এক মহিলা চোরের সংশোধন
একবার দজলা নদীর তীরে প্রখ্যাত বুজুর্গ মায়রুখ কারখী (রাঃ) তার কাপড় ও কোরআন শরীফ রেখে ওযু করতে বসলেন। এ সময় এক মহিলা তথায় এসে হযরতের কাপড় ও কোরআন শরীফ নিয়ে চলে গেল। হযরত মায়রুখ কারখী (রাঃ) বুঝতে পেরে তার পেছনে ছুটলেন। মহিলা তাকে দেখে ভয় পেয়ে প্রাণপণে দৌড়াতে লাগল। হযরত মায়রুখ কারখী (রাঃ) মহিলার নিকট গিয়ে তাকে ডেকে বললেন, হে রমণী! তুমি ভয় পেয়োনা আমি মায়রুখ কারখী, তোমার অনিষ্টের কোন সম্ভাবনা নেই। অভয়বানী শুনে মহিলা দাঁড়াল।
তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে বোন! তোমার কি এমন কোন সন্তান আছে যে কোরআন পড়তে পারে? সে বলল না।তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে তোমার ভাই কিংবা স্বামী? সে বলল- তার স্বামী কিংবা ভাই কেউই নেই। এবার হযরত মায়রুখ কারখী বললেন- তাহলে ঐ কোরআন শরীফখানা আমাকে ফেরত দাও, আর কাপড়টি তুমি নিয়ে যাও এটি তোমার জন্য হালাল করে দিলাম। ইহ-পরকাল কোথাও ওটার জন্য তোমাকে জবাবদিহিতা করতে হবে না।
হযরতের এমন আচরণে মহিলা যেন লজ্জা ও অনুশোচনায় মাটির সাথে মিশে যেতে লাগল। পরে সে বিনীতভাবে বলল- হযরত আমি এ অপরাধের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত। আমি আল্লাহ পাকের নিকট তওবা করে আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ভবিষ্যতে আর কখনো এমন অপরাথ করব না। হযরত মায়রুখ কারখী মহিলার এরকম অনুশোচনা এবং তওবার কথা শুনে তার জন্য দোয়া করলেন। তারপর যার যার পথে চলে গেলেন। হযরতের দোয়ার উছিলায় মহিলার আত্মার উন্নতি হতে লাগলো। পরবর্তীতে এই মহিলা বড় একজন ওলীতে পরিণত হয়েছিলেন।