দত্তা– শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় –– সপ্তম পরিচ্ছেদ

রাসবিহারী বলিলেন, আমরাই নোটিশ দিয়েছি, আবার আমরাই যদি তাকে রদ করতে যাই, আর পাঁচজন প্রজার কাছে সেটা কি-রকম দেখাবে, একবার ভেবে দেখ দিকি মা। বিজয়া কহিল, এই মর্মে একখানা চিঠি লিখে কেন তার কাছে পাঠিয়ে দিন না। আমার নিশ্চয় বোধ হচ্ছে, তিনি শুধু অপমানের ভয়েই এখানে আসতে সাহস করেন না। রাসবিহারী জিজ্ঞাসা করিলেন, অপমান কিসের? … বিস্তারিত পড়ুন

নীতি কাহিনী: সংঘাত পাল্টা সংঘাতের জন্ম দেয়

প্রাচীনকালে ব্রহ্মদত্ত নামে এক রাজা ছিলেন। তার রাজ্য ছিলো শক্তিশালী ও বিরাট। তার পাশেই আরেকটি রাজ্য ছিলো। সেই রাজ্যটি শাসন করতেন দিঘিতি নামে এক রাজা। তার রাজ্য তেমন বড় ছিলো না, আর রাজ্যের শক্তিও ছিলো কম। একসময় দুই রাজ্যের মধ্যে ঝগড়া ফ্যাসাদ বেঁধে যায়। প্রথমে দুই রাজ্য কূটনৈতিকভাবে কথা বলে ঝগড়া মীমাংসা করার চেষ্টা চালায়। … বিস্তারিত পড়ুন

নির্বাক পরী

জীবনে কোনদিন প্রেম করিনি।তাই মনের কোণে একটা দুঃখ নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম। সারাদিন কোন কাজ থাকত না বলে ফেসবুকে পড়ে থাকতাম। ক্যামরার সামনে নিজেকে ভাল ভাবে মানিয়ে নিতে পারতাম না বলে ইমরান হাশমির ছবি প্রোফাইল পিকচার দিতাম।মাঝে মাঝে পরিচিত-অপরিচিত মেয়েদের সাথে চ্যাট করতাম। কিন্তু সেটা হাই-হ্যালো থেকে কেমন আছেন, পর্যন্ত গিয়ে থেমে যেত। স্ট্যাটাসও তেমন দিতে … বিস্তারিত পড়ুন

আত্নপ্রবঞ্চনা

একজন দাম্ভিক লোক গাইয়ে হবে বলে একটা পলস্তারা করা ঘরে তানপুরা নিয়ে সারাদিন গলা সাধতো । দেওয়ালে প্রতিফলিত হয়ে তার কন্ঠস্বর তথন আসল কন্ঠস্বরের চাইতে অনেক জোরালো শোনাতো । সে ভাবতো , আঃ কি সুরালা গলা আমার, এখন তো ফাংশনে নামলেই হয় । এক্কেবারে কেল্লাফতে করে দেবো । এই অহংকার নিয়ে সে একদিন মঞ্চে নেমে … বিস্তারিত পড়ুন

গোফাগুন–কুলদা রায়

মাকে বলব না। কাউকে বলব না। বলা যাবে না। সকাল থেকেই রোদ উঠেছে। ফুল ফুটেছে। হাতি নাচছে। ঘোড়া নাচছে। আজ অন্য কিছু হবে। ভিন্নতর কিছু হবে। যে লোকটিকে চিনি তাকে তো চিনিই না। দাদা বলল, চল না, চল না যাই। দাদা বলছে যাবে। দাদা কিন্তু যাবে না। অথচ যেতে চায়। অধীর হয়ে বলছে, চল না … বিস্তারিত পড়ুন

বিষাক্ত ছোবল

হঠাৎ বিস্ময়ঃ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রাতঃভ্রমণ শেষ করে বাসায় ফিরছি। টি এস সি’র পাশের ফুটপাতে দেখি এক কমলাবিক্রেতা এই সাতসকালেই বসে গেছে কমলার ঝুড়ি নিয়ে। টসটসে কমলাগুলো দেখে এগিয়ে গেলাম। কাজল এর ছেলেটা কমলার ভীষণ ভক্ত। আম-কাঁঠালের দিনেও সে কমলার খোঁজ করে। নীচু হয়ে কমলার দরদাম করছি। আমার পাশে একজন মহিলা তের-চৌদ্দ বছরের এক মেয়েকে সাথে … বিস্তারিত পড়ুন

আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন

জনৈক বাদশাহর একজন উযীর ছিল, যিনি সকল বিষয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করতেন।  একদিন বাদশাহর একটি আঙ্গুল কেটে তা থেকে রক্ত গড়াতে লাগল। এ অবস্থা দেখে উযীর  বললেন, এটা অবশ্যই কল্যাণকর হবে ইনশাআল্লাহ। একথা শুনে বাদশাহ উযীরের উপর  রাগান্বিত হয়ে বললেন, আমার আঙ্গুল কেটে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে, আর আপনি এর মধ্যে  কল্যাণ দেখতে পাচ্ছেন? বিষয়টা বাদশাহকে … বিস্তারিত পড়ুন

মন্দির– শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় –অষ্টম পরিচ্ছেদ

তাহার পর দুই দিন দুই রাত্রি গত হইয়াছে, অমরনাথ ঘরে শুইতে আসে নাই। মা জানিতে পারিয়া বধূকে ডাকিয়া ঈষৎ ভর্ৎসনা করিলেন, পুত্রকে ডাকিয়া বুঝাইয়া বলিলেন; দিদিশাশুড়ি এই সূত্রে একটু রঙ্গ করিয়া লইলেন। এমনি সাতে-পাঁচে ব্যাপারটা লঘু হইয়া গেল। রাত্রে অপর্ণা স্বামীর নিকট ক্ষমা ভিক্ষা চাহিল, বলিল যদি মনে কষ্ট দিয়ে থাকি ত আমাকে ক্ষমা কর। … বিস্তারিত পড়ুন

ভিন গ্রহের বন্‌ধু – ফারহানা আহমেদ

দিন দিন শুধু বাড়ছেই। এ যুগের বাচ্চাদের কিছু বলেও লাভ নেই। সব বাচ্চাই এখন কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করে। অন্তু আবার পরীক্ষায় বরাবরই ভালো রেজাল্ট করে। তাই ওর রুমে ও সারাক্ষণ কম্পিউটার চালালেও কিছু বলার উপায় নেই। ছুটির দিনে ও রাত ১২টার পরও এটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। একদিন কম্পিউটার চালাতে চালাতে রাত প্রায় একটা … বিস্তারিত পড়ুন

চোখের বালি–পৈঁতাল্লিশতম অংশ — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  পরদিন প্রত্যুষেই মহেন্দ্র বিহারীর বাড়িতে গিয়া উপস্থিত হইল। দেখিল, দ্বারের কাছে অনেকগুলা গোরুর গাড়িতে ভৃত্যগণ আসবাব বোঝাই করিতেছে। ভজুকে মহেন্দ্র জিজ্ঞাসা করিল, “ব্যাপারখানা কী !” ভজু কহিল, “বাবু বালিতে গঙ্গার ধারে একটি বাগান লইয়াছেন, সেইখানে জিনিসপত্র চলিয়াছে।” মহেন্দ্র জিজ্ঞাসা করিল, “বাবু বাড়িতে আছেন না কি।” ভজু কহিল, “তিনি দুই দিন মাত্র কলিকাতায় থাকিয়া কাল … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!