ইবলিসও হার মানে যে অযীফার বরকতে
বর্ণনায় হযরত হিশাম বিন উরওয়াহ (রহঃ) হযরত ওমর বিন আবদুল আযীয (রহঃ) খলিফা হওয়ার আগে একবার আমার পিতা হযরত উরওয়াহ বিন যুবাইর (রাঃ)-এর কাছে এসে বলেন, গতরাতে আমি এক বিস্ময়কর স্বপ্ন দেখেছি। আমি আমার বাড়ির ছাদে বিছানায় শুয়েছিলাম। এমন সময় রাস্তায় দুমদাম আওয়াজ শুনতে পেয়ে নিচের দিকে ঝুঁকলাম। দেখতে পেলাম, ওখানে শয়তানরা নামছিল। শেষ পর্যন্ত ওরা আমার বাড়ির পিছনে ফাঁকা জায়গায় জমা হল।
তারপর ইবলিস এল। সে এসে চিৎকার করে বলল, কে আমার কাছে উরওয়াহ বিন যুবাইর (রহঃ) কে এনে হাজির করবে? তাদের মধ্যে একদল বলল, আমরা ধরে নিয়ে আসব। সুতরাং তারা চলে গেল। এবং কিছুক্ষণের মধ্যে তারা ফিরে এসে বলল, আমরা ওকে একটুও কাবু করতে পারিনি। ইবলিস তখন আগের চাইতেও বেশী জোরে চিৎকার করে বলল, কে আমার কাছে উরওয়াহ বিন যুবাইরকে ধরে আনবে। একদল শয়তান বলল, আমরা নিয়ে আসব।
তারপর তারা চলে গেল। এবং যথেষ্ট সময় কেটে যাবার পর ফিরে এসে বলল, আমরাও ওকে কব্জা করতে পারিনি। ইবলিস তৃতীয়বার চেঁচিয়ে উঠল (এবং এত জোরে চেঁচাল যে,) আমি ভাবলাম, জমিন হয়তো ফেঁটে গেছে। কে আমার কাছে উরওয়াহ বিন যুবাইরকে ধরে আনবে? দীর্ঘক্ষণ পর সেই দলটা ফিরে এল। বলল, আমাদের ছলাকলাও ওর কাছে খাটেনি। ওকে আমরাও কব্জা করতে পারিনি। ইবলিস তখন নারাজ হয়ে চলে গেল। সেই জ্বিনরাও তার পিছনে পিছনে গেল।
হযরত ওমর বিন আবদুল আযীয (রহঃ)-এর মুখে একথা শোনার পর উরওয়াহ বিন যুবাইর বললেন, আমার পিতা হযরত যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রাঃ) বলেছেন- আমি জনাব রাসূলে পাক (সাঃ)-কে শুনেছি- যে ব্যক্তি রাত ও দিনের সূচনায় (সকাল ও সন্ধ্যায়) এই দুয়াটি পড়বে, আল্লাহ তাকে ইবলিস ও তার বাহিনীর থেকে হেফাজতে রাখবেনঃ بسم الله ذي الشأن عظيم البرهان شديد السلطان ما شاءالله ما كان با لله من الشيطان (দুয়াটির বাংলা উচ্চারণ) বিসমিল্লাহি যিশ শান, আযীমিল বুরহান, হাদীদিস সুলতান, মা শা আল্লাহ মা কানা আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইতন।