আদম ও হাওয়া (আঃ) কে দুনিয়ার প্রেরণ
বেহেশতবাসী সকলে বলল আদম-হাওয়া আল্লাহর দরবারে পাপী হয়ে পাগলের ন্যায় বেহেশতে ঘোরাফেরা করছে। দরবারে এলাহী থেকে তিন বার তাঁদেরকে ডাকা হল, কিন্তু তারা সে ডাকের জবাব দেন না। হযরত জিব্রাইল (আঃ) এসে বললেন, হে আদম! আপনার রব আপনাকে ডাকছেন। এবার আদম (আঃ) বললেন, লাব্বায়ক-হে রব আমি হাজির। আমি আপনার নিকট লজ্জিত। আদম ও হাওয়াকে এ আহ্বান সস্পর্কে আল্লাহ ইরশাদ করেন-
অর্থঃ তাদেরকে তাদের রব ডেকে বললেন, আমি কি তোমাদের এ বৃক্ষ হতে ফল খেতে নিষেধ করিনি এবং তোমাদেরকে কি বলিনি যে, শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
অর্থঃ হে আমাদের রব! আমরা আমাদের ওপর জুলুম করেছি, যদি আপনি আমাদের ক্ষমা না করেন ও আমাদের প্রতি রহমত না করেন তা হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। আদম (আঃ)-এর এ আবেদনের পর আল্লাহ তা’আলা বলেন-
অর্থঃ তোমরা পরষ্পরের দুশমুন হয়ে এখান থেকে বের হয়ে যাও। এক সুনির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তোমাদেরকে দুনিয়ায় অবস্থান করে কার্যনির্বাহ করতে হবে। আল্লাহ তা’আলা আরও ইরশাদ করেন- এখানেই, তোমাদের জীবন ধারণ, মৃত্যু বরণ এবং পুনরুত্থান।
এবার আদম, হাওয়া, সাপ ময়ূর ও ইবলীসকে দুনিয়ায় নিক্ষেপ করতে জিব্রাইল (আঃ) কে আল্লাহ হুকুম করেন। জিব্রাইল (আঃ) হযরত আদম (আঃ) এর নিকট গিয়ে এ কথা বলতেই তিনি ভয় পেয়ে যান এবং বেহশত হতে বিতাড়িত হওয়ার শোকে অঝোর নয়নে কাঁদতে থাকেন। অবশেষে আদম (আঃ) মিসওয়াকের জন্য বেহেশত হতে এক টুকরো কাঠ নিয়ে আসেন। বংশানুক্রমে সে কাঠ হস্তান্তর হতে হতে সর্বশেষ হযরত মূসা (আঃ)-এর হাতের লাঠিতে পরিণত হয়। হযরত আদম (আঃ) চরণদ্বীপে (এটা ভারতের একটি উপদ্বীপ) এবং হাওয়া (আঃ) খোরাসানে নিক্ষিপ্ত হন।