আহমদাবাদে এক অবিবাহিত যুবতী মেয়ের মৃত্যু
ভারতের আহমদাবাদ শহরকে বলা হয় ভারতের মানচেষ্টার। শহরের জামালপুরা মহল্লায় এক বনেদী মুসলিম পরিবারের এক কুমারী মেয়ে হঠাৎ মারা যায়। কবর দেওয়ার পর এক মাস কেটে গেছে। এ সময় মেয়ের মা পর পর ৬ বার স্বপ্নে দখলো তাকে বলছে মা আমাকে বের করো আমি বেঁচে আছি। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলো। তারপর পুলিশের উপস্থিতিতে কবর খনন করা হলো। দেখা গেল কবরে মেয়েটি জীবিত।
তার মাথার চুলে দুটি কালো সাপ চেহারায় এবং হাত পায়ের নখে বিচ্ছু কামড়ে ধরে আছে। সবাই অপেক্ষা করল কি করা যায়। আসরের আযানের সাথে সাথে সাপ বিচ্ছু উধাও হয় গেল। অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকা মেয়টিকে কবর থেকে বের করা হলো এবং আহমদাবাদের চ্যারিটেবল হাসপাতালে সি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হলো। সেখানে মেয়টির চিকিৎসা করা হচ্ছিল। মেয়েটির ঠোঁট ছিল না। জ্ঞান ফিরে আসার পর সে বলল আমার চিকিৎসার দরকার নেই। আমি ১৫ দিনের জন্য পুনরায় এসেছি। তোমরা নামায পড় রোযা রাখ।
১২ দিন পর মেয়েটি সম্পূর্ণ অচেতন হয়ে গেল তাঁকে পুনরায় কবর দেয়া হল। মেয়েটি ছিল ফ্যাশনপ্রিয় এবং হাতে পায়ে নখ পালিশ করতো। এটাই ছিল জানামতে তার অপরাধ। সে ছিল মিশুক স্বভাবের মেয়ে। বহু লোক মেয়টিকে এক নজর দেখার জন্য হাসপাতালে ভীড় করতো। সবাই বলাবলি করছিল যে, মহান আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী এ ঘটনা ঘটেছে।
মহান আল্লাহ চান মুসলমানরা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে যেন জীবন কাটায়। ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম। অন্য কোন ধর্মের অনুসরণ করে মৃত্যু পরবর্তী জীবনে শান্তি পাওয়া যাবে না। কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তির জন্য কোরআনের ঘোষণা অনুযায়ী অনন্ত কাল দোযখের আগুনের অচিন্তনীয় যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি অবধারিত।