যোগাযোগ–৩৪ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কুমুর পালাবার একটিমাত্র জায়গা আছে, এ বাড়ির ছাদ। সেইখানে চলে গেল। বেলা হয়েছে, প্রখর রৌদ্রে ছাদ ভরে গেছে, কেবল প্রাচীরের গায়ে এক জায়গায় একটুখানি ছায়া। সেইখানে গিয়ে বসল। একটি গান মনে পড়ল, তার সুরটি আশাবরী। সে গানের আরম্ভটি হচ্ছে, “বাঁশরী হমারি রে”— কিন্তু বাকিটুকু ওস্তাদের মুখে মুখে বিকৃত বাণী— তার মানে বুঝতে পারা যায় না। … বিস্তারিত পড়ুন

মা, আবির এবং একটি হুইল চেয়ার

আবির নামের ছোট্ট ছেলেটি কিছুই বুঝতে চাচ্ছিলো না। ‘আমি মায়ের কাছে যাবো’ বলে কেবল ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলো। রূপা তাকে নানাভাবে বোঝাতে চেষ্টা করছিলো- ‘একটু পরই তোমার মা চলে আসবে বাবা’, কিন্তু সে কিছুতেই ভাত মুখে তুলল না। হুইল চেয়ারটা ধরে বারান্দায় নিয়ে গেল রূপা। বারান্দার ওপাশে খোলা মাঠ, সবুজ ঘাসে ছাওয়া। সেখানে তার বয়সী ছেলেরা … বিস্তারিত পড়ুন

দুষ্টপরী ,মিষ্টিপরী আর মোহনকুমার– দ্বিতীয় পর্ব

  অমনি খোঁজ পড়ল চারদিকে। দিঘির জলে হাপুস হুপুস সাতার কাটে কৈ ভোরযে হল ,ফেরার পালা মিষ্টি পরী কই ? মাঠের ওপাশ ঝাউবনটা খোঁজে এলাম ,নেই জোত্স্না রাতের আলোর মাঝে কে হারাল খেই! এদিক খোঁজ ,ওদিক খোঁজ নাম দিঘির জলে মাঠের উপর পলক বোলাও কোথায় গেল চলে ? কোথাও নেই মিষ্টি পরী। এদিক সূর্যটাও উঠি … বিস্তারিত পড়ুন

খ্যাতির বিড়ম্বনা …

এই যে ভাই, ছাদের ওপর কী করছেন? —আত্মহত্যা করব। —ওহ্, আচ্ছা। তাহলে সমস্যা নেই। কিন্তু সঙ্গে ক্যানেস্তারা কেন? —গায়ে আগুন লাগিয়ে তারপর ঝাঁপদেব; পুরোপুরি নিশ্চিত হতে এই ব্যবস্থা। —খুব সম্ভব কাজ হবে না। পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার উপায় এখন নেই রে ভাই। সময়টাই যে ও-রকম। —ভাবছেন, আমার কাজে বাধা পড়বে? —হ্যাঁ। ধরুন, ঝাঁপ দেওয়ার পর আটকে … বিস্তারিত পড়ুন

সত্যের সাম্পান —কায়েস মাহমুদ

রাতের পরই আসে দিন। আঁধারের পরই আসে আলো। যখন উদিত হয় সূর্য তখন চারদিক কী ফকফকা! তেমনি একটি জীবন -আলোকিত জীবন। নাম – হযরত উবাই (রা)। হযরত উবাই বদর থেকে নিয়ে তায়িফ অভিযান পর্যন্ত রাসূলুল্লাহর (সা) জীবদ্দশায় যত যুদ্ধ হয়েছে তার প্রত্যেকটিতে যোগদান করেন সাহসের সাথে। কুরাইশরা বদরে পরাজিত হয়ে মক্কায় ফিরে প্রতিশোধ নেওয়ার তোড়জোড় … বিস্তারিত পড়ুন

পরীক্ষা || সুমন্ত আসলাম

বাতেন সাহেব অফিস থেকে বাসায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে রাবিদ বলল, ‘বাবা, জরুরি কিছু কথা আছে তোমার সঙ্গে। তুমি জামা-কাপড় খুলে ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি কম্পিউটারটা বন্ধ করে আসি।’ কিছু বললেন না বাতেন সাহেব। ছেলের চঞ্চলতা দেখে সামান্য হাসলেন। ঘরে ঢুকে সোফায় বসে জুতোর ফিতা খুলতে খুলতে স্ত্রীকে বললেন, ‘নিতু, তোমার ছেলের কী হয়েছে বলো তো?’ … বিস্তারিত পড়ুন

গৃহদাহ– শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় –ষড়্‌‌বিংশ পরিচ্ছেদ

অচলার সমস্ত কাজকর্ম, সমস্ত ওঠা-বসার মধ্যেও নিভৃত হৃদয়তলে যে কথাটা অনুক্ষণ জ্বালা করিতেই লাগিল, তাহা এই যে সুরেশের মনের মধ্যে একটা প্রকাণ্ড পরিবর্তন কাজ করিতেছে, যাহার সহিত তাহার নিজের কোন সম্বন্ধ নেই। যে উদ্দাম ভালবাসা একদিন তাহারই মধ্যে জন্মলাভ করিয়া বর্ধিত হইয়া উঠিয়াছে, সে আজ জীর্ণ আশ্রয়ের ন্যায় তাহাকে ত্যাগ করিয়া অন্যত্র যাত্রা করিয়াছে। আপনাকে … বিস্তারিত পড়ুন

শেষের কবিতা–দশম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

শেষের কবিতা

গল্পের ১১তম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন দ্বিতীয় সাধনা তখন অমিত ভিজে চৌকির উপরে এক তাড়া খবরের কাগজ চাপিয়ে তার উপর বসেছে। টেবিলে এক দিস্তে ফুল্‌স্ক্যাপ কাগজ নিয়ে তার চলছে লেখা। সেই সময়েই সে তার বিখ্যাত আত্মজীবনী শুরু করেছিল। কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলে, সেই সময়েই তার জীবনটা অকস্মাৎ তার নিজের কাছে দেখা দিয়েছিল নানা রঙে, … বিস্তারিত পড়ুন

আজব বাড়ি

।। উত্তর কোরিয়াতে অবস্থিত একটি বাড়ির কথা আজ বলব ।। বাড়িটাকে ঘিরে একটি রহস্য দানা বেঁধে আছে।। অনেকেই তাকে বলে পোড়া ভূতের বাড়ি।। অনেকেই বলে অভিশপ্ত।। এর পিছনের ঘটনা তুলে ধরছি।। এই বাড়ির তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকতো একজন সরকারি কর্মজীবী।। লোকটা, তার স্ত্রী, এবং এক মেয়েকে নিয়েই তাদের পরিবার ছিল।। একদিন খুব রাতে পার্টি করে … বিস্তারিত পড়ুন

তৈলচিত্রের ভূত- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

রহস্য গল্প

একদিন সকাল বেলা পরাশর ডাক্তার নিজের প্রকাণ্ড লাইব্রেরিতে বসে চিঠি লিখছিলেন। চোরের মতো নিঃশব্দে ঘরে ঢুকে নগেন ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়ে তার টেবিল ঘেঁষে দাঁড়াল। পরাশর ডাক্তার মুখ না তুলেই বললেন, বোসো, নগেন। চিঠিখানা শেষ করে খামে ভরে ঠিকানা লিখে সেটি ডাকে পাঠিয়ে দিয়ে তবে আবার নগেনের দিকে তাকালেন। বসতে বললাম যে? এ রকম চেহারা … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!