ফুলেরা

তখন গভীর রাত।দরজায় ঠুক,ঠুক,ঠুক করে তিনবার আওয়াজ হল। কারো কান পর্যন্ত গেল না সে আওয়াজ। আবার তিনবার আওয়াজ ঠুক,ঠুক, ঠুক।না,এবারও কারো সাড়া নেই। মাঝারি ধরণের শব্দটা,যার জন্য কারো কানে যায় নি। সবাই নিশ্চিন্ত নিদ্রায় মগ্ন ছিল। তৃতীয় বার ঠুক, ঠুক, ঠুক শব্দেঅনিমেষের ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। হ্যাঁ স্পষ্ট শুনেছেন তিনি,কেউ দরজায় আওয়াজ করছে ! অন্ধকারেই দেওয়াল … বিস্তারিত পড়ুন

চাবুক

ঝুমার বাংলাদেশ ভালো লাগে না । ওর এই বারো বছর বয়সে ওই দেশটাকে জ্ঞানতঃ দেখেই নি কখনও । তবুও ঘোরতর অপছন্দ বাংলাদেশকে । আসলে বাংলাদেশের নাম শুনলেই ও দেখতে পায়, একটা ফর্সা ধবধবে নাদুসনুদুস পিঠ আর সেই পিঠে আড়াআড়ি দুটো লাল দাগ । চাবুকের দাগ । যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে ওই পিঠ আর একটা কোমল হাত সেঁক … বিস্তারিত পড়ুন

বাঁদর আর পাতিহাঁস

সেই গল্পটা হচ্ছে – একটা ছিল বাঁদর। সেই বাঁদরের কাছে হাঁসটা এসেছে। সে এসে বলছে – প্যাঁক প্যাঁক, বাঁদর ভাই তুমি কোথায় যাচ্ছ? বাঁদর বলছে, আমি গাছে যাচ্ছি। তুই কি আমার সঙ্গে উপরে আসবি? পাতিহাঁসটা বলছে, না যাব না। আমার ভীষণ কাজ আছে। আমি যেতে পারবো না। বাঁদর জানতে চাইলো, তোর কি কাজ আছে? তারপরে … বিস্তারিত পড়ুন

অলস মাছের গল্প

আজকের কাজ কালকের জন্য কখনও ফেলে রাখতে হয় না। তাহলে কী হয়? পিছিয়ে পড়তে হয়। এ জন্যই তো পইপই করে বলি, দিনের কাজ দিনে শেষ করো। দাদু, তুমিও এখন বই নিয়ে বসতে বলছো! অতনু বলতে বলতে আদরের ভঙ্গিতে দাদুর কোলের ওপর উঠে বসে। দাদু অতনুকে কোলে টেনে নেন। তারপর নরম গলায় বলেন, এখন তুমি যদি … বিস্তারিত পড়ুন

ছোটগল্প || তারার দেশ

চাদরটা দাদু হিয়াকে দিয়েছিল ওর জন্মদিনে। গাঢ় নীল। চাদরজুড়ে ছিল রুপালি কাপড় কেটে বসানো অনেক তারা। মাঝে একটা চাঁদ। চাঁদের মুখে হাসি দেখে মনে হয় রাতের আকাশে চকচক করে জ্বলছে। চাদরটা ছিল নরম তুলতুলে। ওটা হিয়ার প্রিয় চাদর। বেশ শীত পড়েছে। মা হিয়াকে একটা নতুন কম্বল কিনে দিল। কম্বলটাও ভীষণ সুন্দর! গোলাপি রঙের উপরে হলুদ … বিস্তারিত পড়ুন

পরীক্ষা

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আমাদের পরিবারের দ্বিতীয় প্রজন্মের শেষ এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে (আমার ছোট বোনের মেয়ে) নিয়ে আমিও গেলাম পরীক্ষার হলে পৌঁছে দিতে। গিয়ে দেখি হুলস্থুল কাণ্ড! প্রতিটি পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কম করে হলেও তিনজন করে গার্ডিয়ান। আর যারা গাড়িওলা তাদের কথা কি আর বলব; এই প্রচণ্ড ভিড়ে আমাদের একদম গেটের কাছেই তাদের নামতে হবে। আর তারা … বিস্তারিত পড়ুন

অতি লোভী শেয়াল

কল্যাণ নগরে বাস করতো এক ব্যাধ।তার নাম ছিল ভৈরব।তা ভৈরবই বটে।যেমনি ভয়ঙ্কর ছিল তার চেহারা,তেমনি গায়েও ছিল হাতির মতো বল। কালো কুচকুচে গায়ের রং,মাথায় ঝাঁকড়া চুল।ইয়াব্বড় পাকানো গোঁফ,কানে মকড়ি,আর জবা ফুলের মতো টকটকে লাল বড় বড় দুই চোক। তেমনি লম্বা-চওড়া দশাসই চেহারা।যেন ছোটখাটো দৈত্য একটা।যখন সে কথা বলত,মনে হত,আকাছে মেঘ গর্জাচ্ছে। হরিণ শুয়োর মিলিয়ে শিকার … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!