আবরাহা কর্তৃক কা’বা গৃহ ধ্বংসের পরিকল্পনা-পর্ব ২
আবরাহা কর্তৃক কা’বা গৃহ ধ্বংসের পরিকল্পনা-পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
প্রথম বছর আবরাহার এবাদাতগৃহ ও মেলা দর্শনের নিমেত্ত মানুষের মনে উৎসাহের সৃষ্টি হল। তাই নির্দিষ্ট তারিখে আবরাহার মেলায় বহুলোক জমায়েত হল। কিন্তু হাদিয়া তোহফা প্রদানের কোন নমুনা পরিলক্ষিত হল না।
আবরাহা জনসমাবেশ দেখে খুব খুশী হল। সে মনে মনে ভাবল ক্রমে ক্রমে তার এবাদাতখানা জনসমর্থন লাভ করবে এবং আগামীতে আরো জনসমাবেশ হবে। পরে হাদিয়া তোহফাও আসবে।
দ্বিতীয় বছর সেখানে আর তেমন লোক জনের উপস্থিত দেখা গেল না। তাই আবরাহা এটাকে জনপ্রিয় করে তোলার উদ্দেশ্যে সকল রকম প্রচেষ্টা আরম্ভ করল। সেখানে জন সাধারণের সুযোগ সুবিধার জন্য অনেক অর্থ ব্যয় করল। অনেক অট্টালিকা নির্মাণ করল। সর্ব সাধারণের আপ্যায়নের ভাল ব্যবস্থা করা হল।
দেশ বিদেশী আমির ওমরাগণের জন্য বিভিন্ন রকম বিলাস বহুল বাসস্থান তৈরি করা হল। আরো অনেক রকম প্রলোভন জাতীয় ব্যবস্থাদী সম্পন্ন করা হল। কিন্তু দুঃখের বিষয় তৃতীয় বছর জন সমাগম আরো কম হল। তখন আবরাহা খুবই নিরুৎসাহ হল। এবাদাতগৃহের অনেক কর্মচারী বিদায় হয়ে গেল।
এ সময় একজন কোরাইশ বংশীয় লোক এসে নিজের পরিচয় গোপন করে আবরাহার নিকট তার এবাদাতখানার খেদমতগার হিসেবে থাকার আবেদন জানাল। আবরাহা তার বেতন ভাতা সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে সে জানাল তার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হলেই চলবে।
সে একমাত্র পরকালের মুক্তির জন্য এখানে বসবাসের নিয়ত করে এসেছে। আবরাহা দেখল এতটা মন প্রাণ নিয়ে আসা লোকটিকে ফিরিয়ে দেয়া ঠিক হবে না। তাই তাকে সেখানের ঝাড়ুদার হিসেবে নিযুক্ত করল।
লোকটি নিয়মিত এবাদাতগৃহের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব পালন করে এবং আবরাহার ব্যক্তিগত খেদমতেও বেশ সময় দান করে। এভাবে বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হবার পরে লোকটি সেখানে বেশ বিশ্বস্ততা অর্জন করল। তখন তার নিকট এবাদাতগৃহের চাবি প্রদান করা হল। লোকটি প্রকাশ্যে একজন নিষ্ঠাবান ও ধার্মিক হিসেবে চিহ্নিত হল।
আবরাহা কর্তৃক কা’বা গৃহ ধ্বংসের পরিকল্পনা-পর্ব ৩ পড়তে এখানে ক্লিক করুন