‘ইনশা আল্লাহ’ না বলায়

আজকাল তওবা, দোয়া এবং বিনয় সম্পূর্ণরূপে বিদায় হয়ে গেছে।

দুনিয়াদারদের কথা কী বলবো, দীনদারদের মধ্যেও এ জিনিস পাওয়া যায় না। কেমন যেন উদাসীনতা আর রুক্ষতা ভাব চেপে বসেছে। এ কারণেই কোন কাজে বকরত এবং স্বাদ পাওয়া যায় না।

অথচ তওবা এবং দোয়া এ দুটি জিনিষ বিপদ এবং মুছিবতের সময় ঢাল এবং অস্ত্রের মতো কাজ করে। বিপদে পড়লে তখন এসব মানুষের হুশ হয়। যেমন একটি লোক হাটে যাচ্ছে গরু কিনতে। রাস্তায় এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, “কোথায় যাচ্ছো?” বললো গরু কিনতে।

লোকটি বললো, ভাল কাজে ইনশাল্লাহ বলতে হয়। সে বললো, এতে আবার ইনশাল্লাহ বলা কী আছে? আমার পকেট টাকা আছে, হাটে আছে গরু। যাবো আর কিনবো। এতে আবার ইনশাল্লাহ বলতে হবে কেন?

বেচারা লোকটি চুপ হয়ে গেল।

অতঃপর লোকটি হাটে গিয়ে একটি গরু পছন্দ করলো। দাম-দর ঠিক করে টাকা জন্যে পকেটে হাত দিল। পকেটে হাত নীচের দিক দিয়ে বের হয়ে পড়লো। টাকা নেই। পকেটমার পকেট কেটে নিয়ে গেছে। হায়রে ইনশাল্লাহ! একি হলো। পকেটে হাত ঝুলাতে ঝুলাতে লোকটি বাড়ি ফিরে যাচ্ছিল। রাস্তায় সে লোকটির সাথে আবার দেখা  হলো। লোকটি জিজ্ঞেস করলো- কি ভাই, গরু কেনা হয়েছে?

গরু পছন্দ করলাম ইনশাল্লাহ। দাম-দর ঠিক করলাম  ইনশাল্লাহ! টাকার জন্য পকেটে হাত দিয়েছি ইনশাল্লাহ। কিন্তু পকেটমার পকেট কেটে টাকা নিয়ে গেছে ইনশালাহ। গরু কেনা হয়নি ইনশাল্লাহ। বাড়ি ফিরে যাচ্ছি ইনশাল্লাহ,

এভাবে হাত দুলাতে দুলাতে এবং ইনশাল্লাহ বলতে বলতে লোকটি বাড়ি চলে গেল।

এখন আর ইনশাল্লাহ বলে কি হবে? আগেই ইনশাল্লাহ বলা উচিৎ ছিল (এফাযাতুল য়্যাওমিয়্যাহ খন্ড-৮,পৃষ্ঠা -৫২)

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।