কবচ–শর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

‘–আরে হরিপদবাবু যে! প্রাতঃপ্রণাম,প্রাতঃপ্রণাম! — প্রাতঃপ্রণাম। কিন্তু আপনাকে তো ঠিক চিনতে পারলুম না মশাই? — তার তাড়াহুড়ো নেই, ক্রমে ক্রমে চিনবেন। আগে কুশলপ্রশ্নাদি সেরে নিই, তারপর না হয় অন্য কথা। তা বলি আপনার খিদে-টিদে ঠিকমতো হচ্ছে তো? রাতে বেশ সুনিদ্রা হয় তো? কোষ্ঠ নিয়মিত পরিষ্কার হচ্ছে তো? — দেখছেন মশাই, বাজারে যাচ্ছি। এখন কি আর … বিস্তারিত পড়ুন

বাজে গল্প ২ – সুকুমার রায়

কোলকেতার সাহেববাড়ি থেকে গোষ্ঠবাবুর ছবি এসেছে। এ বাড়িতে তাই হুলুস্থুল। চাকর বামুন ধোপা নাপিত দারোগা পেয়াদা সবাই বলে, “দৌড়ে চল, দৌড়ে চল।” যে আসে সেই বলে , “কি চমৎকার ছবি, সাহেবের আকা”, বুড়ো যে সরকার মশাই তিনি বললেন, “সবচাইতে সুন্দর হয়েছে বাবুর মুখের হাসিটুকু- ঠিক তাঁরই মতো ঠান্ডা হাসি”। শুনে অবাক হয়ে সবাই বল্লে, “যা-হোক … বিস্তারিত পড়ুন

ডুবুরি জাহাজ – সুকুমার রায়

প্রায় চল্লিশ বৎসর আগে একজন ফরাসি লেখক একটা গল্প লিখিয়াছিলেন, তাহাতে এক অদ্ভুত জাহাজের কথা ছিল। সে জাহাজকে মাছের মতো জলের উপর বা নিচ দিয়া যেমন ইচ্ছা চালান যাইত। সে সময়ে লোকের কাছে গল্পটা অসম্ভব গোছের শুনাইয়াছিল এবং অনেকে গল্পলেখকের ‘আজগুবি কল্পনার’ খুব প্রসংশা করিরাছিলেন। কিন্তু এখন আর এরূপ গল্পে লোকের আশ্চর্য হইবার কথা নয়,— … বিস্তারিত পড়ুন

বেওয়ারিশ

‘লোকটার বুক পকেটে একটা রঙ পেন্সিলের বাকশো আছে’-বাচ্চাদের কেউ একজন বলল। ‘তুই মরছ রঙ পেন্সিল লইয়া’-বড়দের কেউ একজন ধমকে উঠে। আরেকজন বলে, ‘আহা, কে করল এমন নিষ্ঠুর কামডা’! মাত্রই দেখে এসে একজন বর্ণনা দিচ্ছে, ‘ফুলহাতা শার্ট ইন করে পরা; পায়ের মোজা দেখে বুঝা যায় সু পরা ছিল। শার্ট আর প্যান্টের পকেট খুইজা এক বাকশো রঙ … বিস্তারিত পড়ুন

গজুখুড়োর বনে গমন –লীলা মজুমদার

একটা মানুষের আর কত সয়।শেষ পর্যন্ত গজুখুড়ো কার কয়েকবার একটা ভাঙ্গা ছাতার ন্যাড়া বাটের আগায়,একটা ছোট পুঁটলি বেধে রেগেমেগে সত্যি সত্যি বনে চলে গেলেন।যাবার আগে সবাইকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলে গেলেন,আমি চললাম হয়ত তোমাদের সাথে আমার শেষ দেখা।যদি কোন ফালতু সম্পতি থাকত,সে সব তোমাদের মধ্যে ভাগ রকে দিয়ে জেতাম।কিন্তু সে শব বলাই রাখার কোনো সুযোগ দাওনি,তখন … বিস্তারিত পড়ুন

ভীতু কামা (জুলু দেশের গল্প)

এক যে ছিল ছোট ছেলে, তার নাম ছিল কামা। সে এতটুকু মানুষ ছিল, তার পেটটি ছিল বড়, হাত-পা ছিরল কাঠি কাঠি। সে অন্য ছেলেদের সঙ্গে জোরে পারত না, খেলতে গেলে খালি তাদের হাতে মার খেত। বেচারা চুপ করে সে সব সয়ে থাকত, তার গায়ে জোর ছিল না, কাজেই কি নিয়ে ঝগড়া করবে? তার ইচ্ছা হত … বিস্তারিত পড়ুন

বুবুর জন্য–জুবায়ের হুসাইন

হঠাৎ করে আকাশটা কেমন জানি মেঘলা হয়ে উঠল। পড়ন্ত বিকেলের রক্তিম আভা কেবল চারপাশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। একটু পর সন্ধ্যা নামবে। কিছুক্ষণ আগেও আকাশটা জুড়ে টুকরো টুকরো সাদা মেঘেরা উড়ে চলছিল পেঁজা তুলোর মতো। গলার মালা তৈরি করে কয়েকটা পাখিও উড়ে গেছে, দেখেছে ও। মিলন বলেছে ওগুলো গাঙচিল। দিনের শেষে নীড়ে ফিরছে। হেমন্ত চলছে। … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!