আল্লাহর কাছে প্রার্থনা

রাসূল (সাঃ) তাঁর শত ব্যস্ততার ভিতরও প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় থেকে আট ঘণ্টা আল্লাহর ইবাদাতে কাটাতেন। এমনকি বদর যুদ্ধের সেই কঠিন মুহূর্তে কাফেরদের তিন ভাগের এক ভাগ নিরস্ত্রপ্রায় মুসলমানদের যুদ্ধক্ষেত্রে রেখে তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনায় বসে গেলেন। আর আল্লাহ দিলেন তাকে চূড়ান্ত বিজয়। নামাজরত অবস্থায় পায়ে বিদ্ধ তীর টেনে বের করার পরও টের পাননি যিনি, তিনিই হয়েছিলেন কাফিরদের ত্রাস শেরে খোদা হযরত আলী হায়দার।

আর তাইতো খেলাফতের যুগে চীনের এক গোয়েন্দা চীন সম্রাটের কাছে মুসলমানদের ব্যাপারে রিপোর্ট করেছিল-” এদের রাত কাটে জায়নামাজে কেঁদে কেটে, আর দিনের বেলার আকাশ অন্ধকার হয়ে যায় এদের ঘোড়ার খুরের দাপটে, উড়ন্ত ধুলায়; সুতরাং এদের কেউ পরাস্ত করতে পারবে না।” ঠিক তেমনি যুদ্ধের বিজয়ের মতোই আত্মগঠনের সাফল্যের জন্যেও দরকার আল্লাহর কাছে অবিরত প্রার্থনা। যেমন আল্লাহই শিখিয়েছেন দোয়া “হে প্রভু আপনি আমাদের জ্ঞান বাড়িয়ে দিন।”

আধুনিক বিজ্ঞানীরাও ধর্মের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। বিজ্ঞানীদের ভিতর সবচেয়ে বড় নোবেল পাওয়া বিজ্ঞানী এলেঙ্গী কমরেখ পৃথিবীর সর্বাধিক প্রচারিত ‘রিডার্স ডাইজেস্ট’ পত্রিকায় এক প্রবন্ধে লেখেন, “প্রার্থনা একজন মানুষকে সবচেয়ে বড় মুক্তি দান করতে পারে। এই শক্তি কাল্পনিক শক্তি নয় মাধ্যাকর্ষণের মতোই তা অত্যন্ত বাস্তব। একজন ডাক্তার হিসাবে আমার অভিজ্ঞতা হল সমস্ত ওষুধ ও চিকিৎসা যেখানে ব্যর্থ সেখানে প্রার্থনার জোরে মানুষ নবজীবন লাভ করেছেন। রেডিয়ামের মতই আলো এবং শক্তি ছড়ায় প্রার্থনা। মানুষের শক্তি সীমিত, কিন্তু প্রার্থনার দ্বারা সে অসীম শক্তিকে ডাকতে পারে নিজের শক্তি বাড়াবার জন্যে। প্রার্থনা এমন একটি শক্তি যার দ্বারা মানুষ উপকার পায়ই।”

সুপ্রিয় মণিমুক্তার হিরকখন্ডরা, এসো আমরা সবাই অসীম করুণাময় আল্লাহর কাছে হাত তুলি আর দোয়া করি তাঁরই ভাষায় আমাদের জন্যে তিনি বাধ্যতামূলক করেছেন প্রতিদিন যেটি কমপক্ষে সতেরবার “…ওগো আমাদের প্রভু আমাদের সহজ সরল, সফলতার পথ দেখাও…।”

ছোট্টমণি ভাই-বোনেরা, এবার এরই ধারাবাহিকতায় তোমাদের নিয়ে কিছু মৌলিক আলোচনায় যেতে চাই। চলোই না দেখি অনেক অনেক বড় হওয়ার জন্য আমাদের আর কি কি দরকার!

সময়-এখনই উপযুক্ত সময়

গ্রামের ভূত..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *