ঈদের চাঁদ
অপরের সংশোধনের জন্যে আজকাল মানুষ খুব পেরেশান। কিন্তু নিজের সংশোধনের দিকে মনোযোগ নেই। ফলে অন্যের দোষগুলা শুধু চোখে পড়ে। নিজের দোষের কথা চিন্তা করেও না। এদের উদাহরণ হলো ঠিক সে মেয়েটির মত যে ঈদের চাঁদ দেখে প্রতি বছর আনন্দে মেতে উঠতো।
একবার ঈদের চাঁদ দেখার সময় তার ছোট শিশুটি পায়খানা করে দিল।
মেয়ে লোকটি বাচ্চাকে শূচাতে গেছে এমন সময় পাড়ার মেয়েরা ‘ ঐ চাঁদ উঠেছে, ঐ চাঁদ উঠেছে’ বলে হৈ চৈ শুরু করে দিল।
চাঁদ উঠেছে শুনে মেয়েটি তাড়াতাড়ি তার বাচ্চাকে এমন ভাবে সূচালো যে হাতটি ভাল করে ধোয়ার সময় পেলো না। চাঁদ দেখে খুশিতে দুই হাত তুলে দোয়া করতে লাগল। দোয়া শেষে হাত দুটি মুখে বুলিয়ে নিল। কিন্তু এ কি? গন্ধ কেন? ঘৃণায় থু থু ফেলে বলতে লাগলো, ছি এবারের ঈদের চাঁদে একেবারে টাটকা পায়খানার ঘন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এমন দূর্গন্ধের চাঁদ কোন দিন দেখিনি।
আসলে গন্ধ ছিল তার হাতে। বাচ্চাকে তাড়াহুড়া করে সূচাতে গিয়ে হাতে পায়খানা লেগে আছে সে দিকে তার লক্ষ্য নেই। শুধু নির্মল চাদের দিকে। যত দোষ এ সুন্দর চাঁদটিকে দেওয়া হল।
(আল-এফাযাতুল য়্যাওমিয়্যাহ)