পিয়েরে ফোগেল

পিয়েরে ফোগেল (জন্ম ২০ জুলাই ১৯৭৮):

পিয়েরে ফোগেল যিনি আবু হামজা (আরবি: أبو حمزة) নামেও পরিচিত, একজন জার্মান ইসলামি প্রচারক এবং সাবেক পেশাদার বক্সার। ফোগেল ফ্রেশেন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ২২ বছর বয়সে তিনি পেশাদার বক্সার হন এবং সৌরল্যান্ড ক্লাবের হয়ে ক্রুজারওয়েট হিসেবে দুই বছর সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য লড়াই করেন, যেখানে তিনি সাতটি ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন। ফোগেল ২০০১ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং এর পরপরই জার্মানিতে ইসলামিক স্টাডিজের কোর্স শুরু করেন, পরে তিনি মদিনায় পড়াশোনা করেন।

তিনি জার্মানিতে অন্যতম প্রভাবশালী মুসলিম হিসেবে বিবেচিত।

 

ইসলাম গ্রহণ:

পিয়েরে ফোগেল খ্রিস্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার শৈশব কাটান। তিনি জার্মানির ফ্রেশেন শহরে বড় হন এবং ছোটবেলা থেকেই ক্রীড়া বিশেষ করে বক্সিংয়ের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তিনি পেশাদার বক্সার হওয়ার পর ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন। ফোগেল ইসলাম গ্রহণের আগে খ্রিস্টান ধর্মের শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন, তবে ধর্মীয় কার্যক্রমে বিশেষভাবে সক্রিয় ছিলেন না। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি ইসলামিক স্টাডিজে পড়াশোনা শুরু করেন এবং ধর্মীয় কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে থাকেন। ইসলাম গ্রহণের ফলে তার জীবনধারা ও চিন্তাধারায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে। ফোগেল ২০০১ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি ধর্মীয় শিক্ষা এবং ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে গভীর জ্ঞানার্জনের জন্য আগ্রহী হন। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি জার্মানিতে ইসলামিক স্টাডিজের কোর্স শুরু করেন এবং পরে মদিনায় পড়াশোনা করেন। সেখানে তিনি ইসলামের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আরও জানতে পারেন।

 

ইসলামিক জীবনে তার অবদান:

ইসলাম গ্রহণের পর তিনি ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলি সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং পরে এই জ্ঞানকে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেন। ফোগেল বিভিন্ন ইসলামিক সভা এবং অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ইসলামের মূল আদর্শ এবং ইসলামের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে বক্তৃতা দেন। তিনি ইউটিউব এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসলাম প্রচার করেন। তার ভিডিওতে ইসলামের মৌলিক দিকগুলো এবং মুসলিম জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি তুলে ধরেন, যা যুবকদের মাঝে ইসলামের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে। ফোগেল মুসলিম সম্প্রদায়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে তাদের মধ্যে ঐক্য এবং সংহতি বৃদ্ধির চেষ্টা করেন। ফোগেল মুসলিম সম্প্রদায়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে তাদের মধ্যে ঐক্য এবং সংহতি বৃদ্ধির চেষ্টা করেন। ফোগেলের এই অবদানগুলো তাকে ইসলামিক সমাজে একটি প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, এবং তার কর্মকাণ্ড অনেক মুসলিমের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়েছে।

 

মিডিয়া ধারণা:

একটি জার্মান প্রতিবেদনে তাকে “বিচারক মুসলিম” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, जबकि ডের স্পিগেল-এর লেখক এবং মন্তব্যকারী মাতিয়াস মাতুসেক তাকে জার্মানির ইসলাম সম্পর্কিত “অন্ধকার নাৎসি ভ্যারিয়েন্ট” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ২৫ এপ্রিল ২০১০ সালে, তিনি সারল্যান্ডের ডিলিংগেনে একটি মুসলিম সভায় উপস্থিত হলে বলেছিলেন যে, জার্মানিতে মহিলাদের সংখ্যা পুরুষদের চেয়ে বেশি হওয়ার কারণে বহুবিবাহ বৈধ।জানুয়ারি ২০১৬ সালে, ফোগেল একটি ভিডিও শেয়ার করেন যেখানে একজন মহিলা, যিনি দাবি করেছিলেন যে তিনি নতুন বছরের সময় কোলোনে মধ্যপ্রাচ্যীয় চেহারার পুরুষদের দ্বারা ধর্ষিত হয়েছিলেন, তার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল। তিনি দাবি করেন যে, ওই মহিলা ইসলামের অপমান করার জন্য তার গল্পটি ভেঙেছেন। ভিডিওটির স্রষ্টা আইনগত চ্যালেঞ্জের পর তা মুছে ফেলেন।

তিনি জীবিত আছেন এবং ইসলাম প্রচারের কাজে সক্রিয় রয়েছেন।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।