খেজুর গাছের ঘটনা
বর্তমান যুগে রাষ্ট্রীয় নেতাদের কথাকে আল্লাহর বাণীর সাথে সমন্বয় করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। নেতাদের কথাকে কোরআনের সাথে সমন্বয় করার উদাহরণ নীচের ঘটনার মতঃ এক গ্রামে এক খালাসী বাস করতো। ঘটনাক্রমে সে গ্রামের এক লোক একদিন একটি খেজুর গাছে উঠলো। গাছে উঠে গেছে সহজেই কিন্তু আর নামতে পারছে না।
অনেক চেষ্টা করার পরও যখন নামতে পারছে না তখন লোকটিকে নামানোর জন্যে সারা গ্রামে হৈ চৈ পড়ে গেল। গ্রামের সবাই এসে গাছের নীচে ভীড় করতে লাগলো। কিন্তু কারো মাথায় কোন বুদ্ধি উদয় হচ্ছে না কি করে, লোকটিকে গাছ থেকে নামানো যায়। চিন্তা-ভাবনা করে অবশেষে সে খালাসীকে ডাকা হলো।
খালাসী এসে গাছের নীচে দাঁড়িয়ে একবার গাছের আগার দিকে তাকায় একবার গাছের নীচের দিকে তাকায়।
খালাসী এসে গাছের নীচে দাঁড়িয়ে একবার গাছের আগার দিকে তাকায়। অনেক ভেবেচিন্তে বললো-দড়ি আন।
দড়ি আনা হলো।
খালাসী বললো- দড়ির আগায় গিরা দিয়ে ফাঁস তৈরী কর।
দড়িতে ফাঁস তৈরী করা হল।
এবার খালাসী বললো-দড়িটা সজোরে গাছের আগায় নিক্ষেপ করে দাও।
গাছের আগায় থাকা লোকটিকে বললো-এ দড়িটা ধরে নিয়ে দড়ির ফাঁস তোমার কোমরে পরে নাও।
গাছের নীচে জমা হওয়া গ্রামবাসী সবাইকে খালাসী বললো-দড়ির এ প্রান্ত ধরে সজোরে হেঁচকা টান দাও।
সবাই মিলে হেঁচকা টান দেওয়ার সাথে সাথে লোকটি গাছের আগা থেকে মুহুর্তের মধ্যে নীচে এসে পড়লো। লোকটি মারা গেল।
লোকেরা খালাসীকে জিজ্ঞেস করলো, এটা তোমার কেমন পদ্ধতি ছিল? এ লোক দেখি মারা গেছে।
খালাসী বললো, মারা গেছে তা আমি কি করবো? আমি শত শত মানুষকে এ পদ্ধতিতে দড়ি বেঁধে কুয়াঁ থেকে তুলেছি কেউ তো মরেনি। এ লোক মরে গেল কেন? ওর তকদীরে মৃত্যু ছিল তাই মরেছে।
সুতরাং এ খালাসী যেভাবে কুয়াঁর সাথে খেজুর গাছকে কেয়াস করেছে ঠিক তেমনি দেশের নেতাদের প্রয়োজন পূরনের জন্যে কোরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা করা হয়। খাদ্যের অভাবের কারণে জন্মনিয়ন্ত্রন, বিয়েতে বয়সের সীমা নির্ধারণ করা, ফারায়েযে আল্লাহর নিয়মের রদবদল, তালাক ও খোরপোষের মাসআলায় পরিবর্তন ইত্যাদি কোরআনের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব থাকার পরিচয় বহন করে।
(আল-এফাযাতুল ইয়্যাওমিয়্যাহ; খন্ড ১, পৃষ্ঠা -১০৯)