বনু কোরাইযার ঘটনা – পর্ব ১

হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, খন্দকের যুদ্ধের দিন আমি ঘর হইতে বাহির হইয়া লোকদের পিছন পিছন যাইতেছিলাম। হঠাৎ পিছনে কাহারো পায়ের আওয়াজ শুনিয়া তাকাইয়া দেখিলাম, হযরত সা’দ ইবনে মুআয (রাঃ) ও তাহার ভাতিজা হযরত হারেস ইবনে আওস (রাঃ) আসিতেছেন। হযরত সা’দ (রাঃ) এর হাতে একটি ঢাল ছিল। আমি মাটির উপর বসিয়া গেলাম। হযরত সা’দ (রাঃ) পাশ … বিস্তারিত পড়ুন

নবী করীম (সাঃ) ও হজরত আবু বকর (রাঃ) এর পরিবারবর্গের হিজরত – পর্ব ৩

নবী করীম (সাঃ) ও হজরত আবু বকর (রাঃ) এর পরিবারবর্গের হিজরত – পর্ব ২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন লোকজন এই অবস্থা দেখিয়া পিছু হাটিয়া গেল। আবু সুফিয়ান কোরাইশের নেতৃস্থানীয় লোকদের লইয়া আসিলেন এবং বলিলেন, ওহে তোমার তীর নিক্ষেপ একটু থামাও, আমরা তোমার সহিত কথা বলিতে চাই। কেনানা থামিয়া গেলে আবু সুফিয়ান সম্মুখে অগ্রসর হইয়া তাহার … বিস্তারিত পড়ুন

নবী করীম (সাঃ) ও হজরত আবু বকর (রাঃ) এর পরিবারবর্গের হিজরত – পর্ব ১

হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, মুহাম্মাদ (সাঃ) হিজরতের সময় আমাদিগকে এবং তাহার কন্যাগণকে (মক্কায়) রাখিয়া গিয়াছিলেন। তিনি মদীনায় যাইয়া স্থির হইবার পর হযরত যায়েদ ইবনে হারেসা (রাঃ) এর সহিত তাহার গোলাম আবু রাফে’ (রাঃ) কে দুইটি উট সহ প্রেরণ করিলেন এবং হযরত আবু বকর (রাঃ) এর নিকট হইতে অতিরিক্ত পাঁচশত দেরহামও লইয়া দিলেন যেন প্রয়োজন হইলে … বিস্তারিত পড়ুন

মুহাজিরদের জন্য আনসারদের অর্থ-সম্পদ দ্বারা সহানুভূতি – শেষ পর্ব

মুহাজিরগণও (আত্মত্যাগের খাতিরে) ডালপালাবিহীন ভাগ, যাহা দেখিতে কম মনে হয়, গ্রহণ করিতেন। অথচ সেই ভাগেই বেশী হইত। এইভাবে আনসারীর ভাগে ডালপালা মিশ্রিত ভাগ পড়িত। যাহা দেখিতে বেশী মনে হইলেও প্রকৃতপক্ষে কম হইত। খাইবার বিজয় পর্যন্ত তাহাদের মধ্যে এই রীতি চলিতেছিল। খাইবার বিজয়ের পর রাসূল (সাঃ) আনসারদিগকে বলিলেন, আমাদের নুসরত ও সাহায্যের যে হক তোমাদের উপর … বিস্তারিত পড়ুন

হযরত সোহাইব ইবনে সিনান (রাঃ) এর হিজরত – শেষ পর্ব

আর যদি তোমরা বল, তবে আমি মক্কায় আমার সম্পদের সন্ধান বলিয়া দিব, তোমরা (তাহা লইয়া লও এবং) আমার পথ ছাড়িয়া দাও। তাহারা বলিল, ঠিক আছে। এই কথার উপর তাহাদের সন্ধি হইয়া গেলে তিনি তাহাদিগকে নিজের সম্পদের সন্ধান বলিয়া দিলাম। আল্লাহ্‌ তায়ালা এই ঘটনার উপর আপন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর কোরআনের এই আয়াত নাযিল করিলেন— … বিস্তারিত পড়ুন

হযরত আলী রাঃ এর পিতৃকুল ও মাতৃকুলের বংশ পরিচয়

হযরত আলী (রাঃ) পিতৃকুল ও মাতৃকুল উভয় দিক থেকেই হাশেমী এবং রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আপন চাচাত ভাই। এ কারণে ভিন্ন কোন বংশ তালিকা এখানে উপস্থাপন করা হয়নি। তালিকাঃ আলী ইবনে আবু তালিব ইবনে আবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশেম ইবনে আবদে মানাফ ইবনে কুসাই ইবনে কিলাব ইবনে মুররাহ ইবনে কায়াব ইবনে লোবী। হযরত আলী … বিস্তারিত পড়ুন

হযরত আলী (রাঃ) এর জন্ম, বংশ ও শৈশবকাল – পর্ব ১

৬০০ ঈসায়ী সনে বিখ্যাত কুরাইশ বংশেই হযরত আলী (রাঃ) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ৩০ বছরের ছোট ছিলেন। হযরত ফাতেমা বিনতে আসাদ কা’বা ঘর তাওয়াফ করা অবস্থায় তাঁর প্রসব বেদনা শুরু হয়। তখন তাঁর মাতা ফাতেমা সাথে সাথে কা’বা ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়লেন। সে কা’বা ঘরের ভিতরেই হযরত আলী (রাঃ)-এর জন্ম হয়েছিল। তাঁর … বিস্তারিত পড়ুন

হযরত আলী ও হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর ক্ষুধার কষ্ট সহ্য করা

হযরত ফাতেমা (রাঃ) বলেন, একদিন রাসূল (সাঃ) তাঁহার ঘরে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, আমার নাতিরা (অর্থাৎ হযরত হাসান ও হুসাইন (রাঃ)) কোথায়? হযরত ফাতেমা (রাঃ) বলিলেন, সকাল হইতে আমাদের ঘরে মুখে দেওয়ার মত কিছুই ছিল না। হযরত আলী (রাঃ) বলিলেন, আমি উভয়কে আমার সঙ্গে লইয়া যাই। অন্যথা আমার আশঙ্কা হয় (ক্ষুধার দরুন) তাহারা তোমার নিকট কান্নাকাটি … বিস্তারিত পড়ুন

নবী কারিম (সাঃ ) ও তাঁহার আহলে বাইত এবং হযরত আবু বকর ও হযরত ওমর (রাঃ ) এর ক্ষুধা (সহ্য করা ) – পর্ব ১

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, একদিন হযরত আবু বকর (রাঃ) দ্বিপ্রহরের কঠিন গরমের মধ্যে ঘর হইতে বাহির হইয়া মসজিদে আসিলেন। হযরত ওমর (রাঃ) শুনিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, যে আবু বকর, এই সময় আপনি ঘর হইতে কেন বাহির হইয়া আসিলেন? তিনি উত্তরে বলিলেন, অত্যাধিক ক্ষুধার জ্বালা আমাকে বাহির হইয়া আসিতে বাধ্য করিয়াছে। হযরত ওমর (রাঃ) বলিলেন, আল্লাহর … বিস্তারিত পড়ুন

নবী করীম (সাঃ) এর সাধারণ সাহাবা (রাঃ) দের কষ্ট সহ্য করা

সাঈদ ইবনে জুবাইর (রহঃ) বলেন, আমি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করিলাম, মুশরিকগণ কি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সাহাবীদের উপর এত অত্যাচার করিত যে, অতিষ্ঠ হইয়া (বাহ্যিকভাবে) দ্বীন ছাড়িয়া দিলেও তাহাদিগকে নিরপরাধ মনে করা হইত? হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলিলেন, হ্যাঁ। আল্লাহর কসম, মুশরিকগণ একজন মুসলমানকে এত পরিমাণ মারধর করিত এবং ক্ষুধা তৃষ্ণায় কষ্ট … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!