আবরাহা কর্তৃক কা’বা গৃহ ধ্বংসের পরিকল্পনা-পর্ব ৪
আবরাহা কর্তৃক কা’বা গৃহ ধ্বংসের পরিকল্পনা-পর্ব ৩ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বাকি সৈন্যদের সকলে যেন অশ্বারোহী সৈন্য দলের সদস্য হয়। পদাতিক বা নৌবাহিনীর সৈন্যদেরকে এ অভিযানে অংশ গ্রহণ করতে দেয়া হবে না। বাদশাহর আদেশ শুনে প্রধান সেনাপতি জি হুজুর বলে চলে গেল। সৈন্যদের মাঝে গিয়ে বাদশাহর হুকুম অনুসারে যোগ্য সেনাদেরকে বেছে নিল।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মের এক মাস একুশ দিন পূর্বে আবরাহা সসৈন্যে কা’বা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করল। বিরাট হাতীর বহর সম্মুখে, পিছনে অশ্বারোহী সৈন্য ব্যাটেলিয়ন।
তাঁদের সৈন্য সংখ্যা ছিল মোট সাত হাজার। পথিমধ্যে তার নিজস্ব কতক লোকে এ অভিযানে অগ্রসর না হবার জন্য অনুরোধ করল। আবরাহা এ সমস্ত বাঁধা দানকারীদেরকে হত্যা করল। তার মেজাজ ছিল তখন অত্যন্ত ক্ষিপ্ত। তাই তার কাজে বাঁধা দানকারী লোকেরা তার নিজস্ব হওয়া সত্ত্বেও তাদেরকে রেহাই দেয় নি।
আবরাহা সেনাবাহিনী নিয়ে দ্রুত মক্কা নগরীতে পৌঁছল এবং কা’বা গৃহের অনতি দূরে শিবির স্থাপন করে শত্রু দলের প্রতিক্রিয়া উপলব্ধি করার আশায় রইল। কোন সাড়া শব্দ পাওয়া গেল না। অতঃপর দিনের শেষে কোরাইশদের একজন দূত এসে আবরাহকে জানাল যে, মক্কার সর্বজন পূজ্য নেতা আবদুল মোত্তালেব তার সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী।
আবরাহা এ খবর শুনে ভাবল, হয়ত তাকে তার অভিযানের তৎপরতা বন্ধ করার অনুরোধ নিয়ে আবদুল মোত্তালেব তার নিকট দেখা করতে চাচ্ছে। আবরাহা এ বিষয় খুব গুরুত্ব সহকারে না ভেবে দূতকে বলে দিল, হ্যাঁ, তাকে এখানে আসতে বল।
দূত ফিরে এসে আবদুল মোত্তালেবকে আবরাহার মন্তব্য জানাল। আবদুল মোত্তালেব তখন দূতকেসহ রওয়ানা করলেন। দূত বলল, হুযুর! আপনি মক্কার সর্বজন পূজ্য নেতা। আপনি আজকে যে শক্তিশালী বাদশাহর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন তাকে আপনার সংগে অন্তত দু’এক হাজার লোক থাকা উচিত।
আবরাহা কর্তৃক কা’বা গৃহ ধ্বংসের পরিকল্পনা-পর্ব ৫ পড়তে এখানে ক্লিক করুন