একটি গরুর আত্মকাহিনি

গরু বিষয়ে একটি বাংলা রচনা সাধারণত শুরু হয় এভাবে: গরু গৃহপালিত চতুষ্পদ প্রাণী। গরুর চারটি পা, দুটি শিং, দুটি কান, দুটি চোখ আর একটি লম্বা লেজ আছে। লেজের অগ্রভাগে এক গোছা চুল। লেজ দ্বারা গরু মশা-মাছি তাড়ায়। গরু খুব শান্ত ও নিরীহ প্রাণী। গাভি বছরে একটি বাছুর প্রসব করে আর বাছুরকে অত্যন্ত ভালোবাসে। গরু ঘাস, … বিস্তারিত পড়ুন

বউ-ঠাকুরানীর হাট-সপ্তত্রিশ পরিচ্ছেদ– – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

চারিদিকে লোকজন, চারিদিকেই ভিড়। আগে হইলে বিভা সংকোচে মরিয়া যাইত, আজ কিছুই যেন তাহার চোখে পড়িতেছে না। যাহা কিছু দেখিতেছে সমস্ত যেন বিভার মিথ্যা বলিয়া মনে হইতেছে। চারিদিকে যেন একটা কোলাহলময় স্বপ্নের ঘেঁষাঘেঁষি–কিছুই যেন কিছু নয়। চারিদিকে একটা ভিড় চোখে পড়িতেছে এই পর্যন্ত, চারিদিক হইতে একটা কোলাহল শোনা যাইতেছে এই পর্যন্ত, তাহার যেন একটা কোনো … বিস্তারিত পড়ুন

পয়লা নম্বর–প্রথম অংশ–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমি তামাকটা পর্যন্ত খাই নে। আমার এক অভ্রভেদী নেশা আছে, তারই আওতায় অন্য সকল নেশা একেবারে শিকড় পর্যন্ত শুকিয়ে মরে গেছে। সে আমার বই-পড়ার নেশা। আমার জীবনের মন্ত্রটা ছিল এই—                                 যাবজ্জীবেৎ নাই-বা জীবেৎ                                 ঋণং কৃত্বা বহিং পঠেৎ। যাদের বেড়াবার সখ বেশি অথচ পাথেয়ের অভাব, তারা যেমন ক’রে টাইম্‌টেব্‌ল্‌ পড়ে, অল্প বয়সে আর্থিক অসদ্ভাবের দিনে আমি … বিস্তারিত পড়ুন

শেষ কথা– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর– ষষ্ঠ অংশ

অচিরার সঙ্গে স্পষ্ট কথা বলার যুগ এল সংক্ষেপেই। সেদিন চড়িভাতি হয়েছিল তনিকা নদীর তীরে। অধ্যাপক ছেলেমানুষের মতন হঠাৎ আমাকে জিগ্‌গেসা করে বসলেন, “নবীন, তোমার কি বিবাহ হয়েছে।” প্রশ্নটা এতই সুস্পষ্ট ভাবব্যঞ্জক যে, আর কেউ হলে ওটা চেপে যেত। আমি উত্তর করলুম, “না, এখনো তো হয় নি।” অচিরার কাছে কোনো কথাই এড়ায় না। সে বললে, “দাদু, … বিস্তারিত পড়ুন

এক দাঁতের রাক্ষসের গল্প

রাক্ষস রাজ্যে আজ খুশির বন্যা বইছে। রাজ্যজুড়ে হুম, হাম, দুম, দাম শব্দ হচ্ছে। রাক্ষসরাজা মন্ত্রীকে ডাকলেন – মন্ত্রী? – জি হুজুর। – শব্দ এতো কম হচ্ছে কেন? শব্দ বাড়াতে হবে। তুমি শব্দের ব্যবস্থা করো। – জি হুজুর। আমি এখনই যাচ্ছি। পুরো রাজ্য এবার টের পাবে, শব্দ কাকে বলে! – ৬০০ বছর পর আমার একটা পুত্র … বিস্তারিত পড়ুন

দার্শনিক গল্প: অন্যকে বোকা বানালে নিজেকেও বোকা হতে হয়!

একদিন এক শিয়াল সারস পাখিকে তার বাসায় খেতে নিমন্ত্রণ করল। নিমন্ত্রণ পেয়ে সারস মনে মনে ভাবল: ‘শিয়াল এমনিতে তো খুব কৃপণ। দেখি আমাকে কী খাওয়ায়।’ সে মনের আনন্দে শিয়ালের বাসায় দাওয়াত খেতে গেল। একটু পর শিয়াল ভেতর থেকে একটি থালা নিয়ে আসল। থালাতে কিছুটা স্যুপ ছিল। সারস থালাভর্তি স্যুপ দেখে বলল: ‘আমি তো স্যুপ খেতে … বিস্তারিত পড়ুন

বাবা, এক সাইজ বড় জুতা নিয়া আমি কোথায় যাবো?

তখন আমার বয়স কত? মনে নাই। আমার ভাইয়ের বয়স? তাও না। তাহলে কি মনে আছে? সেইটা ভাইবা দেখা যাইতে পারে। তখন গুলিস্তানে যাওয়ার পথে জয়কালি মন্দির হাতের বামে ফালায় আগাইলে একটা রহস্যময় মার্কেট চোখে পড়ত। যেখানকার বেশিরভাগ দোকান নির্মিয়মান। আরো একটু আগাইলে কালো কালো বাক্স নিয়া কিছু লোক খাড়ায়া থাকত। কারা যেন সেই বাক্সে মাথা … বিস্তারিত পড়ুন

রাজা আর সেই দুখীনি বৃদ্ধা

একদিন রাজা আর সুনীল বিকেলে খেলতে বেরিয়েছে।রাস্তায় তারা দেখল একজন গরীব বৃদ্ধা পথের ধারে শুয়ে রয়েছে।রাজা এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করল “তুমি এখানে শুয়ে আছো কেন?কত গাড়ী চলছে,সরে যাও ,ওঠ এভাবে রাস্তায় শুয়ে থেকনা,দুর্ঘটনা ঘটতে পারে”। -“আমার নড়াচড়া করার শক্তি নেই বাবা,তিনদিন হল আমি কিছু খাইনি”…বৃদ্ধার কথায় খুব দুঃখ হল রাজার।সে এক দৌড়ে বাড়ি গেল,মাকে গিয়ে … বিস্তারিত পড়ুন

ভুল ভালবাসা ও ছেঁড়া জুতা —- সায়দিয়া ইসলাম বৃষ্টি

একদম বেশি টেনশন করবে না। ঠিক আছে? – ওকে ম্যাম। -আর বেশি প্রেশার দিবেনা মাথাকে। সবসময় যেটা ঘটে গেছে সেটাকে জোর করে ভোলার চেষ্টা করবেনা। তাহলে হয়তো আরো বড় কোন সমস্যা হতে পারে। – যেমন? -এই যেমন তোমার মস্তিষ্ক হয়তো তোমার দেওয়া অতিরিক্ত চাপের ফলে হঠাৎ করেই দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ফলে যেহেতু শরীরের সব … বিস্তারিত পড়ুন

আল্লাহওয়ালাদের প্রতি ভক্তি

এক বুজুর্গ বর্ণনা করেন, একবার আমি মিশরের প্রখ্যাত বুজুর্গ  হযরত শায়েখ আবুল ফজল ইবনে জওহারীর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে মিশরের পথে যাত্রা করলাম। দীর্ঘ পথ ছফরের পর আমি জুমআর দিন মিশর নগরীতে গিয়ে উপস্থিত হলাম। সেদিন শায়েখ আবুল ফজল ওয়াজ করছিলেন। আমিও সেই ওয়াজ মাহফিলে শ্রোতাদের সাথে বসে গেলাম। আমি দেখতে পেলাম, হযরত শায়েখের চেহারা ছুরতে … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!