হযরত শায়খ আবুল হাসান আলী ইবনে ইব্রাহীম জাফরী (রঃ) – পর্ব ১

হযরত শায়খ আবুল হাসান আলী ইবনে জাফরী (রঃ) আধ্যাত্মিক জগতের অগ্রগণ্য পুরুষ বলে বিবেচিত। তিনি ছিলেন পবিত্রতা ও ধর্মনিষ্ঠার প্রতীক। তাঁর জন্ম বসরায়। কেউ কেউ বলেন তিনি মিশরের অধিবাসী। কিন্তু মূলত তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় কাটে বাগদাদে। ৩৯১ হিজরীতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। সৃষ্টি থেকে সরে গিয়ে যিনি শুধু আল্লাহর হয়ে যান, তিনিই সুখী। আর … বিস্তারিত পড়ুন

শেষের কবিতা–৭ম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শেষের কবিতা

গল্পের অষ্টম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ঘটকালি অমিত যোগমায়ার কাছে এসে বললে, “মাসিমা, ঘটকালি করতে এলেম। বিদায়ের বেলা কৃপণতা করবেন না।” “পছন্দ হলে তবে তো। আগে নাম ধাম বিবরণটা বলো।” অমিত বললে, “নাম নিয়ে পাত্রটির দাম নয়।” “তা হলে ঘটক-বিদায়ের হিসাব থেকে কিছু বাদ পড়বে দেখছি।” “অন্যায় কথা বললেন। নাম যার বড়ো তার সংসারটা … বিস্তারিত পড়ুন

হযরত মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা (রাঃ) এর ঘটনা

হযরত মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা (রাঃ) বলেন, আমি মসজিদে যাওয়ার সময় এক কোরাইশী যুবকের পরিধানে এক জোড়া কাপড় দেখিলাম। তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, তোমাকে এই কাপড়ে জোড়া কে দিয়াছেন? সে বলিল, আমীরুল মুমিনীন দিয়াছেন। তারপর কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর অপর একজন কোরাইশীকে দেখিলাম, তাহার পরিধানেও এক জোড়া কাপড় রহিয়াছে। আমি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, তোমাকে এই কাপড় জোড়া … বিস্তারিত পড়ুন

ছবি – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় –ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

চিরদিনের অভ্যাস, প্রভাত হইতেই মা-শোয়েকে টানিতে লাগিল। আবার সে গিয়া বা-থিনের ঘরে আসিয়া বসিল। প্রতিদিনের মত আজিও সে কেবল একটা ‘এসো’ বলিয়াই তাহার সহজ অভ্যর্থনা শেষ করিয়া কাজে মন দিল; কিন্তু কাছে বসিয়াও আর একজনের আজ কেবলি মনে হইতে লাগিল, ওই কর্মনিরত নীরব লোকটি নীরবেই যেন বহুদূরে সরিয়া গিয়াছে। অনেকক্ষণ পর্যন্ত মা-শোয়ে কথা খুঁজিয়া পাইল … বিস্তারিত পড়ুন

সাতমার পালোয়ান-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

এক রাজার দেশে এক কুমার ছিল, তার নাম ছিল কানাই। কানাই কিছু একটা গড়িতে গেলেই তাহা বাঁকা হইয়া যাইত, কাজেই তাহা কেহ কিনিত না। কিন্তু তাহার স্ত্রী খুব সুন্দর হাঁড়ি কলসি গড়িতে পারিত্‌ ইহাতে কানাইয়ের বেশ সুবিধা হইবারই কথা ছিল। সে সকল মেহন্নত তাহার স্ত্রী ঘাড়ে ফেলিয়া সুখে বেড়িয়া বেড়াইতে পারিত। কিন্তু তাহার স্ত্রী বড়ই … বিস্তারিত পড়ুন

ছোট ভাই-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী-২য় অংশ

ররঙ্গা তাকে দেখেই ভারি খুশি হয়ে অমনি তাকে ডাকল, ‘এসো, এসো, ঘরে এসো।’ রুরু জড়সড় হয়ে গেল। তখন ররঙ্গার জিজ্ঞাসা করল, ‘তুমি কে?’ রুরু বলল, ‘সেই যে ছ’জন লোক বউ খুঁজতে এসেছে, যাদের জন্য ভোজ হচ্ছে, আমি তাদের ছোট ভাই।’ ররঙ্গা বলর, ‘তুমি কেন তবে ভোজে যাও নি?’ রুরু বলল, ‘আমাকে তারা নিয়ে যায় নি, … বিস্তারিত পড়ুন

নীল পদ্মরাগ –শার্লক হোমসের গল্প– ১ম পর্ব

বড়োদিনের দিন দুয়েক পরে সকালের দিকে আমার বন্ধু শার্লক হোমসকে উৎসবের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলাম। হোমস তার পার্পল-রঙা ড্রেসিং গাউনটা পরে সোফায় হেলান দিয়ে বসেছিল। তার ডানদিকে পাইপ রাখার তাক আর হাতের কাছে ছড়ানো ছিল একগাদা সদ্যপঠিত প্রভাতী সংবাদপত্র। সোফার পাশে চেয়ারে ঝুলছিল একখানা জীর্ণ পুরনো ফেল্ট হ্যাট। টুপিটা জায়গায় জায়গায় ফাট–ব্যবহারের অযোগ্য। চেয়ারের উপর রাখা … বিস্তারিত পড়ুন

রাতের অন্ধকার এর গল্প

ঘড়িতে কাঁটায় কাঁটায় রাত পৌনে ১টা বাজে । ক্রিং ক্রিং ক্রিং করে ড্রইং রুমে ফোনটা অনেকক্ষন ধরে বাজছে । এই শীতের রাতে ফোন ধরার কোন ইচ্ছেই শান্তুর নেই । শান্তু মনে মনে ভাবছে যেই ফোন করুক, ভোরে কলার আইডি দেখে কল ব্যাক করা যাবে । শান্তু এখন মনে প্রাণে চাইছে যে, ফোন বাজাটা বন্ধ হয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

শাদ্দাদের বেহেশত

অনেক আগের কথা। আরব দেশে সাদ নামে একটি বংশ ছিলো। এই বংশের লোকদের চেহারা ছিলো যেমন খুব লম্বা এবং চওড়া, গায়েও তেমনি ভীষণ শক্তি। তারাই ছিলো তখন আরব দেশে প্রবল এবং প্রধান। তাদের একজন বাদশাহ ছিলো –তার নাম শাদ্দাদ। শাদ্দাদ ছিলো সাত মুলুকের বাদশাহ। তার ধন-দৌলতর সীমা ছিলো না। হাজার হাজার সিন্দুকে ভরা মণি, মুক্তা, … বিস্তারিত পড়ুন

চরিত্রহীন– শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ––বত্রিশ পরিচ্ছেদ

শয্যা রচনা করিতে করিতে কিরণময়ী তাহারই একাংশে বসিয়া পড়িয়া ম্লান করুণস্বরে কহিল, একি তোমার চাকরি, না ব্যবসা ঠাকুরপো, যে মনিবের মর্জির উপর কিংবা দোকানের কেনা-বেচার ওপর সফলতা-বিফলতা নির্ভর করবে? এ যে নিজের বুকের ধন। বাইরে লোকের সাধ্য কি ঠাকুরপো, একে বিফল করে! বলিয়া মুহূর্তকাল চোখ বুজিয়া রহিল। দিবাকর ভক্তিনত-চিত্তে সেই সুন্দর তদগত মুখখানির প্রতি চাহিয়া … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!