বিসমিল্লাহর বিস্ময়কর ক্ষমতা-পর্ব ১
বর্ণনায় হযরত ইবনু ওমর (রাঃ) একবার ওমর বিন খত্তাব (রাঃ) নিজেদের মধ্যে কুরআনের ফাজায়েল সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। তাদের মধ্যে একজন বলেন, সূরা বারাআত- এর শেষাংশ সর্বোত্তম। আরেকজন বলেন, কা-ফ-হা-ইয়া-আইন-সোয়াদ ও ত্ব-হা সর্বোত্তম। এভাবে প্রত্যেক আপন আপন জানা তথ্য অনুসারে বিভিন্ন উক্তি ব্যক্ত করেন।
ওদের মধ্যে হযরত ওমর বিন মাঅদী কারব আয-যুবাইদী (রাঃ) ও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, হে আমীরুল মুমেনীন! আপনার বিসবিল্লাহির রাহমানির রাহীম- এর বিস্ময়কে বিস্মারিত হলেন দেখছি! আল্লাহর কসম! বিসবিল্লাহির রাহমানির রাহীম- এর মধ্যে এক অত্যাশ্চর্য বিষয় রয়েছে।
একথা শুনে হযরত উমর বিন খত্ত্বাব (রাঃ) সোজা হয়ে বসলেন। তারপর বললেন, হে আবূ মাসূর! আপনি আমাদের বিসবিল্লাহির রাহমানির রাহীম-এর বিস্ময়কর বিষয়টি বলুন সুতরাং ওমর বিন মাঅদী কারব আয-যুবাইদী (রাঃ) বর্ণনা শুরু করলেন।
হে আমিরুল মুমেনীন! জাহিলিয়াতের জামানায় মহানবী (সাঃ) কর্তৃক ইসলাম প্রচারের পূর্বযুগে আকবর আমরা কঠিন দুর্ভিক্ষের শিকার হই। সেই সময় একদিন আমি রুজির সন্ধানে জঙ্গলে ঘোড়া নিয়ে যাই। ওই অবস্থায় আমি যাচ্ছিলাম। এমন সময় আমার সামনে একটা ঘোড়া, কিছু গবাদি পশু ও একটা তাবু নজরে পড়ে।
তাবুর কাছে পৌঁছতে সেখানে একজন খুবই সুন্দরী মহিলাকে দেখতে পাই এবং এক বৃদ্ধকে তাবুর সামনে হেলান দিয়ে পড়ে থাকতে দেখি। আমি তাকে বলি, তোমার কাছে যা কিছু আছে, আমাকে দিয়ে দাও। তোমার মা তোমাকে ধ্বংস করুক।
সে বলে তুমি যদি আতিথেয়তা চাও, তো নেমে এসো। এবং সাহায্য চাও তো বলো, আমরা তোমাকে সাহায্য করব।
আমি বললাম, তোমার মা ধ্বংস করুক! এগুলো সব আমাকে দিয়ে দাও।
তখন সে এমন দুর্বল বুড়োর মত উঠল, যে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তারপর বিসবিল্লাহির রাহমানির রাহীম বলতে বলতে আমার দিকে এগিয়ে এল। এবং আমাকে ধরে টানতে লাগল। ক্রমশ আমি নিচে চলে গেলাম এবং সে আমার উপরে চড়ে বসল। সেই সময় সে বলল, তোমাকে মেরে ফেলব না ছেড়ে দেব।
আমি বললাম, ছেড়ে দাও।
সুতরাং সে আমার উপর থেকে উঠে গেল।
আমি মনে মনে বললাম, ওহে ওমর! তুমি হলে আরবের এক নামকরা বীর। তাই এই বুড়োর থেকে পালানোর চাইতে তোমার মরে যাওয়াই ভালো। সুতরাং আমার মন মগজ আমাকে লড়াই করার জন্য ফের উত্তেজিত করল। আমি সেই বুড়োকে বললাম, তোমার মা তোমাকে বরবাদ করুক! এই জিনিসগুলো আমাকে দিয়ে দাও।
বিসমিল্লাহর বিস্ময়কর ক্ষমতা-শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন