বদর যুদ্ধ

কুরাইশরা লক্ষ্য করছিল ইসলাম ধর্মের অনুসারী দিন দিন সংখ্যায় বেড়ে যাচ্ছে।  আর কুরাইশদের শক্তি আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ছে।  এখনই ইসলাম ধর্ম অনুসারীদের দমন করতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে তাঁরা বিরাট শক্তিশালী হয়ে উঠবে।  কুরাইশরা হিংসায় ফেটে পড়ল। 

অন্য কুরাইশগণ মুসলমানদের ধ্বংস করার জন্য মদীনা আক্রমণ করল।  তাঁরা এসে মদিনার অদূরবর্তি বদর নামক ময়দানে শিবির স্থাপন করল।  ৬২৪ ঈসায়ী সনে ইসলামের প্রথম যুদ্ধ ছিল।  হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও নিরবে বসে ছিলেন না।  তিনিও নিজেদের আত্নরক্ষার জন্য যুদ্ধের জন্য তৈরি হয়েছিলেন।  বদরের ময়দানে তিনিও স্বসৈন্যে এসে ছাউনি ফেললেন।  কুরাইশরা সংখ্যায় ছিল ৯৫০ জন।  আর মুসলমান এর সংখ্যা ছিল মাত্র ৩১৩ জন।  ১৭ রমযান এ জিহাদ আরম্ভ হয়ে।  

এ জিহাদে কুরাইশরা অর্থাৎ মুশরিকরা পরাজয় বরণ করল।  আবু জাহেল উতবা ও সায়বাসহ ৭০ জন এ যুদ্ধে  মারা যায় আর ৭০ জন বন্দি হয়।  আর আবু সুফিয়ান পলায়ণ করে আর বলে যায় যে, আগামী বছর এর প্রতিশোধ গ্রহণ করা হবে।  এদিকে মুসলমানদের মধ্যে ১৪ জন শহীদ হন।  মক্কায় এ যুদ্ধে প্রায় সকল গোত্রই অংশগ্রহণ করেছিল।  এদিক দিয়ে হযরত ওমর (রাঃ) এর ভয়ে তাঁর গোত্র বনু আদী এ জিহাদে অংশ গ্রহণ করেনি।  সর্বপ্রথম এই যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করলেন হযরত ওমর (রাঃ) এর গোলাম মাহজা (রাঃ) হযরত ওমর (রাঃ) এর সম্পর্কীয় মামা ইবনে হিশামকে হত্যা করলেন। 

আর ৭০ জন বন্দী সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যখন করণীয় সম্পর্কে আবু বকর (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন তখন তিনি বললে, মুক্তিপণ নিয়ে বন্দীদেরকে ছড়ে দিন।  এ কথার ঘোর বিরোধিতা করলেন হযরত ওমর (রাঃ)।  ঠিক সেই মুহুর্তে ওহী নাযিল হল।  কোন নবীর জন্য বন্দী রাখা উচিত নয় যতক্ষণ পর্যন্ত না দেশ সম্পূর্ণ শত্রু মুক্ত হয়। 

পবিত্র কুরাআনে ২৭ পারায় বলা হয়েছে যে, তোমরা কামন কর পার্থিব সম্পদ; কিন্তু আল্লাহ্‌ তায়ালা চান পরকালের কল্যান।  বদের যুদ্ধে হযরত ওমর (রাঃ) ছিলেন হযরত মুহাম্মদ এর দক্ষিন হস্ত।  হযরত ওমর (রাঃ) এর ভুমিকা ছিল এ যুদ্ধে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ন।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।