ইসলামের বিপক্ষে হযরত ওমর (রাঃ) এর কৃতিত্ব

জন্মগতভাবেই হযরত ওমর (রাঃ) মূর্তিপূজার অনুসারী ছিলেন।  জ্ঞান, বুদ্ধি, খ্যাতিতে পিতার পদাঙ্কের যেমন অনুসারী ছিলেন তেমন মূর্তিপূজা ও আল্লাহ্‌ তায়ালার বিরোধিতায়ও পিতার নিকট থেকে উত্তরাধিকার সুত্রে লাভ  করেছিলেন।  তাঁর আন্তরিক বিশ্বাস ছিল মূর্তি পূজার দিকে। 

এ কারণে তিনি মন হতে নিরাকার আল্লাহ তালাকে ঘৃনা করতেন। তাঁর শৈশব আর যৌবনকাল কাটে মূর্তি পূজা করে।  আবুল লাহাব, আবু জাহল এবং হযরত ওমর (রাঃ) এ তিন ব্যক্তি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল। ইসলামের বিরোধিতার জন্য। এর মধ্যে হযরত ওমর (রাঃ) এবং আবু জাহলের বিরোধিতা ছিল সবচেয়ে বেশি। যারা নতুন মুসলমান হয়েছে তাঁদের উপর অত্যাচার করা এবং যেখানে সেখানে হযরত মুহাম্মদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বদনাম বলা, বাধা প্রদান, ভয়, ভীতি, অত্যাচার, নির্যাতন ইত্যাদি করে তাঁদের ইসলাম হতে দূরে রাখা ছিল তাঁদের প্রধান কাজ। 

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ইসলাম প্রচারের মাধ্যমে যখন মুসলমান এর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছিল তখন হযরত ওমর (রাঃ) এর মামা আবু জাহলের সঙ্গে বুদ্ধি করে দু’জনেই ইসলাম গ্রহনকারীদের উপর অত্যাচার আর নির্যাতন করতে আরম্ভ করে দেন। লুবনিয়া নামক একজন বাদী ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলে তাঁরা দু’জনই তাঁকে অমানুষিক ভাবে নির্যাতন করেছিলেন। সব ধরনের বিরোধিতা করার ফলেও আবু জাহেল ব্যর্থ হল। এইকদিন ইসলামের আলোতে হযরত ওমর (রাঃ) এর গৃহ হল আলোকিত। তাঁর বোন ও  ভগ্নীপতি দু’জনই ইসলাম গ্রহন করলেন। 

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।