একজন আবেদার সাথে সাক্ষাত
হযরত জুন্নন মিশরী (রহঃ) বলেন, একদা আমি বাইতুল মোকাদ্দাস চত্বরে পায়চারী করছিলাম । এমন সময় আমার কানে আওয়াজ এল। যেন কেউ নিজের বিবিধ ভাল কামনা করে মুনাজাত করছে। আমি সেই আওয়াজ অনুসরণ করে সামনে এগিয়ে দেখলাম, এক আবেদা নারী আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করছে। মহিলার গায়ে একটি পশমী জুব্বা; মাথায় উড়না এবং দেহে যেন গোশত বলতে কিছুই নেই। মাওলার এশকের আগুনে জ্বলেপুড়ে যেন সে একেবারেই নিঃশেষ হয়ে গেছে। আমি নিকটে গিয়ে সালাম করলাম। সে সালামের জবাব দিয়ে জুন্নন বলে আমাকে আহ্বান করল। আমি অবাক বিস্ময়ে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি আমার নাম জানলে কি করে? সে বলল, জুন্নন! আল্লাহ পাক আমার অন্তর হতে অজ্ঞতা ও অদৃশ্যে পর্দা উঠিয়ে দিয়েছে। আমি বললাম তোমার সেই মোনাজাতটি আবার শোনাও। সে আবার নিজের ভাল কামনা করে মুনাজাত করল। কিছুক্ষণ পর সে মাটিতে ঢলে পড়ে। আমি সামনে ঝুকে দেখলাম সে মৃত্যু বরণ করেছে।
এবার আমি শঙ্কট অনুভব করতে লাগলাম। ইতোমধ্যে সেখানে কোথা হতে এক বৃদ্ধার আগমণ ঘটল। সে মৃতের চেহারা দেখে বলল, অর্থাৎ সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি তাকে সম্মানিত করেছেন। আমি বৃদ্ধার পরিচয় ও বিস্তারিত অবস্থা জানতে চাইলে সে বলল, আমার নাম জোহরা। আর এই মাইয়্যেত আমার মেয়ে। বিশ বছর যাবৎ সে এখানে ইবাদতে লিপ্ত ছিল। মানুষ তাকে দিওয়ানী মনে করত। আসলে আল্লাহ পাকের এশক ও মোহাব্বতে তার এ অবস্থা হয়েছিল।