কবর থেকে ফিরে আসা এক যুবতীর কিছু কথা
করাচীর গুলশান ইকবাল এলাকায় বাইতুল করম জামে মসজিদে মাওলানা মুফতি আব্দুর রউফ ওয়াজ করার সময়ে একটি বিস্ময়কর ঘটনা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ঘটনার ঘটেছে পাকিস্তানের গিলগিট অঞ্চলে।
একজন লোক একটি কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তার কানে নারী কন্ঠে চিৎকার ভেসে এলো-আমাকে বের কর, আমি বেঁচে আছি। একাধিকবার এ আওয়াজ শুনার পর লোকটি লোকালয় গিয়ে লোকদের জানালেন। অনেক কবরের পাশে গিয়ে একই আওয়াজ শোনার পর স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেবের মতামত জানার জন্য গেল। ইমাম সাহেব কবর খুড়ে মেয়েটিকে বের করার সিদ্ধান্ত জানালেন।
কবরের উপরের মাটি খুড়ে সরিয়ে একখানি তক্তা সরিয়ে দেখা গেল কবরের ভিতর বসা মেয়েটি উলঙ্গ। তার গায়ে কাফন নেই। মেয়েটি বলল, আমাদের বাড়ী গিয়ে আমার জন্য পোশাক নিয়ে আসো। দ্রুত গিয়ে একজন পোশাক নিয়ে এসে কবরের ভিতর ছুড়ে দিল। পোশাক পরিধান করে কবর থেকে আপাদমস্তক ঢেকে বের হয়ে মেয়েটি নিজের বাড়িতে গেল এবং একটি কামরায় প্রবেশ করে ভিতর থেকে বন্ধ করে দিল। তাঁকে দরজা খুলে দিতে বলা হলে সে বলল, দরজা খুলে দিচ্ছি, তবে খুব সাহসী লোক ব্যতীত কেউ আমার কামরায় আসবেন না।
কারণ, আমাকে দেখে হার্টফেল করতে পারে। কয়েকজন সাহসী লোক ভিতরে প্রবেশ করল। মেয়েটি প্রথমে তার মাথার কাপড় সরলো। দেখা গেল, তার মাথার তো চুল নেই, চুলের নিচে মাথার চামড়াও নেই। এরকম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সে বলল, বেঁচে থাকার সময় আমি মাথার চুল খোলা রেখে পথেঘাটে চলাফেরা করতাম। বেগানা পুরুষদেরকে আমার চুলের সৌন্দর্য দেখাতাম। এ কারণে আমার মাথার চামড়াসহ সব চুল টেনে টেনে তুলে ফেলা হয়েছে। তারপর মেয়েটি চেহারা দেখালো। দেখা গেল তার উপরের ঠোঁট কেটে ফেলা হয়েছে। চেহারায় শুধু দুই পাটি দাঁত ছাড়া আর কিছুই নেই। ঠোঁট কেন নাই জিজ্ঞাসা করায় সে বলল, বেঁচে থাকা অবস্থায় দুই ঠোঁটে লিপিস্টিক লাগিয়ে বেপর্দা অবস্থায় ঘরের বাইরে বেগানা পুরুষদের মধ্যে বিচরণ করতাম, এ কারণে আমার ঠোঁট কেটে ফেলা হয়েছে।
মেয়েটি তারপর তার হাত পায়ের নখবিহীন আঙ্গুল দেখালো। তার একটি নখ ও নেই, নখের কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করায় বলল, আমি হাত পায়ের আঙ্গুলে নেলপালিশ লাগাতাম, এজন্য আমার হাত পায়ের নখ তুলে ফেলা হয়েছে।
মাথা, ঠোঁট এবং নখ দেখানোর পর মেয়েটি আর কোন কথা বলল না। দেখা গেল, তার প্রাণহীন দেহ পড়ে আছে। আত্মীয়-স্বজন কাঁদতে কাঁদতে মেয়েটিকে পুনরায় তার কবরে দাফন করে এলো।