তিনটি বিস্ময়কর মু’যিযা
ইয়ালা ইবনে মুররা সাকাফী (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমি এক সফরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে ছিলাম। ঐ সময় আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর তিনিটি বিস্ময়কর মু’যিযা দেখেছি। ঘটনার পূর্ণ বিবরণ নিম্মরূপঃ
একবার আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সাথে সফরে যাচ্ছিলাম। তিনি পথে একটি উটের দেখা পেলেন। ঐ উটটি শস্যক্ষেত্রে পানি দেয়ার কাজে ব্যবহিত হত। উটটি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে দেখে তাঁর সাথে কথা বলার পর পুনরায় গর্দান মাটিতে রেখে দিল। তিনি সেখানেই দাঁড়িয়ে সেই উটের মালিককে ডেকে বললেন, তুমি উটটি আমার নিকট বিক্রি করে দাও। জবাবে সে বলল, আমি মূল্য ছাড়াই হাদিয়া স্বরূপ এটা আপনাকে দিতে প্রস্তুত, কিন্তু এ উটটি এমন এক পরিবারের, যাদের কাছে এ উটটি ব্যতীত জীবিকা নির্বাহের অন্য কোন উপায় নেই। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, ঘটনা এরূপ হলে আমি ওটা ক্রয় করছি না; কিন্তু এ কথাটি স্মরণ রেখো উট আমার নিকট অভিযোগ করেছে যে, তার দ্বারা অনেক কাজ করানো হয় কিন্তু ঠিকমত দানা-পানি দেয়া হয় না। উটের সাথে উত্তম ব্যবহার করও।
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমরা সামনে অগ্রসর হয়ে এক মঞ্জিলে অবতরণ করে বিশ্রাম করেছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ঘুমাচ্ছিলেন। আমি দেখতে পেলাম একটি বৃক্ষ মাটি চিরে তথায় আগমন করে তাঁকে ছায়া দিতে লাগল। কিছুক্ষন পর সে পুনরায় স্বস্থানে ফিরে গেল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জাগ্রত হলে আমি তাঁর নিকট বৃক্ষের ঘটনা বর্ণনা করলাম। তিনি বললেন, বৃক্ষটি আল্লাহ পাকের অনুমতিক্রমে আমাকে সালাম করতে এসেছিল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বৃক্ষের সালাম দেওয়া, এটা তাঁর মু’যিযা।
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর চলতে চলতে একটি ঝরনার নিকট উপস্থিত হলাম সেখানে জনৈকা মহিলা তার ভূতে ধরা ছেলেকে এনে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর খেদমতে হাজির করল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ছেলেটির নাক ধরে বললেন, দূর হ! আমি আল্লাহর রাসূল। অতঃপর আমরা আরো সামনে এগিয়ে গেলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে ঐ ঝরণার কাছে সেই মহিলার সাথে এবার দেখা হল। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর ছেলের কথা জিজ্ঞেস করলেন। জবাবে সে বলল, ঐ আল্লাহর কসম! যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠীয়েছেন সেদিন থেকে আমার ছেলে সম্পূর্ণ সুস্থ। তার মধ্যে এর কখন ভূতের আছর দেখিনি।