কোরাইশদের পক্ষ হইতে যেসকল কষ্ট সহ্য করিয়াছেন – ১ম পর্ব

ইবনে হারেস (রাঃ) বলেন, আমি একদিন এক জায়গায় লোকদের ভীড় দেখিয়া আমার পিতাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, এখানে এত মানুষের ভীড় কেন? তিনি বলিলেন, লোকেরা তাহাদের কওমের এক বেদ্বীনকে লইয়া ভীড় জমাইয়াছে। হারেস (রাঃ) বলেন, আমরা সেখানে বাহন হইতে নামিয়া দেখিলাম, রাসূল (সাঃ) লোকদিগকে আল্লাহ তায়ালার তাওহীদ ও ঈমানের দিকে আহবান নানারকম কষ্ট দিতেছে। এইভাবে দ্বিপ্রহর পর্যন্ত … বিস্তারিত পড়ুন

দত্তা– শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ––চতুর্থ পরিচ্ছেদ

বহুকাল-পরিত্যক্ত জমিদার-বাটী বিলাসের তত্ত্বাবধানে মেরামত হইতে লাগিল। কলিকাতা হইতে অদৃষ্টপূর্ব বিচিত্র আসবাব-সকল গরুর গাড়ি বোঝাই হইয়া নিত্য আসিতে লাগিল। জমিদারের একমাত্র কন্যা দেশে বাস করিতে আসিবেন, এই সংবাদ প্রচারিত হইবামাত্র শুধু কেবল কৃষ্ণপুরের নয়, রাধাপুর, ব্জ্রপুর, দিঘ্ড়া প্রভৃতি আশপাশের পাঁচ-সাতটা গ্রামের মধ্যে হৈচৈ পড়িয়া গেল। এমনই ত ঘরের পাশে জমিদারের বাস চিরদিনই লোকের অপ্রিয়, তাহাতে … বিস্তারিত পড়ুন

কাক ও কোকিল— সাগর চৌধুরী

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ যাত্রা। অফিসের কাউকে তাঁর সাথে পাঠানো দরকার। কাউকে মানে একজন রিপোর্টার। কিন্তু এই একজনকে ম্যানেজ করতে গিয়েই ঘাম ছুটে গেল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মিডিয়া তাকে সঠিক গুরুত্ব দিচ্ছে না।’ সেই কথার সূত্র ধরেই আমার চিফ বললেন ভালো কাউকে পাঠাতে। কিন্তু অফিসে যাঁরা আছেন; তাঁদের মধ্যে থেকেই তো ভালো বের করতে হবে! কিন্তু … বিস্তারিত পড়ুন

জুলেখার প্রেম-পর্ব ৪

জুলেখার প্রেম-পর্ব ৩  -পড়তে এখানে ক্লিক করুন জুলেখা বৃদ্ধার কথায় আরো ব্যাকুল হলেন। সঙ্গে সঙ্গে সিন্দুকের চাবির তোড়াটা এনে তার হাতে দিয়ে বললেন, “নানী! টাকা, স্বর্ণ মুদ্রা যা প্রয়োজন সিন্দুক থেকে খরচ করে আমার শেষ উপায় করে দাও।” বৃদ্ধা বলল প্রথমে একটি হপ্তখানা (সাত মহল) তৈরি করতে হবে। যেখানে থাকবে স্বর্ণ, রৌপ্য খচিত বিভিন্ন কারুকার্য। … বিস্তারিত পড়ুন

কেশ বিন্যাসকারিণী মাশেতা

মাশেতা নামক একজন মহিলা ফিরআউন কন্যার চুল আঁচড়ানোর কাজে নিয়োজিত ছিল। কোনো একদিন ফিরআউন কন্যার চুল আঁচড়ানোর সময় সহসা চিরুণি হাত থেকে মাটিতে পড়ে গেল। তা ওঠাতে ওঠাতে আনমনে তার মুখ থেকে বের হয়ে পড়ল হে খোদা! তোমাকে অমান্যকারী ধ্বংস হোক। এ কথায় ফিরআউনের কন্যার সন্দেহ হলে জিজ্ঞেস করল, ফিরআউন ছাড়াও কি তোমার কোনো খোদা … বিস্তারিত পড়ুন

কর্তার ভূত

১ বুড়ো কর্তার মরণকালে দেশসুদ্ধ সবাই বলে উঠল, ‘তুমি গেলে আমাদের কী দশা হবে।’ শুনে তারও মনে দুঃখ হল। ভাবলে, ‘আমি গেলে এদের ঠাণ্ডা রাখবে কে।’ তা ব’লে মরণ তো এড়াবার জো নেই। তবু দেবতা দয়া করে বললেন, ‘ভাবনা কী। লোকটা ভূত হয়েই এদের ঘাড়ে চেপে থাক্‌-না। মানুষের মৃত্যু আছে, ভূতের তো মৃত্যু নেই।’ ২ … বিস্তারিত পড়ুন

গোরা–-৯তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গোরা

গল্পের ১০ম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন উপরে গাড়িবারান্দায় একটা টেবিলে শুভ্র কাপড় পাতা, টেবিল ঘেরিয়া চৌকি সাজানো। রেলিঙের বাহিরে কার্নিসের উপরে ছোটো ছোটো টবে পাতাবাহার এবং ফুলের গাছ। বারান্দার উপর হইতে রাস্তার ধারের শিরীষ ও কৃষ্ণচূড়া গাছের বর্ষা-জলধৌত পল্লবিত চিক্কণতা দেখা যাইতেছে। সূর্য তখনো অস্ত যায় নাই; পশ্চিম আকাশ হইতে ম্লান রৌদ্র সোজা হইয়া … বিস্তারিত পড়ুন

চোরের স্যান্ডেল————-বদরুন নাহার

  আবদুর সাত্তার আজ হাঁটতে পারছেন না। যদিও কোহিনূর পাবলিক লাইব্রেরি থেকে তিনি হেঁটেই বাড়ি ফেরেন। কিন্তু আজ তাঁর পায়ে বড় অস্বস্তি, এমনকি খানিকটা কুটকুটে অ্যালার্জি সমস্ত পায়ে জড়ো হয়েছে আর তাতে হাত নিশপিশ করে উঠলে হাতে ধরা বইটি পড়ে যায়, উবু হয়ে তা তোলার ফাঁকে ভাবেন খানিকটা পায়ে নোখের অাঁচড় বসিয়ে নেবেন কিন্তু পারলেন … বিস্তারিত পড়ুন

চরিত্রহীন– শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়–ত্রিশ পরিচ্ছেদ

মাস-দুই পূর্বে হারানের মৃত্যুর সময় দিবাকর মাত্র দুই-চারি দিনের জন্য কলিকাতায় বাস করিয়াই ফিরিয়া যাইতে বাধ্য হইয়াছিল। এবার কিরণময়ীর তত্ত্বাবধানে থাকিয়া কলিকাতার কলেজে বি. এ. পড়িবে স্থির হওয়ায় তাহার নূতন কেনা স্টিলের তোরঙ্গ ভরিয়া কেতাব-পত্র এবং কাপড়-চোপড় লইয়া দিবাকর হারানবাবুর পাথুরেঘাটার বাড়িতে একদিন সন্ধ্যার সময় আসিয়া উপস্থিত হইল। কিরণময়ী তাহাকে অল্পবয়স্ক ছোটভাইটির মত সস্নেহে গ্রহণ … বিস্তারিত পড়ুন

নিষ্কৃতি— ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ — শরৎ রচনাবলী

সপ্তম পরিচ্ছেদ পড়তে এখানে ক্লিক করুন সিদ্ধেশ্বরীর সেবার ভার নয়নতারা গ্রহণ করিয়াছিল। সে সেবা এমনি নিরেট, এমনি ভরাট যে, তাহার কোন এতটুকু ফাঁক দিয়া আর কাহারও কাছে ঘেঁষিবার জো ছিল না। সিদ্ধেশ্বরী এমন সেবা তাঁর এতখানি বয়সে কখনও কাহারও কাছে পান নাই। তবুও কেন যে তাঁহার অশান্ত মন অনুক্ষণ শুধু ছল ধরিয়া কলহ করিবার জন্য … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!