দীর্ঘ জীবন লাভের আকাঙ্ক্ষা -৪র্থ পর্ব
দীর্ঘ জীবন লাভের আকাঙ্ক্ষা -৩য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
জুলকরনাইন একথা শুনে তাঁর নিকট সংগৃহীত সমস্ত স্বর্ণ, রৌপ্য ও পাথর উপস্থিত লোকদের মাঝে বণ্টন করে দিয়ে বললেন, তোমরা দেশে চলে যাও। আমি এ পাহাড়ের পাদদেশে বাকি জীবন কাটিয়ে দিব। এ কথা বলে সকলকে বিদয় করলেন এবং মায়ের নিকট একখানি পত্র লিখে জানিয়ে দিলেন, তাঁর পুত্রের জন্য সর্বদা দোয়া করেন। তিনি কিয়ামতের দিন তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করবেন। জুলকরনাইনের মা তাঁর পত্র পেয়ে কাঁদলেন এবং যতদিন তিনি জীবিত ছিলেন ছেলের জন্য সর্বদা দোয়া করতেন। জুলকরনাইন পাহাড়ের পাদদেশে বসে দিবারাত্র এবাদাত-বন্দেগী করে সময় কাটাতেন। এভাবে বেশ কয়েক বছর অতিবাহিত হবার পরে তিনি সেখানে ইন্তেকাল করেন। আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে সেখানে গিয়ে তাঁর জানাযা ও দাফন কাফন সমাধা করেন। সেখানে অসংখ্য মূল্যবান পাথর দ্বারা তাঁর মাজারে একটি ইমারত তৈরি করে দেয়া হয়।
এ ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খরুপে বর্ণনা করার পরে মক্কার কাফেরেরা বলল, মোহাম্মদ সাল্লাল্ললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা কিছু বর্ণনা করেছে তা সবই সত্য। তাঁর বর্ণনা তৌরাত ও জুবুর কিতাবের সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে। অতএব মোহাম্মদ সাল্লাল্ললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্য নবী, তাতে সন্দেহ নেই। এই বলে তারা অধিকাংশ লোকে নবীর ওপর ঈমান আনল। কিন্তু আবু জাহেল বলল, মোহাম্মদ সাল্লাল্ললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুছা (আঃ) এর ন্যায় বিরাট যাদুকর। যাদুকারের প্রবঞ্চনায় আমি ঈমান আনতে রাজি নই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্ললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন তাকে বললেন তোমার আরো কিছু জিজ্ঞাস করার থাকলে জিজ্ঞাস কর। আবু জাহেল বলল, মৌখিক জিজ্ঞেসার আর কিছু নেই এখন তোমার ব্যাপারে আমাদের শেষ চেষ্টা নিতে হবে। এই বলে সে সেখান থেকে চলে গেল।
সূত্রঃ কুরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী