বিবি দিয়ে ধরে নিন

সেদিন রাজ-বাড়িতে কি একটা কাজ ছিল সেজন্য গোপাল খুব সেজে গুজে রাজসবায় গেল।তার পরণে শান্তিপুরী জরিদার ধুতি,গরদের জামা,গায়ে কাশ্মিরী শাল,পায়ে চকচকে পামসু,হাতে ছড়ি। এই রকম পোষাক—পরিচ্ছেদে সেজে গোপাল রাজসবায় ঢুকতে যাবে হঠাৎ প্রধান প্রবেশ পথে একনজনের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল গোপালের । এই লোকটি গোপালকে দেখত পারতনা।সব সময় গোপালকে ঠকাবার চেষ্টা করত।সে গোপালকে এই রকম … বিস্তারিত পড়ুন

মগার গল্প

কুসুমপুর গাঁয়ে বাস ছিল এক গরীব তাঁতির। সে ছিল বেজায় বোকা। সবাই তাকে মগা বলে ডাকত। মগা মানে কিনা বোকা! গাঁশুদ্ধু লোকে মগার পেছনে লাগত, তাকে নিয়ে মজা করত। বোকাসোকা মগা কাজকম্ম বিশেষ পারত না। বৌ বাড়ি বসে তাঁতে গামছা বুনত, মগা মাঝেসাঝে হাটে গিয়ে সেই গামছা বিক্রি করে আসত। বাকি সময় টো টো করে … বিস্তারিত পড়ুন

শব্দ— বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

সচরাচর শব্দ প্রতি সেকেণ্ডে ১০৩৮ ফিট গিয়া থাকে বটে, কিন্তু বের্থেম ও ব্রেগেট নামক বিজ্ঞানবিৎ পণ্ডিতেরা বৈদ্যুতিক তারে প্রতি সেকেণ্ডে, ১১,৪৫৬ ফিট বেগে শব্দ প্রেরণ করিয়াছিলেন। অতএব তারে কেবল পত্র প্রেরণ হয়, এমত নহে; বৈজ্ঞানিক শিল্প আরও কিছু উন্নতি প্রাপ্ত হইলে মনুষ্য তারে কথোপকথন করিতে পারিবে। * মনুষ্যের কণ্ঠস্বর কত দূর যায়? বলা যায় না। … বিস্তারিত পড়ুন

সবুরে মেওয়া ফলে

কোন এক রাজবাড়ী। রাজবাড়ীর অন্দরে চলছে গানের জলসা। কিন্তু গায়করা গানের আসরকে ঠিক জমাতে পারছেন না। ফলে তেমন পুরস্কার আসছে না। ওদিকে আসর না জমলে, গান পছন্দ না হলে পুরস্কার তো দূরের কথা শাস্তি অবধারিত। এখন উপায় কি? গায়কদের মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে, এমাবস্থায় প্রধান গায়ক একটা গান ধরলেন। গানটির মর্মার্থ হল –পাণপণ চেষ্টা করে গেলে … বিস্তারিত পড়ুন

ইন্তেজারি

ফুলতারার ঘোর কাটে না। কাটে শুধু তার দিনরাত; ঘোরের মধ্যে। সময় নাই অসময় নাই আধাঘুম-আধাজাগায় মন্থর অলসতার ঘোর, ঘুষঘুষে জ্বরের যাওয়া-আসার মাঝে তন্দ্রার মতোন এক ঘোর, কপালে জলপট্টি-গলায় মাফলার-গায়ে কাঁথার ভাসাভাসা ঘোর, অর্ধেক দেখার পর টুটে যাওয়া মধুর খোয়াবের মোহমুগ্ধতার এক ঘোর– তাকে জড়িয়ে রাখে দিনের পর দিন। ঘোরের মধ্যেই সে চাঁদসূর্য-মেঘরৌদ্র দেখে, ঘরঘাটউঠানে চলেফিরে, … বিস্তারিত পড়ুন

বার বছর বয়সী এক বালকের ঘটনা

এক বুজুর্গ বর্ণনা করেন, এক বছর হজ্জের মৌসুমে বেশ গরম পড়েছিল। হেজাজের পথ অতিক্রমের সময় আমি কাফেলা হতে পৃথক হয়ে এক স্থানে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। হঠাত ঘুম থেকে জেগে দেখতে পেলাম, কোথা থেকে এক বালক এসে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। বালকের রূপ লাবণ্য ছিল পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল। আমি তাকে সালাম দিলাম। বলক সালামের জবাব … বিস্তারিত পড়ুন

পিশাচ কাহিনীঃ রক্তখেকো ডাইনী — শেষ পর্ব

দশ গাড়ি চলছে।আমি গাড়ি চালাচ্ছি, আমার পাশে বসে আছে শরীফ আর পেছনের সীটে নাঈম। -আচ্ছা, কষ্ট করে কেউ বলবি আমাকে ব্যাপারটা কি? আমাকে এভাবে অফিস থেকে ডেকে নিয়ে আসলি কেন? আর আমরা যাচ্ছিই বা কোথায়? -নাইসার গ্রামের বাড়িতে।আমি জবাব দিলাম। -কেন? -কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে। -কেন? নাইসা কি পরকীয়া করছে? নাঈমের কথা শুনে এমন সিরিয়াস … বিস্তারিত পড়ুন

যোগাযোগ–২৭ তম অংশ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  সন্ধে হয়ে এল, সেদিন কুমুকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। শেষকালে দেখা গেল, ভাঁড়ারঘরের পাশে একটা ছোটো কোণের ঘরে যেখানে প্রদীপ পিলসুজ তেলের ল্যাম্প প্রভৃতি জমা করা হয় সেইখানে মেজের উপর মাদুর বিছিয়ে বসে আছে। মোতির মা এসে জিজ্ঞাসা করলে, “এ কী কাণ্ড দিদি?” কুমু বললে, “এ বাড়িতে আমি সেজবাতি সাফ করব, আর এইখানে … বিস্তারিত পড়ুন

ধার্মিক স্বর্ণকারের গল্প

এক শহরে বাস করতো এক স্বর্ণকার। লোকটা ছিল বেশ ধার্মিক ও সৎ। প্রতিদিন সূর্য ওঠার আগেই সে তার কাজে চলে যেত। তার দোকান ছিল শাসকের প্রাসাদের সামনে। দোকান খোলার আগে প্রতিদিন ওই স্বর্ণকার আকাশের দিকে দু’হাত তুলে মোনাজাত করে বলতো: ‘হে মহাজ্ঞানী, রিযিকদাতা! হে ক্ষমাকারী! তুমি তো অসীম ক্ষমতার অধিকারী! সকল কিছুর ওপরে তুমি সর্বশক্তিমান। … বিস্তারিত পড়ুন

তিন ভাইয়ের কাহিনী– কাজাখ লোককাহিনী-৩য় পর্ব

গল্পের চতুর্থ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন। আর কোন সন্দেহই রইল না যে মেষপালকই সত্যকথা বলেছে। বিচারক তাকে তার অর্থ ফিরিয়ে দিল আর চোরটিকে প্রহরাধীনে রাখার আদেশ দিল । দ্বিতীয় দিনে মেজ তাই বিচারের কাজ চালাতে লাগল। বোঝাইকরা বস্তার মত প্রচন্ড মোটা এক জমিদার এল এক গরীবদুঃখী লোককে জামা ধরে টানতে টানতে নিয়ে । জমিদার … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!