রাজর্ষি –- দ্বাচত্বারিংশ পরিচ্ছেদ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ত্রিচত্বারিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন চট্টগ্রাম এখন আরাকানের অধীন। গোবিন্দমাণিক্য নির্বাসিতভাবে চট্টগ্রামে আসিয়াছেন শুনিয়া আরাকানের রাজা মহাসমারোহপূর্বক তাঁহার নিকট দূত প্রেরণ করিলেন। বলিয়া পাঠাইলেন, যদি সিংহাসন পুনরায় অধিকার করিতে চান, তাহা হইলে আরাকানপতি তাঁহাকে সাহায্য করিতে পারেন। গোবিন্দমাণিক্য কহিলেন, “না, আমি সিংহাসন চাই না।” দূত কহিল, “তবে আরাকান-রাজসভায় পূজনীয় অতিথি হইয়া মহারাজ কিছু কাল … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- ত্রিচত্বারিংশ পরিচ্ছেদ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের চতুশ্চত্বারিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন স্টুয়ার্ট-কৃত বাংলার ইতিহাস হইতে এই পরিচ্ছেদ সংগৃহীত এ দিকে শা সুজা তাঁহার ভ্রাতা ঔরংজীবের সৈন্য-কর্তৃক তাড়িত হইয়া পলায়ন করিতেছেন। এলাহাবাদের নিকট যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁহার পরাজয় হয়। বিপক্ষ পরাক্রান্ত, এবং এই বিপদের সময় সুজা স্বপক্ষীয়দেরও বিশ্বাস করিতে পারিলেন না। তিনি অপমানিত ও ভীত ভাবে ছদ্মবেশে সামান্য লোকের মতো একাকী পলায়ন … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- চতুশ্চত্বারিংশ পরিচ্ছেদ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের প্রথম পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন যে দুর্গে গোবিন্দমাণিক্য বাস করিতেন, একদিন বর্ষার অপরাহ্নে সেই দুর্গের পথে একজন ফকির, সঙ্গে তিনজন বালক ও একজন প্রাপ্তবয়স্ক তল্পিদার লইয়া চলিয়াছেন। বালকদের অত্যন্ত ক্লান্ত দেখাইতেছে। বাতাস বেগে বহিতেছে এবং অবিশ্রাম বর্ষার ধারা পড়িতেছে। সকলের চেয়ে ছোটো বালকটির বয়স চৌদ্দর অধিক হইবে না, সে শীতে কাঁপিতে কাঁপিতে কাতর … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- ষট‍্‍ত্রিংশ পরিচ্ছেদ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সপ্তত্রিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন বিল্বন ফিরিয়া গিয়া দেখিলেন, ইতিমধ্যে রাজা কুকিদের বিদায় করিয়া দিয়াছেন। তাহারা রাজ্যমধ্যে উপদ্রব আরম্ভ করিয়া দিয়াছিল। সৈন্যদল প্রায় ভাঙিয়া দিয়াছেন। যুদ্ধের উদ্‌‍যোগ বড়ো একটা কিছু নাই। বিল্বন ফিরিয়া আসিয়া রাজাকে সমস্ত বিবরণ বলিলেন। রাজা কহিলেন, “তবে ঠাকুর, আমি বিদায় হই। নক্ষত্রের জন্য রাজ্য ধন রাখিয়া দিয়া চলিলাম।” বিল্বন কহিলেন, … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- সপ্তত্রিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

অষ্টাত্রিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন পূর্বদ্বার দিয়া সৈন্যসামন্ত লইয়া নক্ষত্রমাণিক্য রাজধানীতে প্রবেশ করিলেন, কিঞ্চিৎ অর্থ ও গুটিকতক অনুচর লইয়া পশ্চিমদ্বারাভিমুখে গোবিন্দমাণিক্য যাত্রা করিলেন। নগরের লোক বাঁশি বাজাইয়া ঢাকঢোলের শব্দ করিয়া হুলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনির সহিত নক্ষত্ররায়কে আহ্বান করিল। গোবিন্দমাণিক্য যে পথ দিয়া অশ্বারোহণে যাইতেছিলেন সে পথে কেহই তাঁহাকে সমাদর করা আবশ্যক বিবেচনা করিল না। দুই … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- অষ্টাত্রিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ঊনচত্বারিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন নক্ষত্ররায় ছত্রমাণিক্য নাম ধারণ করিয়া মহাসমারোহে রাজপদ গ্রহণ করিলেন। রাজকোষে অর্থ অধিক ছিল না। প্রজাদের যথাসর্বস্ব হরণ করিয়া প্রতিশ্রুত অর্থ দিয়া মোগল-সৈন্যদের বিদায় করিতে হইল। ঘোরতর দুর্ভিক্ষ ও দারিদ্র্য লইয়া ছত্রমাণিক্য রাজত্ব করিতে লাগিলেন। চতুর্দিক হইতে অভিশাপ ও ক্রন্দন বর্ষিত হইতে লাগিল। যে আসনে গোবিন্দমাণিক্য বসিতেন, যে শয্যায় গোবিন্দমাণিক্য … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- ঊনচত্বারিংশ পরিচ্ছেদ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

চত্বারিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন নক্ষত্ররায় যেদিন নগরপ্রবেশ করেন কেদারেশ্বর সেইদিনই তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে যায়, কিন্তু বহু চেষ্টাতেও সে তাঁহার নজরে পড়িল না। সৈন্যরা ও প্রহরীরা তাহাকে ঠেলিয়াঠুলিয়া, তাড়া দিয়া, নাড়া দিয়া, বিব্রত করিয়া তুলিল। অবশেষে সে প্রাণ লইয়া পলাইয়া যায়। গোবিন্দমাণিক্যের আমলে সে রাজভোগে পরম পরিতৃপ্ত হইয়া প্রাসাদে বাস করিত, যুবরাজ নক্ষত্ররায়ের … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- চত্বারিংশ পরিচ্ছে– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

একচত্বারিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন রঘুপতি আবার মন্দিরে ফিরিয়া গেলেন। গিয়া দেখিলেন, কোনো প্রেমপূর্ণ হৃদয় বস্ত্রাদি লইয়া তাঁহার জন্য অপেক্ষা করিয়া নাই। পাষাণমন্দির দাঁড়াইয়া আছে, তাহার মধ্যে কোথাও হৃদয়ের লেশমাত্র নাই। তিনি গিয়া গোমতীতীরের শ্বেত সোপানের উপর বসিলেন। সোপানের বাম পার্শ্বে জয়সিংহের স্বহস্তে রোপিত শেফালিকা গাছে অসংখ্য ফুল ফুটিয়াছে। এই ফুলগুলি দেখিয়া জয়সিংহের সুন্দর … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –- একচত্বারিংশ পরিচ্ছেদ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

দ্বাচত্বারিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন নোয়াখালির নিজামতপুরে বিল্বন ঠাকুর কিছুদিন হইতে বাস করিতেছেন। সেখানে ভয়ংকর মড়কের প্রাদুর্ভাব হইয়াছে। ফাল্গুন মাসের শেষাশেষি একদিন সমস্ত দিন মেঘ করিয়া থাকে, মাঝে মাঝে অল্প অল্প বৃষ্টিও হয়; অবশেষে সন্ধ্যার সময় রীতিমত ঝড় আরম্ভ হয়। প্রথমে পূর্বদিক হইতে প্রবল বায়ু বহিতে থাকে। রাত্রি দ্বিতীয় প্রহরের সময় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব … বিস্তারিত পড়ুন

রাজর্ষি –-ষড়্‌‍বিংশ পরিচ্ছেদ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সপ্তবিংশ পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন রঘুপতি জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ-সব কী হইতেছিল ?” নক্ষত্ররায় মাথা চুলকাইয়া কহিলেন, “নাচ হইতেছিল।” রঘুপতি ঘৃণায় কুঞ্চিত হইয়া কহিলেন, “ছি ছি!” নক্ষত্র অপরাধীর ন্যায় দাঁড়াইয়া রহিলেন। রঘুপতি কহিলেন, “কাল এখান হইতে যাত্রা করিতে হইবে। তাহার উদ্‌‍যোগ করো।” নক্ষত্ররায় কহিলেন, “কোথায় যাইতে হইবে ?” রঘুপতি। সে কথা পরে হইবে। আপাতত আমার … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!