জীন

আমি সুমন, ঘটনাটা সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির একজন প্রফেসরের কাছ থেকে শোনা। তিনি আমাকে যেভাবে বলেছেন, আমি সেভাবেই লিখছি। ঘটনাটা সিলেটের হরিপুর নামক জায়গার।

আমাদের বাসায় একটা জ্বীনের পরিবার বাস করে। ঘটনাটি প্রথম জানা যায় আমার চাচাতো বোনের বিয়ে ঠিক হওয়ার সময়। আমার বোনের একজন ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, কিন্তু বিয়ের কথা হচ্ছিল আরেকজনের সঙ্গে।

সেদিন ছেলে পক্ষ মেয়েকে দেখতে এসেছিল। ছেলের বাবা যখন কথা বলছিলেন, তখন মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন, “এই বিয়েতে তোমার মত আছে কি না?” মেয়েটি কোনো কথা বলেনি। সবাই ধরে নিল, তার মত আছে এবং তাকে চলে যেতে বলল। ঠিক তখনই মেয়েটি পুরুষের গলায় বলে উঠল, “ঝুমার (মেয়েটার নাম) এই বিয়েতে মত নেই, তোমরা চলে যাও।” এই বলে সে চলে গেল।

লোকগুলো মেয়েটির বিষয়ে নানা রকম বাজে কথা বলতে লাগল। তারপর তারা দেখতে পেল, একটা বিরাট বড় সাপ তাদের তাড়া করছে এবং শেষ পর্যন্ত তাদের বের করে দিল।

তারা চলে যাওয়ার পর, আমার চাচা একজন ইমাম সাহেবকে নিয়ে আসেন, যিনি এসব বিষয়ে জানেন এবং তাঁর নিজের কিছু জ্বীন ছিল। তিনি তাঁর জ্বীনকে আদেশ করলেন, বিষয়টা কী তা জানার জন্য। অনেকক্ষণ পর জবাব এলো—এটা কিছু জ্বীনের কাজ, তবে সেই জ্বীনটাকে ধরে আনা সম্ভব না, অনুরোধ করলে আসতে পারে।

এরপর, ইমাম সাহেব মেয়েটাকে নিয়ে আসতে বললেন। মেয়েটি এলে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কিছু জান?” মেয়েটি “না” বলল। তখন হুজুর জ্বীনটিকে আসার জন্য অনুরোধ করলেন।

তখন মেয়েটার গলা বদলে গিয়ে পুরুষের কণ্ঠে বলে উঠল, “কে আমাকে ডেকেছে?”

ইমাম সাহেব সালাম দিলেন এবং বললেন, “আমি ডেকেছি। আপনি কে?”

সে উত্তর দিল, “আমি (নামটা মনে নেই), আমরা এখানে বহু বছর ধরে থাকি। আমার পরিবারের সবাই এখানেই থাকে। এই মেয়েটি আমাদের কাছে সাহায্য চেয়েছে, যেন এইখানে তার বিয়ে না হয়। আমরা তাকে সাহায্য করেছি, এর বেশি কিছু নয়।”

হুজুর বললেন, “আপনারা কি এখান থেকে চলে যাবেন?”

সে বলল, “আমরা কোথায় যাব? আমাদের সবাই এখানেই থাকে। আমরা তো আর কারো জায়গায় গিয়ে থাকতে পারবো না।”

অনেক কথা কাটাকাটির পর ঠিক হলো, তারা এখানেই থাকবে তবে কারো কোনো ক্ষতি করবে না। এরপর হুজুর চলে যান, আর মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে যায়।

অন্যের গৃহে প্রবেশের অনুমতি

খোলা জানালা দিয়ে বয়ে আসছে মৃদু হাওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *