আফসানা–১ম অংশ

  ভালো করে গায়ে চাদর জড়িয়ে রাবুমামা বললেন,সে অনেক বছর আগেকথা বুঝলি।সে সময় আমার একবার সুপারন্যাচারাল এক্সপিরিয়েন্স হয়েছিল।আজ পর্যন্ত আমি যার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারিনি।বলে রাবুমামা চুপ করে রইলেন।মুখ তুলে একবার আকাশের দিকে তাকালেন।আকাশে পরিপূর্ণ একখানি চাঁদ।উথাল-পাথাল জ্যোস্নায় ভেসে যাচ্ছে চরাচর।নভেম্বর মাস;গ্রামাঞ্চচলের দিকে এই সময়ই শীত বেশ জেঁকে বসে।রাত দশটার মতো বাজে।রাবুমামার সামনে রবিন,নীলু আর … বিস্তারিত পড়ুন

নীল হাতি–নুজহাত আয়েশা

  বড়মামা ফোন দিয়েছেন।  ‘জন্মদিনে তোমার কী চাই মা?’ -‘কিচ্ছু লাগবে না মামা।’ -‘তোমার কী পছন্দ তাই বল।’ -‘আমার তো সবচেয়ে ভালো লাগে গল্পের বই।’ -‘বাহ্‌! এটা তো অনেক ভালো কথা!’ নীতু অনেক খুশি হয়! মা-বাবা ছাড়া অন্য কারও কাছে কিছু চাওয়া ঠিক না, এটা ওকে মা শিখিয়ে দিয়েছেন। নীতু নিজ থেকে কিছু চায় না … বিস্তারিত পড়ুন

আমতলি

রিদয় বলে ছেলেটা নামেই হৃদয়, দয়ামায়া একটুও ছিল না। পাখির বাসায় ইঁদুর, গরুর গোয়ালে বোলতা, ইঁদুরের গর্তে জল, বোলতার বাসায় ছুঁচোবাজি, কাকের ছানা ধরে তার নাকে তার দিয়ে নথ পরিয়ে দেওয়া, কুকুর-ছানা বেরাল-ছানার ল্যাজে কাঁকড়া ধরিয়ে দেওয়া, ঘুমন্ত গুরুমহাশয়ের টিকিতে বিচুটি লাগিয়ে আসা, বাবার চাদরে চোরকাঁটা বিঁধিয়ে রাখা, মায়ের ভাঁড়ার-ঘরে আমসির হাঁড়িতে আরশোলা ভরে দেওয়া … বিস্তারিত পড়ুন

বিকাশদা ও একটি পুকুর–বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়

জমিজায়গা টাকাপয়সা আর ঝকঝকে একখানা বাড়ি । এর বাইরেও যে জীবন আছে বিকাশদা জানত না । একটি মাত্র পুকুর ছিল বিকাশদার । ঠিক পুকুর নয় । আমাদের আঞ্চলিক গোদা বাংলায় তার নাম ছিল শালুকগড়্যা । ক্লান্ত বর্ষণ শেষে ভাদ্র মাসের দুষ্টু রোদের আভায় ঝলমল করত সেই জলাশয় । তার তীরে বসে গম্ভীর মুখে বিকাশদা মাছ … বিস্তারিত পড়ুন

অসংজ্ঞায়িত আজও

যে ঘটনার বর্ননা আমি করতে যাচ্ছি তা নিঃসন্দেহে একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং আমি ছিলাম সেই অভিজ্ঞতা বর্ননার একজন প্রত্যক্ষ শ্রোতা। ঘটনাটি নিম্নরূপঃ তালুকদার বাবু ময়মনসিংহ শহরের একটি নামী কলেজের গনিতের শিক্ষক। এখন অবসরপ্রাপ্ত। নিঃসন্দেহে বাস্তববাদী, যুক্তিবাদী এবং কুসংস্কার মুক্ত। কিন্তু তার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার ব্যাখ্যা তিনি আজও খুঁজে বেড়ান। কোনো প্রকার যুক্তি দিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

সমাপিকা

উড়ো ভাষায় এসে গেলো হাতে-খড়ির খবরটা আমার কানে । কিন্তু রামলাল রেখেছিলো পাক্কা খবর ঠিক কখন, কোন তারিখে, কোন মাসে হবে হাতে-খড়িটা । কেননা এই শুভ কাজে তার কিছু পাওনা ছিলো । কাজেই সে ঠিক সময় বুঝে, রাত ন’টার আগেই আমাকে খাঁচার মধ্যে বন্ধ করে বললে, ‘ঘুমিয়ে নাও, সকালে হাতে-খড়ি, ভোরে ওঠা চাই ।’ দু’কানের … বিস্তারিত পড়ুন

পুঁই মাচা-৪র্থ অংশ–বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর গল্প

দিন দুই-পরের কথা। সকালে উঠিয়া সহায়হরি উঠানে বাতাবিলেবু গাছের ফাক দিয়া যেটুকু নিতান্ত কচি রাঙা রৌদ্র আসিয়াছিল, তাহারই আতপে বসিয়া আপনমনে তামাক টানিতেছেন। বড়মেয়ে ক্ষেত্তি আসিয়া চুপি চুপি বলিল— বাবা, যাবে না? মা ঘাটে গেল… . সহায়হরি একবার বাড়ির পাশে ঘাটের পথের দিকে কী জানি কেন চাহিয়া দেখিলেন, পরে নিম্নস্বরে বলিলেন—যা শিগগির শাবলখানা নিয়ে আয় … বিস্তারিত পড়ুন

হারানো নদীর স্রোত-৬ষ্ঠ অংশ

  নার্সিং হোমে বাবাকে ভর্তি করে আমি সমস্ত রাত্রি একা একা বসে থাকলাম নীচে রিসেপশনে। ভগ্নিপতি অফিসের কাজে বাইরে, টেলিফোনে বোন ঝুমা কাঁদতে লাগল ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে। রাত যত বাড়তে লাগল, নার্সিং হোম চুপচাপ হয়ে গেল। ব্যস্ত পায়ে সিস্টারদের চলাফেরা দেখতে দেখতে ঝিমিয়ে পড়তে লাগলাম আমি একা। এখন এই এত রাত্তিরে যদি বাবার কিছু ঘটে যায়, … বিস্তারিত পড়ুন

হারানো নদীর স্রোত-৩য় অংশ

  বাবা বললেন, তুই দ্যাখ ফ্ল্যাট, আমি এখানেই থেকে যাই। তুমি থেকে যাবে, আমি চলে যাব? না, না তা কেন, যে বিলই আসুক, আমি তো থাকতে পারবই যতদিন বেঁচে থাকব। একদিন রীনা বলল, বাবা কেন অন্য জায়গায় বাড়িঘরদোর করেননি? কথাটা মা’র কানে গেল। মা বলল, উপায় ছিল না। সবাই তো করেছে মা, ওদিকে গড়িয়া, বাঘা … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাদের গান

কোন বেদনা প্রকাশ করো নি তুমি? কোন বিষাদে হও নি নিমগ্ন! কোন বেদনার পলি জমেছে তিলে তিলে? ফোঁটায় ফোঁটায় বিষাদে ঢেকে গেছে সব। তাদের অধিকারে তুমি। তাদের নিয়ন্ত্রণে তোমার মস্তিষ্ক। তারা কুরে কুরে খায়। তোমাকে। বিষণ্ণতা একটি রোগ। যে রোগে বিন্দুমাত্র নড়তে গেলেও পুরানো বাতের রোগীর মতো শরীরের সবক’টা হাড় আর পেশী, শিরা আর কোষ … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!