কাবুসের অধঃপতনের প্রতিকারের উপায় স্থির

সুহৃদজনেরা সকলেই একবাক্যে বলল যে, তোমার এ সমস্যার কারণ হল তোমার পুত্রের অসৎ স্বভাব। সে-ই তো যত অনিষ্টের মূল। দেখ কিভাবে তার অসৎ স্বভাব পরিবর্তন করা যায়। তা না হলে সমাজে তোমার যতটুকু প্রতিষ্ঠা লাভ হয়েছিল, অবশ্যই তা নষ্ট হয়ে যাবে।

অতঃপর তারা এমন একটি উপায় উদ্ভাবনের পরামর্শ বসে গেল যা দ্বারা কাবুসের চরিত্রের পরিবর্তন ঘটে। কেউ বলল, যে সকল দুশ্চরিত্র যুবকগুলি তার নিকট আসে, তাদের অভিভাবগণকে বলা হোক তারা যেন আপন আপন সন্তানদিগকে শায়েস্তা করে রাখে, যেন তারা কেউ কাবুসের কাছে না আসতে পারে। আবার এর জবাব স্বরূপ অন্য কেউ বলল যে, এ ব্যবস্থায় লাভ হবে না। কারণ এখন ওদের প্রতি গার্জিয়ানদের কোন হাত নেই। যদি তাই থাকত তবে কাবুসও তার পিতার অবাধ্য হতে পারত না।

একজন বলল, কাবুসকে এখন টাকা পয়সা দেয়া বন্ধ করে দাও যাতে তার হস্তে একটি পয়সাও ব্যয় না করতে পারে। এমন ব্যবস্থা করলে দেখবে আপনা হতে সে শায়েস্তা হয়ে যাবে।

কাবুসের পিতা বলল, যদি তাই পারতাম তবে আর তোমাদের ডাকছি কেন? এখন সে আমার কোন তোয়াক্কাই করে না। অর্থের প্রয়োজন হলে আপন ইচ্ছেনুযায়ী ফসল বেচে বা মক্কেলদের নিকট হতে আদায় করে যখন তখন যা ইচ্ছা উঠিয়ে দেয়। এতে বাধা দান করলে মারমুখী হয়ে উঠে।

এ কথা শুনে জনৈক বিজ্ঞ ও স্থিরবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি বলল-তোমাদের এ সকল বুদ্ধি কাজে আসবে না। কাবুসের পিতা! তুমি আমার একটি পরামর্শ গ্রহণ কর! অদৃষ্ট ভাল হলে হয়ত তাতে ফল দর্শিবে। দেখা যাচ্ছে তোমার পুত্র এখন মদ্য এবং ব্যভিচারেই বেশী অভ্যস্ত। মদ্যপান তার নিজস্ব ব্যাপার।

এতে অপরের কিছু আসে যায় না কিন্তু ব্যভিচার দ্বারা সে অপরেরও সর্বনাশ ঘটায়। অতএব আপাততঃ তার এ কাজটিকে বন্ধ করতে পারলেই হয়। এজন্য আমার মনে হচ্ছে দেশের সর্বাপেক্ষা সুন্দরী পাত্রী তাকে বিবাহ করায়ে দিলে তার এ স্বভাব হয়ত দূর হতে পারে।

কাবুসের পিতার নিকট এ পরামর্শ উত্তম মনে হল। অন্যান্য লোকগণও এটা পছন্দ করল। অতএব সকলেই এ সিদ্ধান্তের পরে পরামর্শ সভা ভঙ্গ করল যে, কাবুসের পিতা পুত্র কাবুসকে শীঘ্রই এক অতি সুন্দরী পাত্রী বিবাহ করিয়ে দিবেন।

Written By

More From Author

কাবুসের অধঃপতনের প্রতিকারের উপায় স্থির

সুহৃদজনেরা সকলেই একবাক্যে বলল যে, তোমার এ সমস্যার কারণ হল তোমার পুত্রের অসৎ স্বভাব। সে-ই তো যত অনিষ্টের মূল। দেখ কিভাবে তার অসৎ স্বভাব পরিবর্তন করা যায়। তা না হলে সমাজে তোমার যতটুকু প্রতিষ্ঠা লাভ হয়েছিল, অবশ্যই তা নষ্ট হয়ে যাবে।

অতঃপর তারা এমন একটি উপায় উদ্ভাবনের পরামর্শ বসে গেল যা দ্বারা কাবুসের চরিত্রের পরিবর্তন ঘটে। কেউ বলল, যে সকল দুশ্চরিত্র যুবকগুলি তার নিকট আসে, তাদের অভিভাবগণকে বলা হোক তারা যেন আপন আপন সন্তানদিগকে শায়েস্তা করে রাখে, যেন তারা কেউ কাবুসের কাছে না আসতে পারে। আবার এর জবাব স্বরূপ অন্য কেউ বলল যে, এ ব্যবস্থায় লাভ হবে না। কারণ এখন ওদের প্রতি গার্জিয়ানদের কোন হাত নেই। যদি তাই থাকত তবে কাবুসও তার পিতার অবাধ্য হতে পারত না।

একজন বলল, কাবুসকে এখন টাকা পয়সা দেয়া বন্ধ করে দাও যাতে তার হস্তে একটি পয়সাও ব্যয় না করতে পারে। এমন ব্যবস্থা করলে দেখবে আপনা হতে সে শায়েস্তা হয়ে যাবে।

কাবুসের পিতা বলল, যদি তাই পারতাম তবে আর তোমাদের ডাকছি কেন? এখন সে আমার কোন তোয়াক্কাই করে না। অর্থের প্রয়োজন হলে আপন ইচ্ছেনুযায়ী ফসল বেচে বা মক্কেলদের নিকট হতে আদায় করে যখন তখন যা ইচ্ছা উঠিয়ে দেয়। এতে বাধা দান করলে মারমুখী হয়ে উঠে।

এ কথা শুনে জনৈক বিজ্ঞ ও স্থিরবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি বলল-তোমাদের এ সকল বুদ্ধি কাজে আসবে না। কাবুসের পিতা! তুমি আমার একটি পরামর্শ গ্রহণ কর! অদৃষ্ট ভাল হলে হয়ত তাতে ফল দর্শিবে। দেখা যাচ্ছে তোমার পুত্র এখন মদ্য এবং ব্যভিচারেই বেশী অভ্যস্ত। মদ্যপান তার নিজস্ব ব্যাপার।

এতে অপরের কিছু আসে যায় না কিন্তু ব্যভিচার দ্বারা সে অপরেরও সর্বনাশ ঘটায়। অতএব আপাততঃ তার এ কাজটিকে বন্ধ করতে পারলেই হয়। এজন্য আমার মনে হচ্ছে দেশের সর্বাপেক্ষা সুন্দরী পাত্রী তাকে বিবাহ করায়ে দিলে তার এ স্বভাব হয়ত দূর হতে পারে।

কাবুসের পিতার নিকট এ পরামর্শ উত্তম মনে হল। অন্যান্য লোকগণও এটা পছন্দ করল। অতএব সকলেই এ সিদ্ধান্তের পরে পরামর্শ সভা ভঙ্গ করল যে, কাবুসের পিতা পুত্র কাবুসকে শীঘ্রই এক অতি সুন্দরী পাত্রী বিবাহ করিয়ে দিবেন।

Written By

More From Author

You May Also Like

মুগীরা ইবন শু’বা (রা)

নাম আবু আবদিল্লাহ মুগীরা, পিতা শু’বা ইবন আবী আমের। আবু আবদিল্লাহ ছাড়াও আবু মুহাম্মাদ ও…

সাপের তওবা

একটি সাপের ঘটনা বর্ণনা করছি। আমার কাছে যারা তালীম গ্রহন করতে আসে প্রথমেই আমি কাউকে…

আবদুল্লাহ ইবন হুজাফাহ আস-সাহমী-(রা)

আবু হুজাফাহ আবদুল্লাহ নাম। পিতার নাম হুজাফাহ। কুরাইশ গোত্রের বনী সাহম শাখার সন্তান। ইসলামী দাওয়াতের…