ভালোবাসার সাতকাহন (ধারাবাহিক উপন্যাসঃ পর্ব-৭)

একটানা কত কিছু ভেবে ভেবে ক্লান্ত হয়ে পড়ে রুমা। একটু কি উদাসও হয়? তারপরও ভাবনারা ওকে ছাড়তে চায় না। আজ প্রায় দশ বছর হতে চলল, রায়হানের সাথে ওর সংসার জীবনে পথ চলার বয়স। তারপরও মনে হয়, এই তো সেদিনের ঘটনা। কত স্মৃতি, কত আনন্দ, বেদনা-এসবের মিশেলে হৃদয়ে বয়ে চলা এক নস্টালজিক সোনালী অতীত রুমাকে আরো … বিস্তারিত পড়ুন

রাজনীতির দ্বিধা— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সাধারণত ন্যায়পরতা দয়া প্রভৃতি অনেক বড়ো বড়ো গুণ আপন সমকক্ষ লোকদের মধ্যে যতটা স্ফূর্তি পায়, অসমকক্ষ লোকদের মধ্যে ততটা স্ফূর্তি পায় না। এমন অনেক দেখা যায়, যাঁহারা আপনার সমশ্রেণীর লোকের মধ্যে গৃহপালিত মৃগশিশুর মতো মৃদুস্বভাব তাঁহারাই নিম্নশ্রেণীয়দের নিকট ডাঙার বাঘ, জলের কুম্ভীর এবং আকাশের শ্যেনপক্ষিবিশেষ। য়ুরোপীয় জাতি য়ুরোপে যত সভ্য, যত সদয়, যত ন্যায়পর, বাহিরে … বিস্তারিত পড়ুন

পথ-নির্দেশ – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় –দ্বিতীয় অংশ

আমহার্স্ট স্ট্রীটের উপর গুণেন্দ্রের প্রকাণ্ড বাড়ি প্রায় খালি পড়িয়া ছিল। তেতলার একটা ঘরে সে শয়ন করিত, আর একটায় লেখাপড়া করিত। বাকি ঘরগুলা এবং সমস্ত দ্বিতলটা শূন্য পড়িয়া ছিল। নীচের তলায় এক পাচক, দুই ভৃত্য ও এক দারোয়ান এক-একটা ঘর দখল করিয়া থাকিত, তদ্ভিন্ন সমস্ত ঘরই তালাবন্ধ। গুণেন্দ্রের পিতা লোহার ব্যবসা করিয়া মৃত্যুকালে এত টাকা রাখিয়া … বিস্তারিত পড়ুন

হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর বিবাহ-৩য় পর্ব

হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর বিবাহ-২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন  সেবিকারা তখন জোলেখাকে নিয়ে হাম্মামখানায় গেল এবং উত্তম রূপে গোসল করে তাঁকে পাক-পবিত্র পোশাকে সাজিয়ে গুছিয়ে হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর সম্মুখে নিয়ে এল। হযরত ইউসুফ (আঃ) তখন দাঁড়িয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে আল্লাহ তায়ালার দরবারে হাত তুললেন। আল্লাহ তায়ালার অপূর্ব মহিমা। হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর দোয়ার সঙ্গে … বিস্তারিত পড়ুন

বুড়ি ও ব্যবসায়ীর গল্প

এক বৃদ্ধা মহিলার গল্প। তাঁর ছিল দুটি ছেলে সন্তান। এক ছেলে ছিল গ্রামের মাতবর বা নেতা গোছের। আরেক সন্তানও ছিল বেশ লেখাপড়া জানা। শিক্ষিত এই ছেলের নাম ছিল বাহলুল। এক রাতে এক ব্যবসায়ী এসে বৃদ্ধার ঘরের দরোজার কড়া নাড়ল। বৃদ্ধা দরোজা খুলে দিল। ব্যবসায়ী বৃদ্ধাকে বলল ‘আমাকে তোমার ঘরে থাকতে দেবে? রাত হয়ে গেছে, থাকার … বিস্তারিত পড়ুন

স্বর্গারোহন পালা— ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

খুব কম করেও পঞ্চাশ বছর আগেকার কথা। কলকাতার এক নামকরা যাত্রা কোম্পানি মেদিনীপুরের এক গ্রামে চলেছে তাদের দল নিয়ে যাত্রা করতে। তখনকার যাত্রাওয়ালারা আজকের মতো এমন লাক্সারি বাসে যাতায়াত করত না। চার-পাঁচটি গোরুর গাড়ি বোঝাই করে অভিনেতা ও দলের অন্যান্য লোকদের নিয়ে যাযাবরের মতো এক দেশ থেকে আর এক দেশে রওনা হত। এই দলটিও চলেছে। … বিস্তারিত পড়ুন

দু:খী মেয়ে (গল্প)

মা-বাবা মরা একটা মেয়ে কতটুকু অসহায় থাকে তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝার কথা না। বুঝেও না। আর মেয়েটি যদি একটু বড় হয় তাহলে তো কথাই নাই। আশ্রয় দিতে সবাই ভয় পায়। চাচা মামা দুই পক্ষই দুই পক্ষের দিকে বাড়িয়ে দেয়। কেউ রাখতে রাজি না। শেষ পর্যন্ত যখন দেখা যায় কেউ রাখছে না তখন বড় মামা … বিস্তারিত পড়ুন

ভূতকথার গল্প || মোমিন মেহেদী

ভূতকথার সাথে আমার পরিচয় খুব ছোট থেকেই। শুনেছি গল্প না শুনালে আমাকে খাওয়ানো যেত না ছোটবেলায়। আমাকে প্রথম ভূতকথা শুনিয়েছিলেন আমার আপি। ছোটবেলায় আমার সাত ফুপি, একমাত্র বড় আপি, কারো কাছেই গল্প শোনা থেকে বিরত থাকিনি। ভূতকথা শব্দটিই অনেক অনেক বেশি কাছে টানতো আমাকে। আজো টানে। ছোটবেলায় মনে দাগ কেটে যাওয়া একটি ভূতকথা তোমাদের জন্য … বিস্তারিত পড়ুন

অরক্ষণীয়া– শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় –দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

বড়ভাই গোলোকনাথ মারা গেলে, তার বিধবা স্ত্রী স্বর্ণমঞ্জরি নির্বংশ পিতৃকুলের যৎসামান্য বিষয়-আশয় বিক্রয় করিয়া হাতে কিছু নগদ পুঁজি করিয়া, কনিষ্ঠ দেবর অনাথনাথকেই আশ্রয় করিয়াছিলেন। তাহারই বিষের অসহ্য জ্বালায় হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হইয়া মেজভাই প্রিয়নাথ গত বৎসর ঠিক এমন দিনে ছোটভাই অনাথের সঙ্গে বিবাদ করিয়া উঠানের মাঝখানে একটা প্রাচীর তুলিয়া দিয়া পৃথগন্ন হইয়াছিলেন এবং মাঝখানে একটা কপাট রাখার … বিস্তারিত পড়ুন

মুক্তকুন্তলা — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমার খুদে বন্ধুরা এসে হাজির তাদের নালিশ নিয়ে। বললে, দাদামশায় তুমি কি আমাদের ছেলেমানুষ মনে কর। তা, ভাই, ঐ ভুলটাই তো করেছিলুম। আজকাল নিজেরই বয়েসটার ভুল হিসেব করতে শুরু করেছি। রূপকথা আমাদের চলবে না, আমাদের বয়েস হয়ে গেছে। আমি বললুম, ভায়া, রূপকথার কথাটা তো কিছুই নয়। ওর রূপটাই হল আসল। সেটা সব বয়েসেই চলে। আচ্ছা, … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!