বিষাদ সিন্ধু —মহরম পর্ব ২৫ প্রবাহ

সূর্যদেব যতই ঊর্ধ্বে উঠিতেছেন, তাপাংশ ততই বৃদ্ধি হইতেছে। হোসেনের পরিজনেরা বিন্দুমাত্র জলের জন্য লালায়িত হইতেছে, শত শত বীরপুরুষ শত্রুহস্তে প্রাণত্যাগ করিতেছে। ভ্রাতা, পুত্র, স্বামীর শোণিতাক্ত কলেবর দেখিয়া কামিনীরা সময়ে সময়ে পিপাসায় কাতর হইতেছেন, চক্ষুতে জলের নামমাত্রও নাই, সে যেন এক প্রকার বিকৃত ভাব, কাঁদিবারও বেশি শক্তি নাই। হোসেন চতুর্দিক চাহিয়া দেখিলেন, বন্ধুবান্ধবের মধ্যে আর কেহই … বিস্তারিত পড়ুন

মেরিল উইন ডেভিস

মেরিল উইন ডেভিস (২৩ জুন ১৯৪৯ – ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১): মেরিল উইন ডেভিস ছিলেন একজন ওয়েলশ মুসলিম স্কলার, লেখক এবং সম্প্রচারক। তিনি ইসলাম বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ছিলেন এবং জিয়াউদ্দিন সারদারের সাথে বই এবং প্রবন্ধের সহ-লেখক ছিলেন। ইসলামিক মানববিদ্যার একজন প্রবক্তা, তিনি লন্ডনের মুসলিম ইনস্টিটিউটের পরিচালক ছিলেন। মেরিল উইন ডেভিস ২৩ জুন ১৯৪৯ তারিখে ওয়েলসের মেরথির টিডফিলে … বিস্তারিত পড়ুন

মা-কাঁকড়ার উপদেশ:

জলার ধারে এক কাঁকড়া তার পরিবার নিয়ে বসবাস করত। মা-কাঁকড়ার অনেকগুলো বাচ্চা ছিল। বাচ্চারা জলার ধারে সারাদিন খেলা করে বেড়াত। তারপর সন্ধে হলে তারা ঘরে ফিরে আসত। মা-কাঁকড়া তার বাচ্চাদের সবসময় নানারকম উপদেশ দিত। কি করে ভালো হয়ে চলতে হয়, কি করে বড়ো হতে হয়, কি করে ভালো হওয়া যায়- এইসব পইপই করে মা-কাঁকড়া তার … বিস্তারিত পড়ুন

মৃত্যু রহস্য◄

বছরখানেক আগের ঘটনা।। আমাদেরই এক বন্ধু সিহাব গিয়েছিলো তার গ্রামের বাড়ি শ্রীপুরে।। সেখান থেকে এসে সে আমাদের এক রোমহর্ষক ঘটনা শোনালো।। ঘটনাটা ঐ গ্রামের এক মাঝবয়সী লোককে নিয়ে।। উনার নাম ছিল মন্নান মিয়াঁ।। ছিলো বলছি কারন লোকটা এখন জীবিত নেই।। সে যাই হোক, আমাদের এই ঘটনার মূল অংশ মন্নান মিয়াঁকে নিয়ে।। মন্নান মিয়াঁ শ্রীপুর গ্রামের … বিস্তারিত পড়ুন

কসাই—– ঝর্ণা চট্টোপাধ্যায়

আ রে এ সাবন, এ পওবন …আ যা, আ যা বেটা, আরে এ পবনিয়া’ —-একটা ছাগল বাচ্চাকে একহাতে ধরে বাকী দুটো ছাগল বাচ্চাকে একটা দড়িতে বেঁধে টানতে টানতে গোয়ালে ঢোকালো ছগন। তার একটাই ঘর। লম্বা টানা মাটির ঘর, খাপরার চাল। উপরে ভাঙ্গা টিন ইঁট চাপা দিয়ে রেখেছে। মাঝে খাপরা কোথাও কোথাও ভেঙ্গে গেছে, বৃষ্টির জল … বিস্তারিত পড়ুন

ভূতের ডিগবাজি-শেষ পর্ব- মাহমুদ মেনন

গল্পের ১ম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। রুশো বললো এটা কি হলো? ভূত ছানা বললো, খিঁদে পেঁয়েছে তোঁ তাঁই এঁকটুঁ খেঁয়ে নিলাম। ডিগবাজি খেলে তো ক্ষুধা আরও বাড়ে বোকা.. বললো রুশো। ভূত ছানা বললো না.. না.. ডিঁগবাঁজিও তোঁ এঁক ধঁরনের খাঁওয়া। খিঁদে পেঁলে আঁমি ডিঁগবাজি খাঁই। আবার হেসে ফেললো রুশো। আর হঠাৎ করেই টের পেলো … বিস্তারিত পড়ুন

নদীর ধারে বাড়ি– অচিন্ত্যরূপ রায়

ছোট্ট দুটো হলদে প্রজাপতি উড়ে বেড়াচ্ছে এঘর থেকে ওঘর, ওঘর থেকে সেঘর। নদীর দিক থেকে হাওয়া আসছে। অশথ গাছের পাতায় আওয়াজ হচ্ছে ঝিরঝির ঝিরঝির। সামনের ঘাসছাড়া টুকরো মাঠটায় ধুলো উড়ে যাচ্ছে পাক খেয়ে। দোতলা বাড়িটা দাঁড়িয়ে আছে ভূতের মত। ভূত নয়। বিরাট কোনো জানোয়ারের শরীরের মত। মরা। ছালচামড়া ঝরে ঝরে পড়ছে, হাড়গোড় কিছু ভেঙ্গেছে, কিছু … বিস্তারিত পড়ুন

খুবই সাধারণ শুরু

বাস থেকে নেমে চারদিকে ভাল করে দেখল সবুজ, নাহ্ পরিচিত কেউ আশপাশে নেই। সামনের টঙ দোকানে একটি বাচ্চা ছেলে বসে ঝিমাচ্ছে আর দোকানের সামনে একটা কুকুর শুয়ে আছে। দুর থেকে সবুজ চুলোয় আগুন আছে কিনা বুঝবার চেষ্টা করতে করতে ধীর পায়ে টঙ দোকানের দিকে আগালো। প্রায় কাধ অবধি চুল গুলো একটু ঝাকিয়ে পিছনের ব্যাগটা ব্যালান্স … বিস্তারিত পড়ুন

প্রজাপতির নির্বন্ধ–চতুর্থ পরিচ্ছেদ –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আহারের পর শৈলবালা ডাকিল, “মুখুজ্যেমশায়।” অক্ষয় অত্যন্ত ত্রস্তভাব দেখাইয়া কহিলেন, “আবার মুখুজ্যেমশায়! এই বালখিল্য মুনিদের ধ্যানভঙ্গ-ব্যাপারের মধ্যে আমি নেই।” শৈলবালা। ধ্যানভঙ্গ আমরা করব। কেবল মুনিকুমারগুলিকে এই বাড়িতে আনা চাই। অক্ষয় চক্ষু বিস্ফারিত করিয়া কহিলেন, “সভাসুদ্ধ এইখানে উৎপাটিত করে আনতে হবে। যত দুঃসাধ্য কাজ সবই এই একটিমাত্র মুখুজ্যেমশায়কে দিয়ে ?” শৈলবালা হাসিয়া কহিল, “মহাবীর হবার ঐ … বিস্তারিত পড়ুন

থিসলডাউনের প্রহরী–হাসান জাহিদঃচতুর্থ পর্ব

কনকনে ঠাণ্ডায় আর গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে টহল সারছিল মহিব। পা চলছিল না। মনে হলো বাসায় গিয়ে ব্ল্যাঙ্কেটের উষ্ণতায় টানা ঘুম দেয়। একটুখানি উষ্ণতা যে ওর কাছে কোহিনূর হীরকখণ্ডের মতোই অধরা, সেটা মহিবের চাইতে বেশি আর কে জানে। একটা নয়া উৎপাত দেখা দিল। চত্বরে একটা গাড়ি থেমেছে। গাড়িটার গায়ে সিলছাপ্পর দেখে বুঝতে পারে তার কোম্পানির গাড়ি। তার … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!