জেগে উঠুন আপন শক্তিতে ,হয়ে উঠুন ওয়ার্ডপ্রেস প্রো!

আসসালামু আলাইকুম সবাইকে।একটি নতুন ব্লগে আপনাদের স্বাগতম।আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন।চলুন সবাই মিলে আজ মজার কিছু বিষয় জানি।বর্তমান সময় হল টেকের সময়। আমরা সবাই মোটামুটি বর্তমান প্রযুক্তি নিয়ে কমবেশি জানি।বর্তমান সময়ে আমরা সবাই ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন গ্যাজেট ব্যবহার করে থাকি। এগুলো আমাদের জীবনের সাথে অনেকভাবে জড়িত। এগুলোর অনেক ভালো দিকও রয়েছে, সাথে কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। আজ এর ভালো দিক নিয়েই কথা বলা যাক।বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা ঘরে বসেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনেক কাজ শিখতে পারি, যা আমাদের আয় করতে সাহায্য করতে পারে। আমরা অনেকেই অনেক সময় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ক্রল করে অনেক সময় নষ্ট করে ফেলি। আমরা যদি সেই সময়টাকে ভালো কিছু শিখতে বা কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারি, তাহলে সেটা অবশ্যই অনেক ভালো হবে!অনলাইনে আয় করার বিভিন্ন উপায় বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে, এবং বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের মতো দেশেও, যেখানে বেশিরভাগ মানুষ ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে থাকেন, সেখানে অনলাইনে আয় করা একটি লাভজনক উপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।এই ডিজিটাল যুগে ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন ব্যবসা, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ই-কমার্স, এবং অন্যান্য অনেক পদ্ধতিতে মানুষ তাদের আয়ের উৎস তৈরি করছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আয় করার সুযোগ এখন সবার হাতের নাগালে।বিভিন্ন মাধ্যম এর মধ্যে WordPress অন্যতম। এটি অন্যান্য ওয়েব-সম্পর্কিত কাজের তুলনায় তুলনামূলকভাবে সহজ।ওয়ার্ডপ্রেস শিখে অনলাইনে আয় করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। ওয়ার্ডপ্রেস একটি জনপ্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS), যা দিয়ে আমরা ওয়েবসাইট, ব্লগ বা ই-কমার্স সাইট তৈরি করতে পারি। এটি শিখে আমরা বিভিন্ন ক্যারিয়ার বা আয়ের সুযোগ তৈরি করতে পারি। চলুন আমরা ডিটেইলসে জেনে নেই ওয়ার্ডপ্রেস কী, কীভাবে এবং কোন জায়গা থেকে কাজ শিখে আমরা আয় করতে পারি। আমি অবশ্যই চেষ্টা করব আপনার কিছু বাংলা এবং ইংরেজি ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে আপনাদের সাহায্য করতে, যাতে আপনারা এটি শিখতে পারেন।নিচে ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে আলোচনা করা হলো:

 

ওয়ার্ডপ্রেস কী?

ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) হলো একটি ওপেন-সোর্স কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) যা ওয়েবসাইট তৈরি এবং ম্যানেজ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বিল্ডিং প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে একটি। এটি বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় CMS, কারণ এটি ব্যবহার করা সহজ এবং এর মাধ্যমে প্রায় সব ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব।ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে আমরা সহজেই ব্লগ, ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট, ই-কমার্স স্টোর, পোর্টফোলিও, ফোরাম ইত্যাদি তৈরি করতে পারি।ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে আমরা খুব সহজে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারি। ওয়ার্ডপ্রেস হলো একটি ব্যবহারকারী-বান্ধব,থিম ও প্লাগইন,ই-কমার্স সাপোর্ট,সিকিউরিটি,কমিউনিটি সাপোর্ট সিস্টেম । আপনি কি ২ মিনিটে হাতে নাগালে ওয়ার্ডপ্রেস এর উপকারিতা জানতে চান? তাহলে আমার ব্লগের সাথে থাকুন।

 

ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে কাজ করে ?

ওয়ার্ডপ্রেস মূলত একটি কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS), যা আপনি কোডিং ছাড়াই সহজে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এটি মূলত একটি সফটওয়্যার যা আপনাকে ওয়েবসাইটের ডিজাইন, কন্টেন্ট এবং ফিচার ম্যানেজ করতে দেয়।এটা তৈরি করতে আপনার কোনো ভারী ডিভাইসেরও দরকার হবে না।ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট বানাতে মূলত যে কোনো কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করা যেতে পারে,এর সাথে ইন্টারনেট কানেকশন এবং ওয়েব ব্রাউজার প্রয়োজন হবে।ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার শুরু করতে প্রথমে এটি ইনস্টল করতে হবে। বেশিরভাগ ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি যেমন Bluehost, HostGator, SiteGround ইত্যাদি সহজ ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া অফার করে। ওয়েব হোস্টিং এবং ডোমেইন নেম সেটআপ করার পর, আপনি আপনার সাইটে ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করতে পারবেন।

. ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করার ধাপ:

  • ওয়েব হোস্টিং অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
  • আপনার ডোমেইন নাম সিলেক্ট করুন।
  • One-click Install অথবা Softaculous ব্যবহার করে ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করুন (যদি ওয়েব হোস্টিং প্রদানকারী এই অপশন দেয়)।

 

. ড্যাশবোর্ড (Dashboard) ব্যবহার করা :

ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করার পর, আপনাকে ড্যাশবোর্ড এ প্রবেশ করতে হবে। এটি একটি ব্যাকএন্ড প্যানেল যেখানে আপনি আপনার সাইটের সব কিছু কাস্টমাইজ ও পরিচালনা করতে পারবেন।

ড্যাশবোর্ডে কয়েকটি প্রধান মেনু থাকে:

  • Posts: নতুন ব্লগ পোস্ট তৈরি, এডিট, ডিলিট করতে পারবেন।
  • Pages: ওয়েবসাইটের স্থায়ী পৃষ্ঠা (যেমন “About”, “Contact”) তৈরি এবং কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
  • Appearance: থিম নির্বাচন, থিম কাস্টমাইজেশন, উইজেট ও মেনু সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবেন।
  • Plugins: নতুন প্লাগইন ইনস্টল এবং সক্রিয় করতে পারবেন।
  • Settings: সাইটের সাধারণ সেটিংস (যেমন সাইট টাইটেল, টাইম জোন, রাইটিং এবং রিডিং সেটিংস) পরিবর্তন করতে পারবেন।

 

. থিম নির্বাচন কাস্টমাইজেশন:

ওয়ার্ডপ্রেসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনি সহজেই থিম পরিবর্তন করতে পারেন। থিম হল ওয়েবসাইটের ডিজাইন এবং লেআউট। আপনার সাইটের উদ্দেশ্য অনুযায়ী একটি থিম নির্বাচন করতে পারেন এবং সেটি কাস্টমাইজ করতে পারেন।

থিম কাস্টমাইজ করার উপায়:

Appearance > Themes থেকে একটি থিম নির্বাচন করুন।

থিম ইনস্টল করার পরে, Customize বাটন থেকে বিভিন্ন সেটিংস যেমন কালার, ফন্ট, লেআউট পরিবর্তন করতে পারবেন।

আপনি চাইলে পেইড থিমও ব্যবহার করতে পারেন যা আরও বেশি কাস্টমাইজেশন অপশন দিয়ে থাকে।

 

. প্লাগইন ব্যবহার :

প্লাগইন হল এমন একটি টুল বা অ্যাড-অন যা আপনার সাইটে নতুন ফিচার বা ফাংশনালিটি যোগ করে। আপনি বিভিন্ন ধরনের প্লাগইন ইনস্টল করতে পারেন যেমন এসইও, নিরাপত্তা, স্প্যাম ফিল্টার, স্যোসাল মিডিয়া ইন্টিগ্রেশন ইত্যাদি।

প্লাগইন ইনস্টল করার ধাপ:

Plugins > Add New এ যান।

যে প্লাগইনটি আপনি চান সেটি সার্চ করুন (যেমন Yoast SEO, Akismet, WooCommerce ইত্যাদি)।

Install Now এবং তারপর Activate বাটনে ক্লিক করুন।

 

. কনটেন্ট (Content) তৈরি প্রকাশ :

ওয়ার্ডপ্রেসের মূল কাজ হল কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট। ব্লগ পোস্ট বা পেজ তৈরি করতে আপনি Posts বা Pages সেকশন ব্যবহার করতে পারেন।

  • ব্লগ পোস্ট তৈরি করার ধাপ:

Posts > Add New এ যান।

একটি শিরোনাম লিখুন এবং কনটেন্ট লিখুন।

আপনি Add Media অপশনের মাধ্যমে ছবি, ভিডিও বা অডিও যুক্ত করতে পারেন।

যখন কনটেন্ট তৈরি হয়ে যাবে, তখন Publish বাটনে ক্লিক করুন।

  • পেজ তৈরি করার ধাপ:

Pages > Add New এ যান।

পৃষ্ঠার শিরোনাম এবং কনটেন্ট লিখুন।

Publish বাটনে ক্লিক করুন।

 

. নিরাপত্তা এবং ব্যাকআপ :

ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু প্লাগইন ব্যবহার করা জরুরি। যেমন:

  • Wordfence: সাইটের সিকিউরিটি বৃদ্ধি করতে।
  • UpdraftPlus: সাইটের নিয়মিত ব্যাকআপ নেওয়ার জন্য।
  • ব্যাকআপ সিস্টেম: আপনার সাইটের নিরাপত্তা এবং ডেটার সুরক্ষার জন্য রেগুলার ব্যাকআপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আপনি প্লাগইন ব্যবহার করে অটোমেটিক ব্যাকআপ সেট করতে পারেন।

 

. এসইও (SEO) :

ওয়ার্ডপ্রেসে এসইও কাস্টমাইজেশন সহজ, যা আপনার সাইটকে গুগলে ভালো স্থান পেতে সাহায্য করে। আপনি Yoast SEO বা Rank Math প্লাগইন ব্যবহার করে আপনার সাইটের এসইও সেটিংস কাস্টমাইজ করতে পারেন।

এসইও এর মাধ্যমে:

  • আপনার সাইটের URL কাস্টমাইজ করতে পারেন।
  • মেটা ট্যাগ, টাইটেল ট্যাগ এবং ডিসক্রিপশন যোগ করতে পারেন।
  • কীওয়ার্ড অপটিমাইজেশন করতে পারেন।

 

. এডমিন প্যানেল থেকে অন্যান্য সেটিংস :

ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ডে অনেক সেটিংস অপশন আছে যেগুলি আপনার সাইটের পারফরমেন্স এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • General Settings: সাইটের নাম, স্লাগ, ভাষা ইত্যাদি পরিবর্তন করা।
  • Writing & Reading Settings: পোস্ট লেখার সেটিংস এবং সাইটের হোমপেজ কনফিগারেশন।
  • Discussion Settings: মন্তব্য ব্যবস্থাপনা ও স্প্যাম ফিল্টার করা।
  • Permalink Settings: সাইটের URL স্ট্রাকচার কাস্টমাইজ করা।

 

ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আমরা কীভাবে উপকৃত হতে পারি আসুন একসাথে জানি:

ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আপনি অনেক ধরনের সুবিধা ও উপকার পেতে পারেন, বিশেষ করে যদি আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজাইন, ব্লগিং, বা ফ্রিল্যান্সিং এর মতো ক্ষেত্রগুলিতে আগ্রহী হন। নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো, ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আপনি কীভাবে উপকৃত হতে পারি:

 

১. ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আয়:

ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আমরা সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারি। অনেক কোম্পানি এবং ব্যক্তিগত ক্লায়েন্ট ওয়েবসাইট তৈরির জন্য ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডেভেলপার বা ডিজাইনার খোঁজেন। আমরা ওয়েবসাইট ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, থিম কাস্টমাইজেশন, প্লাগইন ইন্টিগ্রেশন ইত্যাদি সেবা প্রদান করে উপার্জন করতে পারি।

  • ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম:

আমরা Upwork, Fiverr, Freelancer ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে নিজের সেবা প্রদান করতে পারি।

  • প্লাগইন বা থিম ডেভেলপমেন্ট:

আমরা নতুন থিম বা প্লাগইন তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারি, যা আমাদের নিয়মিত আয়ের উৎস দিতে পারে।

 

২. অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারি:

যদি আমরা ই-কমার্স সাইট তৈরি করতে চাই, তবে WooCommerce ব্যবহার করে আমরা পণ্য বিক্রির একটি সাইট তৈরি করতে পারি এবং অনলাইনে ব্যবসা শুরু করতে পারি। WooCommerce একটি ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন, যা আমাদের একটি পূর্ণাঙ্গ অনলাইন স্টোর তৈরি করতে সাহায্য করে। এতে আমরা পণ্য যোগ করতে পারি, পেমেন্ট গেটওয়ে সেটআপ করতে পারি, অর্ডার ম্যানেজ করতে পারি এবং গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারি। এর মাধ্যমে আমরা সহজেই আমাদের পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে পারি এবং অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা করতে পারি।

 

৩.ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারব:

ওয়েবসাইট তৈরি করার পাশাপাশি আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং (যেমন SEO, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেল মার্কেটিং) শিখে সাইটের ট্র্যাফিক বাড়াতে পারি এবং আয় বাড়াতে পারি।

  • SEO (Search Engine Optimization): আমাদের ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ও স্ট্রাকচার অপটিমাইজ করে গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইটের র্যাংকিং বাড়াতে পারি, যার মাধ্যমে অর্গানিক ট্র্যাফিক আসবে।
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিঙ্কডইন ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে আমাদের সাইট বা পণ্য প্রচার করে দর্শক আকর্ষণ করতে পারি।
  • ইমেল মার্কেটিং: আমরা ইমেল সাইন-আপ ফর্ম ব্যবহার করে গ্রাহক অথবা দর্শকদের ইমেল সংগ্রহ করতে পারি এবং পরে তাদেরকে নিউজলেটার, অফার বা আপডেট পাঠাতে পারি, যা সাইটের ট্র্যাফিক ও বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করবে।এইভাবে, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আমরা নিজেদের ওয়েবসাইটের দর্শকসংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারি এবং দীর্ঘমেয়াদে আয় বাড়াতে পারি।

 

৪.ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট:

ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আমরা ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে একটি দক্ষ পেশাদার হতে পারি। ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট একটি লাভজনক ক্ষেত্র, এবং ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে আমরা দ্রুত এবং কার্যকরী ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারি। অনেক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসার জন্য প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান, এবং আপনি তাদের জন্য এই সেবা প্রদান করতে পারেন।

  • ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন:

আমরা ওয়েবসাইটে প্রফেশনাল থিম কাস্টমাইজেশন সেবা প্রদান করে উপকৃত হতে পারি।

  • একমাত্র ওয়েবসাইট তৈরির কাজ:

আমরা শুধু ওয়েবসাইট তৈরিই নয়, সাইটের সার্বিক উন্নয়ন, সিকিউরিটি, পারফরম্যান্স অপটিমাইজেশন ইত্যাদি সেবা দিতে পারি।

 

৫. ব্লগিং করে আয়:

ওয়ার্ডপ্রেস একটি জনপ্রিয় ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম, এবং ব্লগিং শিখে আমরা দীর্ঘমেয়াদী আয়ের উৎস তৈরি করতে পারি। আমরা নিজেদের ব্লগ খুলে গুগল অ্যাডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা স্পনসরশিপের মাধ্যমে আয় করতে পারি।

  • গুগল অ্যাডসেন্স:

আমরা যদি আমাদের ব্লগে ট্র্যাফিক এনে রাখি, তাহলে আমরা গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারব।

  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:

আমাদের ব্লগে প্রোডাক্ট বা সেবা সম্পর্কে রিভিউ লিখে, সেই প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করে আয় করতে পারব।

  • স্পনসরশিপ:

ব্লগে জনপ্রিয়তা বাড়ালে, বিভিন্ন ব্র্যান্ড আমাদের ব্লগে স্পনসরশিপ দিতে আগ্রহী হবে।

 

৬. নতুন দক্ষতা অর্জন:

ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আমরা নতুন দক্ষতা অর্জন করতে পারব, যা আমাদের ক্যারিয়ারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এতে আমরা:

  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও ডিজাইন সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে পারব।
  • SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) এর মাধ্যমে সাইটকে অপটিমাইজ করতে শিখব, যা আমাদের ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়াতে সাহায্য করবে।
  • প্লাগইন এবং থিম কাস্টমাইজেশন শিখতে পারব, যা আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।
  • গ্রাফিক ডিজাইন এবং ইউজার ইন্টারফেস (UI) ডিজাইন বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারব।

 

৭. নিজের প্রফেশনাল পোর্টফোলিও তৈরি :

ওয়ার্ডপ্রেস শিখলে আমরা নিজেদের প্রফেশনাল পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারব। এটি আমাদের কাজের একটি সেরা প্রদর্শনী হিসেবে কাজ করবে এবং নতুন ক্লায়েন্ট পাওয়ার জন্য সহায়ক হবে। পোর্টফোলিও ওয়েবসাইটে আমরা আমাদের স্কিল, প্রজেক্ট, এবং সার্ভিস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারি।

৮. অনলাইন কোর্স ও টিউটোরিয়াল তৈরি :

ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আমরা নিজের অনলাইন কোর্স তৈরি করতে পারি এবং এটি বিক্রি করে উপকৃত হতে পারি। আমরা যদি ওয়ার্ডপ্রেসে অভিজ্ঞ হই, তবে Udemy, Teachable, Skillshare-এ কোর্স তৈরি করতে পারব। এতে আমরা টাকা উপার্জন করতে পারব।

৯. নেটওয়ার্কিং এবং সুযোগ তৈরি করা :

ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আমরা একটি শক্তিশালী পেশাদার নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারব। ওয়েব ডেভেলপার, ডিজাইনার, ব্লগার বা অনলাইন ব্যবসার মালিকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে বিভিন্ন সুযোগ পেতে পারি। এই নেটওয়ার্কিং আমাদের নতুন প্রকল্প, ক্লায়েন্ট, কিংবা নতুন কাজের সুযোগ পেতে সহায়তা করবে।

 

কিছু কার্যকরী ওয়েবসাইটের লিংক:

নিচে কিছু কার্যকরী ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া হলো, যার মাধ্যমে আমরা বিস্তারিতভাবে ওয়ার্ডপ্রেস শিখে বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারব। এই লিংকগুলো ইংরেজি এবং বাংলা উভয় ভাষায় রয়েছে:

ইংরেজি ওয়েবসাইট:

১. WordPress.org

লিংক: https://wordpress.org/

এটি ওয়ার্ডপ্রেসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, যেখানে  আমরা বেসিক থেকে অ্যাডভান্সড সব কিছু শিখতে পারব ।

২. WPBeginner

লিংক: https://www.wpbeginner.com/

ওয়ার্ডপ্রেস শেখার জন্য এটি একটি জনপ্রিয় রিসোর্স। এখানে টিউটোরিয়াল, গাইড, এবং টিপস রয়েছে।

৩. Udemy

লিংক: https://www.udemy.com/

ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কিত অনেক কোর্স পাওয়া যায়, যা শেখার জন্য খুবই সহায়ক।

৪. WooCommerce

লিংক: https://woocommerce.com/

ই-কমার্স সাইট তৈরি করতে WooCommerce শেখার জন্য এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করা হয়।

 

বাংলা ওয়েবসাইট:

১. TechBD

লিংক: https://techbd.com/

বাংলায় ওয়ার্ডপ্রেস শেখার জন্য টিউটোরিয়াল এবং গাইড পাওয়া যায়।

২. Shikbe Sobai

লিংক: https://www.shikbesobai.com/

ওয়ার্ডপ্রেস এবং অন্যান্য ডিজিটাল স্কিল শেখার জন্য কোর্স অফার করে।

 

YouTube বাংলা টিউটোরিয়াল

লিংক: https://www.youtube.com/

বাংলায় ওয়ার্ডপ্রেস শেখার জন্য অনেক চ্যানেল রয়েছে, যেমন:

  • Tech BD
  • Learn with Hasin Hayder
  • Skillshare Bangladesh

লিংক: https://skillsharebd.com/

এই লিংকগুলো ব্যবহার করে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস শিখে বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারবেন।

 

কেমন লাগল আমার ব্লগ, আমাকে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন এবং কোনো ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। আমার ব্লগের মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হবেন, আশা করি।আরও মজার মজার টেক ওয়ার্ল্ডের বিষয়গুলো জানতে সংগে থাকুন, পরবর্তী ব্লগে! 😊

 

জেনে নিন ঘরে বসে ইনকামের ৭টি উপায়!

ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কিছু কথা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *