ভোলানাথের সর্দারি – সুকুমার রায়

সকল বিষয়েই সর্দারি করিতে যাওয়া ভোলানাথের ভারি একটা বদ অভ্যাস। যেখানে তাহার কিছু বলিবার দরকার নাই, সেখানে সে বিজ্ঞের মতো উপদেশ দিতে যায়, যে কাজের সে কিছুমাত্র বোঝে না, সে কাজেও সে চট্‌‌পট্‌‌ হাত লাগাইতে ছাড়ে না। এইজন্য গুরুজনেরা তাহাকে বলেন ‘জ্যাঠা’- আর সমবয়সীরা বলে ‘ফড়ফড়ি রাম’ ! কিন্তু তাহাতে তাহার কোনো দুঃখ নাই, বিশেষ … বিস্তারিত পড়ুন

চিঠি লেখা এবং পায়ে ব্যথা-গোপাল ভাঁড়

একদিন এক প্রতিবেশী গোপাল ভাঁড়ের কাছে এসে : ‘আমাকে একটা চিঠি লিখে দাও।’ ‘আমি চিঠি লিখতে পারবো না, আমার পায়ে ব্যথা।’ প্রতিবেশী আশ্চর্য হয়ে বললো, ‘চিঠি তো লিখবে হাত দিয়ে, পায়ে ব্যথা তাতে কী হয়েছে?’ ‘কারণ আমি অতোদূর হেঁটে যেতে পারবো না।’ ‘অতোদূর হাঁটতে পারবে না মানে?’ ‘মানে আমার লেখা চিঠি আমি ছাড়া আর কেউ … বিস্তারিত পড়ুন

শিয়াল আর বেজির লড়াই

পাহাড়ে ওঠা কঠিন কাজ। কিন্তু সে কাজটাই করার পণ করেছে শিয়াল পণ্ডিত। তার বুদ্ধির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়লেও শক্তির নাম চারদিকে ছড়ায়নি। সেটাই চাই তার। বন্ধু সজারু তাকে বার বার বোঝালেও সে মানতে নারাজ। বেজির চেয়ে সে আগে উঠবেই। বেজির চরম শত্রু সাপও তাকে আশ্বাস দিয়েছে, লাগলে তাকে সর-সর করে টেনে তুলবে উপরে। সাধ্য কী বেজি … বিস্তারিত পড়ুন

মহাসংকটে পুরন্দর

পুরন্দরের আজ বড়ই দুর্দিন। এমন ঘোর বিপদে সে বহুকাল পড়েনি। স্যান্যালবাবুদের ছোট ছেলে রাজুকে ভীমরুলের কামড় খাওয়াবার দোষটা পুরোপুরি তার ঘাড়ে বর্তেছে অথচ পুরন্দর ব্যপারটার মাথা মুন্ডু কিছুই জানত না। পরিকল্পনাটা পুরোটাই ধুরন্দরের। হয়েছিল কি দ্বাদশবাড়ির জঙ্গলে কাঁচামিঠে আমের লোভে গিয়েছিলো দুভাইতে। ধুরন্ধরই লোভ দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেই একটা গাছের মগডালে পুঁটুলিতে বাঁধা কিছু সোনার … বিস্তারিত পড়ুন

আবদুল মুত্তালিবের স্বপ্ন

যমযম কূপ পুনঃ খননের ব্যাপারে অধিক বিশ্বাসযোগ্য বর্ণনা হল আবদুল মুত্তালিব যখন মক্কার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেন তখন এক রাতে তিনি সপ্নে দেখেন এক গায়েবী আওয়াজের মাধ্যমে তাকে বলা হয়েছে, হে আবদুল মুত্তালিব । তোমার আদি পিতা ইসমাইলের যমযম কূপ পুনরুদ্ধার কর । যাকে মেজাজ বা আমর বিন হারেস নিশ্চিত করে দিয়েছিল । আবদুল মুত্তালিব এই … বিস্তারিত পড়ুন

বড়ো পীর

আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর ইনতিকালের প্রায় চারশ’ বছর পরের কথা। মুসলিম জাহানের জন্য তখন বড়োই দুর্দিন। সেই যুগটি ছিলো প্রায় হাজার বছর আগের। খৃষ্টানদের অধীন ছিলো রোম সাম্রাজ্য। তার চারপাশে রয়েছে মিশর, ইরান, সিরিয়া এবং আরও কতকগুলো মুসলিম দেশ। খৃষ্টানরা মুসলিম দেশগুলো দখল করে নিতে চেয়েছিলেন। মাঝে মাঝে রোমক সৈন্যরা মুসলিম দেশগুলোতে এসে হানা … বিস্তারিত পড়ুন

ল্যাবরেটরি– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর –নবম অংশ

“তোমার বঙ্কুবাবুকে আমি সিধে করে দেব যদি আমার সীমানায় তিনি পা বাড়ান। আইনে না পারি বে আইনে। ফেরবার সময় আমি পেশোয়ার হয়ে আসব। আমার ল্যাবরেটরি রইল দিনরাত্রি চারজন শিখ সিপাইয়ের পাহারায়। আর যাবার সময় এই তোমাকে দেখিয়ে যাচ্ছি— আমি পাঞ্জাবের মেয়ে।” ব’লে নিজের কোমরবন্ধ থেকে ছুরি বের করে বললে, “এ ছুরি না চেনে আমার মেয়েকে, … বিস্তারিত পড়ুন

বিমল —- সুবীর কুমার রায়।

অফিসে বিমল জানা নামে এক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী ছিল। সে খুব ভালো রান্না করতে পারতো এবং মাঝেমধ্যে অফিসের ক্যান্টিনে ভালোমন্দ রান্না করে আমাদের খাওয়াতোও। ছেলেটা খুব ভাল ছিল, কিন্তু তার পিছনে লেগে আমরা খুব মজা পেতাম। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম, সে রোজ দুটো করে ডিমসিদ্ধ খাওয়া শুরু করেছে। তখন আমার অল্প বয়েস, কথায় কথায় কবিতা লিখে … বিস্তারিত পড়ুন

ভুতুড়ে ট্যাক্সি– সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

ভাইফোঁটা শেষ হবে পাঁচটার মধ্যে। পপনের চার দিদি, আর তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে তার আগেই গিয়ে পৌঁছতে হবে। দিদি বেশ গিন্নি-বান্নি লোক, পপনকে ভীষণ ভালবাসেন। থাকেন বেলঘড়িয়ায়। পপনের বাবা পপনকে চিরকাল শিখিয়েছেন, সব কাজ প্রোটোকল মেনে করবে। এই প্রোটোকল ব্যাপারটা কী, পপন অনেকদিন পর্যন্ত বুঝত না, তবে ধারণা ছিল যার যা ন্যায্য সম্মান, তা-ই দিতে হবে। … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৪৯ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের পঞ্চাশতম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন আনন্দময়ীর বাড়ি হইতে রোজ সকালবেলায় বিনয় একবার বাসায় আসিত। আজ সকালে আসিয়া সে একখানা চিঠি পাইল। চিঠিতে কাহারও নাম নাই। ললিতাকে বিবাহ করিলে বিনয়ের পক্ষে কোনোমতেই তাহা সুখের হইতে পারে না এবং ললিতার পক্ষে তাহা অমঙ্গলের কারণ হইবে এই কথা লইয়া চিঠিতে দীর্ঘ উপদেশ আছে এবং সকলের শেষে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!