টিউবলাইট —- ঋতম সেন

বারান্দার সামনে দিয়ে তিনটে সাদা তার চলে গ্যাছে। রাস্তার ওপারের গাছটা ঝাঁকড়া হয়ে ল্যাম্পপোস্টটাকে প্রায় ঢেকে দিয়েছে।ডানদিকের বাড়ীটার পাঁচিলের কোণে একটা বেড়াল শুয়ে। বেড়াল না বেড়ালের বাচ্চা।এই বেড়ালটা আর তার মা আগে ওদের বাড়িতে যাতায়াত করতো। বারান্দায় স্টিলের চৌকো চৌকো দাঁতওলা জাল লাগানোর পর আর আসেনা। বেড়ালটা শুয়ে শুয়ে কাক দেখছিলো।তিনটে কাক রাস্তার ওপারের কালীমন্দিরওলা … বিস্তারিত পড়ুন

বিচারক-প্রথম পরিচ্ছেদ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

অনেক অবস্থান্তরের পর অবশেষে গতযৌবনা ক্ষীরোদা যে পুরুষের আশ্রয় প্রাপ্ত হইয়াছিল, সেও যখন তাহাকে জীর্ণ বস্ত্রের ন্যায় পরিত্যাগ করিয়া গেল। তখন অন্নমুষ্টির জন্য দ্বিতীয় আশ্রয় অন্বেষণের চেষ্টা করিতে তাহার অত্যন্ত ধিক্কার বোধ হইল। যৌবনের শেষে শুভ্র শরৎকালের ন্যায় একটি গভীর প্রশান্ত প্রগাঢ় সুন্দর বয়স আসে যখন জীবনের ফল ফলিবার এবং শস্য পাকিবার সময়। তখন আর … বিস্তারিত পড়ুন

মিস্‌মিদের কবচ-দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

গাঙ্গুলিমশায় চলে গেলে আমি মামাকে বললাম—আপনি মাছ নিলেন না কেন? উনি দুঃখিত হলেন নিশ্চয়। মামা হেসে বললেন—তুমি জানো না, নিলেই দুঃখিত হতেন—উনি বড় কৃপণ। —তা কথার ভাবে বুঝেচি। —কি করে বুঝলে? —অন্য কিছু নয়—বৌ-ছেলেরা কলকাতায় থাকে, উনি থাকেন দেশের বাড়িতে। একটা চাকর কি রাঁধুনী রাখেন না, হাত পুড়িয়ে এ-বয়সে রেঁধে খেতে হয় তাও স্বীকার। অথচ … বিস্তারিত পড়ুন

‘কি মুসকিল, তোরা কি আমাকে পাগল করে দিবি’|

  দেওয়ালে অথবা পোস্টারে, সাইনবোর্ডে কিংবা হোর্ডিংয়ে বিচিত্র বিপর্যয় আকছার চোখে পড়ে। তার কোনওটা, যে লিখেছে, তার বানান বোধের অভাব অথবা নিছক কোনও একটা শব্দ অসাবধানে বাদ পড়ে যাওয়াই হোক, কিংবা রসিকজনের ইচ্ছাকৃত কোনও শব্দ মুছে দেওয়াই হোক-এককথায় বিষয়টি মজাদার। কখনও কখনও আবার অতিরিক্ত একটি লাইন সংযোজনেও খেলাটা জমে ওঠে। যেমন আশির দশকের শেষের দিকে … বিস্তারিত পড়ুন

ভীতুর ডিম

ছুটি পড়ে গেছে। পূজোর ছুটি। ঘরে বসে থাকতে নীলুর একটুও ইচ্ছে করছে না। ইস্কুলটাই ওর বেশি ভাল লাগে। কত বন্ধু বান্ধব। কত হইচই করার জায়গা। কত মাঠ। গাছপালা। লুকনোর জায়গা। কি নেই? মাঝেমধ্যে বেরিয়ে টুকটাক খাওয়া। বাড়িতে সে মজা আর কোথায়। সারাদিন তো আর মা বাড়ি থেকে বেরোতে দেবে না। তারপরে একে তো গাদাখানেক ছুটির … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!