কাবুসের সৌভাগ্য- শেষ পর্ব

চলৎশক্তি সম্পূর্ণরূপে রহিত হয়ে এসেছিল। ঠিক এ মুহূর্তে পাথের পাশে একটি তরমুজ ক্ষেত দেখতে পেয়ে তাদের মনে কিছু আসার সঞ্চার হল। ক্ষেতটি সুপক্ক তরমুজে পরিপূর্ণ ছিল। ক্ষেতের মালিক লোকজন নিয়ে ক্ষেত্রে পানি সেচ কাজে ব্যস্ত ছিল। তার নিকটি উপস্থিত হয়ে নিজেদের দুরবস্থার কথা ব্যক্ত করে ক্ষুধা নিবারণের জন্য দুটি তরমুজ ভিক্ষা চাইল। ক্ষেতের মালিক দয়া … বিস্তারিত পড়ুন

রাজবধূ পর্ব ২০ (রেহানা পুতুল)

রাজবধূ ১৯ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন আচম্বিতে ঘুমন্ত নূরী নড়ে উঠে বিভ্রান্তি নিয়ে। মনে হলো চৌকিতে তার মাথা বরাবর জানালার বাইরে টোকা পড়লো। সে চৌকির কিনারায় পা নামিয়ে বসে। থরথর করে কাঁপতে থাকে। এত বিভৎস! এত কুৎসিত স্বপ্ন কেন দেখলো সে? কেন? একটা সুরাহা করতে হবে অতি দ্রুত। নূরী ভয়ের দোয়া পাঠ করলো মনে … বিস্তারিত পড়ুন

চোখের বালি–চল্লিশতম অংশ — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মহেন্দ্র কোথায় নিরুদ্দেশ হইয়া গেল, সেই আশঙ্কায় রাজলক্ষ্মীর আহারনিদ্রা বন্ধ। সাধুচরণ সম্ভব-অসম্ভব সকল স্থানেই তাহাকে খুঁজিয়া বেড়াইতেছে– এমন সময় মহেন্দ্র বিনোদিনীকে লইয়া কলিকাতায় ফিরিয়া আসিল। পটলডাঙার বাসায় তাহাকে রাখিয়া রাত্রে মহেন্দ্র তাহার বাড়িতে আসিয়া পৌঁছিল। মাতার ঘরে মহেন্দ্র প্রবেশ করিয়া দেখিল, ঘর অন্ধকারপ্রায়, কেরোসিনের লণ্ঠন আড়াল করিয়া রাখা হইয়াছে। রাজলক্ষ্মী রোগীর ন্যায় বিছানায় শুইয়া আছেন … বিস্তারিত পড়ুন

হযরত আবু বকর শিবলী (রঃ) – পর্ব ৩

হযরত আবু বকর শিবলী (রঃ) – পর্ব ২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ক্রমান্বয়ে বদলে গেলেন তিনি। পরিবর্তিত অবস্থায় হাতে খোলা তরবারি নিয়ে তিনি বলতে লাগলেন, আমার সামনে কেউ যদি আল্লাহ্‌র নাম উচ্চারণ করে, আমি তার মাথা দু’ফাক করে দেব। লোকে বলতে লাগল, এ কেমন অভিনয়? আল্লাহ্‌র নাম উচ্চারণ করলে আপনি সোনাদানা দিতেন, আর এখন মাথা … বিস্তারিত পড়ুন

কবি ও নিষ্ঠুর রাজকন্যা

    দীর্ঘক্ষণ ধরে এক যুবক নির্জন এই সুউচ্চ পাহাড়ের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে একাকী, চেয়ে আছে নীচের খাঁদের দিকে- যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে একটি মৃতদেহের স্তুপ। মৃতদেহগুলির মধ্যে দু-একটির শরীরের মাংস এখনও অবশিষ্ট আছে, আর বাকিগুলি সম্পূর্ণরূপে পরিণত হয়েছে কঙ্কালে। আকাশে তীব্র শব্দ করে বিদ্যুৎ চমকে ওঠে আচমকা, কিন্তু যুবককে সামান্যতম বিচলিত মনে হয় না … বিস্তারিত পড়ুন

জীবনের গল্প] এই ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ুক সারা পৃথিবীতে।

ঘণ্টা ধরে রিকশা নিয়ে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরতেছি। রিকশাচালক কে কিছুটা বিরক্ত মনে হল। বিকেলে রোদের তেজ কমে গেলেও চারদিকে ভ্যাপসা গরম। রিকশাচালক এর শরীর থেকে ঘাম পড়তেছে। -রিকশাচালকঃ ভাইজান কই যাইবেন? -আমিঃ কোথাও না , এমনি ঘুরতেছি। -রিকশাচালকঃ ও আইচ্চা (বেশ বিরক্ত নিয়ে বলল) -আমিঃ ভালোবাসা খুজতে বের হইছি,পেয়ে গেলে ঘোরা বন্ধ করে দেব। – … বিস্তারিত পড়ুন

ঝিঙ্কু নামা—- জয়া চৌধুরী

থিটা গামা ও পাই ইত্যাদি বিষয়ক একটি কঠিন অঙ্ক জিজ্ঞেস করল সেদিন ভূতো। আমার তো মহা ফাঁপরে পড়ার মত অবস্থা। ভাবতে বসলাম এই জটিল বিষয় সমাধানে হবু শাশুড়িটি কেন ওর অজশিশু হলো! ভাবতে গিয়ে মনে হলো যাই ঝিঙ্কুকে পড়ার ঘর থেকে ডেকে আনি। বেচারী নাওয়া নেই খাওয়া নেই পড়েই চলেছে। এই বাৎসরিক শ্রাদ্ধ থুড়ি পরীক্ষা … বিস্তারিত পড়ুন

রক্ত মাখা মুখ

সেদিন রাতে আমি আর জাহিদ বাড়ি ফিরছিলাম। সকাল সন্ধ্যা হরতাল থাকার কারনে যানবাহনের সংখ্যা ছিল খুবই সিমিত। প্রায় দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কোন গাড়ি পাচ্ছিলাম না। এদিকে রাত বেড়েই চলেছে। খুব চিন্তা হতে লাগলো। একসময় কোন উপায় না দেখে আমি আর জাহিদ হাঁটতে শুরু করলাম। প্রায় তিন চার কিলোমিটার পথ আমাদের হাঁটতে হবে। কিন্তু রাত … বিস্তারিত পড়ুন

ভিখারিনী–দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কমলের মাতা ভগ্ন কুটিরে রোগশয্যায় শয়ান। জীর্ণ গৃহ ভেদ করিয়া শীতের বাতাস তীব্রবেগে গৃহে প্রবেশ করিতেছে। বিধবা তৃণশয্যায় শুইয়া থরথর করিয়া কাঁপিতেছেন। গৃহ অন্ধকার, প্রদীপ জ্বালিবার লোক নাই। কমল প্রাতে ভিক্ষা করিতে গিয়াছে, এখনও ফিরিয়া আসে নাই। ব্যাকুল বিধবা প্রত্যেক পদশব্দে কমল আসিতেছে বলিয়া চমকিয়া উঠিতেছেন। কমলকে খুঁজিবার জন্য বিধবা কতবার উঠিতে চেষ্টা করিয়াছেন, কিন্তু … বিস্তারিত পড়ুন

অযাত্রা–দিবাকর ভট্টাচার্য শেষ পর্ব

গল্পের ১ম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। ‘এখন শান্তি’—কথাটা সিদ্ধার্থের কানে এসে বাজবে অদ্ভুতভাবে। তখনই সিদ্ধার্থ মুখটা ঘুরিয়ে তাকাবেন দূরের ওই বেঞ্চিটির দিকে। তারপর চায়ের ভাঁড়টি হাতে নিয়ে ফিরে আসবেন ওই বেঞ্চিটায়। ভাঁড়ে একটা ছোট্ট চুমুক দিয়ে টানটান হয়ে বসবেন ওখানে। ঘাড় উঁচু করে তাকাবেন সামনের দিকে। তারপর ডাইনে, বাঁয়ে এবং আবার সামনের দিকে। তখন … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!