গোরা–-৪৮ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের ঊনপঞ্চাশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সুচরিতা ভাবিতে লাগিল ললিতা এ কী কাণ্ড বাধাইয়া বসিল। কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া ললিতার গলা ধরিয়া কহিল, “আমার কিন্তু ভাই ভয় হচ্ছে।” ললিতা জিজ্ঞাসা করিল, “কিসের ভয়?” সুচরিতা কহিল, “ব্রাহ্মসমাজে তো চারি দিকে হুলস্থূল পড়ে গেছে— কিন্তু শেষকালে বিনয়বাবু যদি রাজি না হন?” ললিতা মুখ নিচু করিয়া দৃঢ়স্বরে … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৪৯ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের পঞ্চাশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন আনন্দময়ীর বাড়ি হইতে রোজ সকালবেলায় বিনয় একবার বাসায় আসিত। আজ সকালে আসিয়া সে একখানা চিঠি পাইল। চিঠিতে কাহারও নাম নাই। ললিতাকে বিবাহ করিলে বিনয়ের পক্ষে কোনোমতেই তাহা সুখের হইতে পারে না এবং ললিতার পক্ষে তাহা অমঙ্গলের কারণ হইবে এই কথা লইয়া চিঠিতে দীর্ঘ উপদেশ আছে এবং সকলের শেষে … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৫০ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের একান্নতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন যখন বিনয়ের বাসায় হারানবাবুর আবির্ভাব হইয়াছে সেই সময়েই অবিনাশ আনন্দময়ীর কাছে গিয়া খবর দিয়াছে যে, বিনয়ের সঙ্গে ললিতার বিবাহ স্থির হইয়া গেছে। আনন্দময়ী কহিলেন, “এ কথা কখনোই সত্য নয়।” অবিনাশ কহিল, “কেন সত্য নয়? বিনয়ের পক্ষে এ কি অসম্ভব?” আনন্দময়ী কহিলেন, “সে আমি জানি নে, কিন্তু এত বড়ো … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৫১ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের বায়ান্নতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সুচরিতা হঠাৎ আনন্দময়ীকে দেখিয়া আশ্চর্য হইয়া কহিল, “আমি যে এখনই আপনার ওখানে যাব বলে প্রস্তুত হচ্ছিলুম।” আনন্দময়ী হাসিয়া কহিলেন, “তুমি যে প্রস্তুত হচ্ছিলে তা আমি জানতুম না, কিন্তু যেজন্যে প্রস্তুত হচ্ছিলে সেই খবরটা পেয়ে আমি থাকতে পারলুম না, চলে এলুম।” আনন্দময়ী খবর পাইয়াছেন শুনিয়া সুচরিতা আশ্চর্য হইয়া গেল। … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৩৯ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের চল্লিশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন বরদাসুন্দরী তাঁহার ব্রাহ্মিকাবন্ধুদিগকে প্রায়ই নিমন্ত্রণ করিতে লাগিলেন। মাঝে মাঝে তাঁহাদের ছাদের উপরেই সভা হইত। হরিমোহিনী তাঁহার স্বাভাবিক গ্রাম্য সরলতার সহিত মেয়েদের আদর-অভ্যর্থনা করিতে চেষ্টা করিতেন, কিন্তু ইহারা যে তাঁহাকে অবজ্ঞা করে তাহা তাঁহার কাছে গোপন রহিল না। এমন-কি, হিন্দুদের সামাজিক আচার-ব্যবহার লইয়া তাঁহার সমক্ষেই বরদাসুন্দরী তীব্র সমালোচনা উত্থাপিত … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৪০ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের একচল্লিশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সুচরিতা নীচের ঘরে আসিয়া হারানবাবুর সম্মুখে দাঁড়াইল— কহিল, “আপনার কী কথা আছে বলুন।” হারানবাবু কহিলেন, “বসো।” সুচরিতা বসিল না, স্থির দাঁড়াইয়া রহিল। হারানবাবু কহিলেন, “সুচরিতা, তুমি আমার প্রতি অন্যায় করছ।” সুচরিতা কহিল, “আপনিও আমার প্রতি অন্যায় করছেন।” হারানবাবু কহিলেন, “কেন, আমি তোমাকে যা কথা দিয়েছি এখনো তা— ” … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৪১ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের বিয়াল্লিশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন একই সময়ে নিজের অন্তরের সঙ্গে, আবার নিজের বাহিরের সঙ্গে সুচরিতার যে সংগ্রাম বাধিয়া উঠিয়াছে তাহাতে তাহাকে ভীত করিয়া তুলিয়াছে। গোরার প্রতি তাহার যে মনের ভাব এতদিন তাহার অলক্ষ্যে বল পাইয়া উঠিয়াছিল এবং গোরার জেলে যাওয়ার পর হইতে যাহা তাহার নিজের কাছে সম্পূর্ণ সুস্পষ্ট এবং দুর্নিবাররূপে দেখা দিয়াছে তাহা … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৪২ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের তেতাল্লিশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   পরদিন প্রাতে হরিমোহিনী ভূমিষ্ঠ হইয়া পরেশকে প্রণাম করিতেই তিনি ব্যস্ত হইয়া সরিয়া গিয়া কহিলেন, “করেন কী?” হরিমোহিনী অশ্রুনেত্রে কহিলেন, “তোমার ঋণ আমি কোনো জন্মে শোধ করতে পারব না। আমার মতো এত বড়ো নিরুপায়ের তুমি উপায় করে দিয়েছ, এ তুমি ভিন্ন আর কেহ করতে পারত না। ইচ্ছা করলেও … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৩০ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের ৩১ তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ললিতাকে সঙ্গে লইয়া বিনয় পরেশবাবুর বাসায় আসিয়া উপস্থিত হইল। ললিতার সম্বন্ধে বিনয়ের মনের ভাবটা কী তাহা স্টীমারে উঠিবার পূর্বে পর্যন্ত বিনয় নিশ্চিত জানিত না। ললিতার সঙ্গে বিরোধেই তাহার মন ব্যাপৃত ছিল। কেমন করিয়া এই দুর্বশ মেয়েটির সঙ্গে কোনোমতে সন্ধিস্থাপন হইতে পারে কিছুকাল হইতে ইহাই তাহার প্রায় প্রতিদিনের … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৩১ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গল্পের ৩২ তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন গল্পের প্রথম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন বিনয় ও ললিতাকে দেখিবা মাত্র কোথা হইতে সতীশ ছুটিয়া আসিয়া তাহাদের দুইজনের মাঝখানে দাঁড়াইয়া উভয়ের হাত ধরিয়া কহিল, “কই, বড়দিদি এলেন না?” বিনয় পকেট চাপড়াইয়া এবং চারি দিকে চাহিয়া কহিল, “বড়দিদি! তাই তো, কী হল! হারিয়ে গেছেন।” সতীশ বিনয়কে ঠেলিয়া … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!