নবী করীম (সাঃ) ও হজরত আবু বকর (রাঃ) এর পরিবারবর্গের হিজরত – শেষ পর্ব
নবী করীম (সাঃ) ও হজরত আবু বকর (রাঃ) এর পরিবারবর্গের হিজরত – পর্ব ৩ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তারপর বলিলেন , তুমি কি এমন করিতে পার যে, তোমাকে একটি জিনিস দিব, তুমি উহা তাঁহার নিকট পৌছাইয়া দিবে এই ব্যাপারে কাহাকেও বলিবে না। সে বলিল, হা পারিব। তিনি তাহাকে আংটি দিলেন। হযরত যায়নাব আংটি দেখিয়া চিনিতে পারিলেন। তিনি রাখালকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমাকে এই আংটি কে দিয়াছে? সে বলিল, একজন লোক দিয়াছে। হযরত যায়নাব (রাঃ) জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি তাহাকে কোথা রাখিয়া আসিয়াছ? সে বলিল, অমুক জায়গায়।
হযরত যায়নাব শুনিয়া চুপ করিয়া রহিলেন এবং রাত্রিবেলায় গোপনে হযরত যায়েদ (রাঃ) এর উদ্দেশ্যে বাহির হইলেন। তিনি সেখানে পৌছিবার পর হযরত যায়েদ (রাঃ) বলিলেন, তুমি উটের উপর বসিয়া আমার সামনে বস। হযরত যায়নাব (রাঃ) বলিলেন, না বরং তুমি আমার সামনে বস। হযরত যায়নাব (রাঃ) এর কথামত হযরত যায়েদ (রাঃ) সামনের দিকে উঠিয়া বসিলেন এবং হযরত যায়বান (রাঃ) তাঁহার পেছনে উঠিয়া বসিলেন। এইভাবে তাহারা মদীনায় পৌছিলেন। মুহাম্মাদ (সাঃ) হযরত যায়নাব (রাঃ) এর সম্পর্কে বলিতেন, যায়নাব আমার মেয়েদের মধ্যে সর্বোত্তম মেয়ে, আমারই কারণে তাহাকে কষ্ট সহ্য করিতে হইয়াছে।
হযরত আলী ইবনে হুসাইন (রাঃ) এই হাদীসের সংবাদ পাইয়া বর্ণনাকারী হযরত ওরওয়া (রাঃ) এর নিকট আসিয়া বলিলেন, তোমার পক্ষ হইতে আমার নিকট এ কেমন হাদীস পৌছিয়াছে যে, তুমি উহার দ্বারা হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর সম্মান ক্ষুন্ন করিতেছ? হযরত ওরওয়া (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম, পূর্ব পশ্চিমের মধ্যবর্তী সমগ্র দুনিয়ার জিনিস পাওয়ার বিনিময়েও আমি হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর সম্মান সামান্যতম খর্ব করা পছন্দ করি না। আমি আর কখনও এই হাদীস বর্ণনা করিব না।
সূত্রঃ হায়াতুস সাহাবা
নবী করীম (সাঃ) ও হজরত আবু বকর (রাঃ) এর পরিবারবর্গের হিজরত – পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন