারেন...

অপু ও ফলচুরি রহস্য

মহানগরের কোলাহলের মাঝে, ব্যস্ত জনপথের কিছুটা দূরে একফালি সবুজ ল্যান্ডস্কেপ । সদ্য গড়ে ওঠা আবাসন…

ভালুক ও কাঠবিড়ালী

কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘খুকি ও কাঠবিড়ালী’ কবিতাটি কম-বেশি সবাই পড়েছে। এ কবিতাটির কারণেই ছোট্ট…

গাজা দিবস

শিশু-কিশোর বন্ধুরা, কেমন আছো তোমরা? আশা করি যে যেখানে আছো ভাল ও সুস্থ আছো। তোমরা…

মনে হয় না কোন পাপ করেছি জীবনে

হযরত কাবুল আহবান (রহঃ) বলেন, হযরত মূসা (আঃ) এর  জামানায় একবার দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে লোকেরা তাকে বৃষ্টির নামায পড়তে অনুরোধ করল। তিনি বললেন, তোমরা সবাই  আমার সাথে অমুক পাহাড়ে চল। হযরত মূসা (আঃ) এর আদেশমত সবাই তাঁর সাথে পাহাড়ে উঠল। এবার তিনি সবাইকে লক্ষ্য করে ঘোষনা দিলেন, এমন কোন ব্যক্তি এখানে থাকতে পারে না যে ব্যক্তি জীবনে কোন পাপ করেছে।

হযরত মূসা (আঃ) এর ঘোষনার পর একে একে সবাই ঐ স্থান ত্যাগ করল। অবেশেষে দেখা গেল সবাই চলে যাওয়ার পর এক ব্যক্তি সেখানে বসে রইল। লোকটির এক চোখ অন্ধ। মূসা (আঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি আমার ঘোষনা শুনতে পাওনি? লোকটি উত্তর দিল, হ্যাঁ শুনেছি। তিনি পূনরায়  জিজ্ঞেস করলেন। তুমি কি জীবনে কোন পাপ করনি? কোন গুনাহের কথা আমার মনে পড়ছে না। তবে একটি ঘটনার ব্যাপারে আমার সন্ধেহ আছে। যদি তাহা গুনাহ হয়। তাহলে আমি ফিরে যাব।

অতঃপর সে ঐ ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলল, একবার আমি কোথাও যাচ্ছিলাম। পথের পাশে একটি ঘরের দরজা ছিল খোলা। অতঃপর সে তাঁর অন্ধ চোখটির দিকে ইশারা করে বলল, হঠাৎ আমার এ চক্ষু দ্বারা ঘরের ভেতর একটি মানুষ  দেখতে পাই। কিন্তু তা এত অল্প সময়ের জন্য যে আমি বুঝতে পারিনি।

ঐ লোকটি পুরুষ ছিল না মহিলা। ঘটনার পর আমি আমার এই চক্ষুটিকে লক্ষ্য করে বললাম, আমার  দেহের অঙ্গ সমূহের মধ্যে তুমিই সর্বপ্রথম গুনাহ করলে। সুতরাং তোমার আর আমার দেহে সংশ্লিষ্ট থাকার প্রয়োজন  নেই। 

এ বলেই আমি নিজ হাতে চক্ষুটিকে উফড়ে ফেলি।  যাই হোক, ঐ গৃহের দিকে তাকানো যদি আমার অপরাধ হয়ে থাকে তবে এক্ষুণি চলে যাব।

হযরত মূসা (আঃ) বললেন, এতে তোমার কোন অপরাধ হয়নি। অতঃপর তিনি লোকটিকে বললেন, তুমি আল্লাহর নিকট বৃষ্টির জন্য দোয়া কর। হযরত মূসা (আঃ) এর হুকুমে সে দোয়া করল। তোমার নিকট যা আছে তা কখনো শেষ হবে না। তোমার ভান্ডার ফুরাবার মত নয়। আর না তুমি কৃপণতাঁর দোষে অভিযুক্ত হতে পার। সুতরাং তোমার খাস রহমত দ্বারা এ মূহুর্তে বৃষ্টি বর্ষণ কর। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তাঁরা ঐ স্থান হতে বৃষ্টির পানিতে ভিজেই প্রত্যাবর্তন করেন।