দেনা-পাওনা– শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় — পঞ্চম অংশ

ম্যাজিস্ট্রেট-সাহেবের ঘোড়ার ক্ষুরের শব্দ ক্রমশঃ ক্ষীণ হইয়া আসিল, পুলিশ-কর্মচারীও আপনার অনুচরগণকে স্থানত্যাগের ইঙ্গিত জ্ঞাপন করিলেন—এইবার তারাদাসের নিজের অবস্থাটা তাহার কাছে প্রকট হইয়া উঠিল। এতক্ষণ সে যেন এক মোহাবৃত প্রগাঢ় কুহেলিকার মধ্যে দাঁড়াইয়া ছিল, হঠাৎ মধ্যাহ্ন-সূর্যকিরণে তাহার বাষ্পটুকু পর্যন্ত উড়িয়া গিয়া দুঃখের আকাশ একেবারে দিগন্ত ব্যাপিয়া ধূধূ করিতে লাগিল। যতদূর দৃষ্টি যায় কোথাও ছায়া, কোথাও আশ্রয়, … বিস্তারিত পড়ুন

ঝানু চোর চানু-উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী-২য় অংশ

পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে জমিদারমশায় প্রথমেই কি দেখলেন? তাঁর বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়েই চানু ঘোড়ায় চড়ে যাচ্ছে, আর তার ঘোড়ার পিছনে পিছনে অপর পাঁচটা ঘোড়াও চলেছে। জমিদারমশায় অবাক হয়ে রইলেন। মনে মনে বললেন, ‘গোল্লায় যা তুই চানু, আর যাদের চোখে ধুলো দিয়েছিস সে বেচারারাও গোল্লায় যাক।’ আস্তাবলে গিয়ে সহিস বেটাদের জাগতে জমিদারমশায়কে বেগ … বিস্তারিত পড়ুন

ভারতের মুম্বাইয়ের এক দানশীল শেঠ এর কবরে একটি ভয়ানক সাপ, শেঠ এর জিহবা কামড়ে বাইরে বের করার জন্য টানছিল

ভারতের মুম্বাই শহরে একজন শ্রদ্ধেয় শেঠ ছিলেন । তার ব্যবসা ছিল বেশ ব্যপক । অর্থসম্পদ ছিল অঢেল অফুরন্ত । তিনি যে ব্যবসা শুরু করতেন ওতেই লাভবান হতেন । তিনি ছিলেন বেশ দানশীল । এতিমদের, বিদবাধের অর্থ সাহায্য করতেন । অনেকের জন্য মাসিক ভাতারও ব্যবস্থা করেছিলেন । সরকারের বিভিন্ন খয়রাতি কর্মসূচি বাস্তবায়নেও আর্থিক সহায়তা ছিল । … বিস্তারিত পড়ুন

হালালে হারাম

গাড়িগুলো বাড়ি ফিরছে পিচঢালা পথের বুক ছুয়ে পাখির মত উড়ে উড়ে ।পেছনের গাড়ির আলো যত দূর অতি সহজে চলে যায় ঠিক সেখানটাই অতিক্রম করা যেন গাড়ি গুলোর এক নেশা । ব্রিটেনের এই শহরটা সবসময় এতই চুপচাপ থাকে যে কয়েকটা খাল নালা তাদের বুকের পানি নিয়ে সারাক্ষন খেলা করেও চারদিক মুখর করে তুলতে পারে না । … বিস্তারিত পড়ুন

এক কাফন চোরের ঘটনা

আবু ইসহাক (র.) বলেন, একজন লোক অধিকাংশ সময় আমাদের মজলিস এ বসে থাকত এবং চেহারা অর্ধেক চাদর বা রুমাল দিয়ে ঢেকে রাখত । একদিন আমি তাকে জিজ্ঞাস করলাম, তুমি আমদের সাথে সবসময়ই বস । আর চেহারার অর্ধেক ঢেকে রাখ, এর কারন কি? সে লোকটি আমার কাছে এসে ওয়াদা নিল, যেন আর কাউকে তার কথা না … বিস্তারিত পড়ুন

বউ-ঠাকুরানীর হাট–তৃতীয় পরিচ্ছেদ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বিজন পথ দিয়া বিদ্যুদ্‌‍বেগে যুবরাজ অশ্ব ছুটাইয়া চলিয়াছেন। অন্ধকার রাত্রি, কিন্তু পথ দীর্ঘ সরল প্রশস্ত বলিয়া কোনো ভয়ের আশঙ্কা নাই। স্তব্ধ রাত্রে অশ্বের খুরের শব্দে চারিদিক প্রতিধ্বনিত হইতেছে, দুই-একটি কুকুর ঘেউ-ঘেউ করিয়া ডাকিয়া উঠিতেছে, দুই-একটা শৃগাল চকিত হইয়া পথ ছাড়িয়া বাঁশঝাড়ের মধ্যে লুকাইতেছে। আলোকের মধ্যে আকাশের তারা ও পথপ্রান্তস্থিত গাছে জোনাকি; শব্দের মধ্যে ঝিঁঝিঁ পোকার … বিস্তারিত পড়ুন

উড়ন্ত ক্যাঙ্গারু

কত্তো—দিন আগের কথা, সে আর মনে নেই; তবে পৃথিবী তখন কিছুদিন হল তৈরী হয়েছে। একদিন উঠল এক বিশাল ঝড়, জল-স্থলের উপর দিয়ে প্রচণ্ডবেগে ধেয়ে গেল। এতো রেগে ছিল ঝড়টা যে তার পথে যা কিছুই পড়ল, সব কিছুকেই নির্দয়ভাবে ধ্বংস করে দিল সে। কেউ কেউ বলল, এরা হল ঊনপঞ্চাশ পবনের ছেলেপুলের দল যারা সর্বদাই প্রকৃতির নিয়মের … বিস্তারিত পড়ুন

রহস্যের আড়ালে

চার নম্বর গলিটায় ঢুকতেই কারেন্ট চলে গেল। মুহূর্তেই যেন ধুপ করে নেমে এলো একরাশ অন্ধকার। দুপাশে দুটো বড় বড় বিল্ডিং। মাঝখান দিয়ে একটা বহুদিনের রোগীর হাড় শিরশিরে রাস্তাটায় দিয়ে অনুমানের উপর মুখস্থ হাটা ধরলাম আমি। কিছুই দেখা যাচ্ছেনা। চোখের কাছে হাতটা এনে কিছুক্ষণ নাড়ালাম। নাহ! হাতের যেন অস্তিত্বই নেই। তীব্র অন্ধকারে যেন হারিয়েই গিয়েছি। পকেটে … বিস্তারিত পড়ুন

কবর দেওয়ার পর পিতা দেখলেন, তার মেয়ে উলঙ্গ অবস্থায় ধনুকের মত বেঁকে আছে আর তার চুল দিয়ে দুই পা বাঁধা

১৪১৪ হিজরীর শাবান মাসের শেষ শুক্রুবার। আমার এক বন্ধু করাচীর কুরুঙ্গি এলাকার একটি ঘটনা আমাকে জানালো। সে শপথ করে বললো, আমি যা বলছি একটি শব্দও মিথ্যা নয়। আমার এক আত্নীয়ের যুবতী মেয়ে হঠাত মারা গেল। সে মেয়েটি কবর দেওয়ার সময় কবরে তার পিতাও নেমেছিলেন। ঘরে ফেরার পর তার মনে পড়লো, তার হ্যান্ডব্যাগ কবরে রয়ে গেছে। … বিস্তারিত পড়ুন

মায়া–আনোয়ারা সৈয়দ হক

লোকটার নাম বুড়ো আর মহিলার নাম বুড়ি। বয়সেও তারা বর্তমানে বুড়ো ও বুড়ি। একজনের বয়স পঁচাত্তর, আরেকজনের সত্তর। জাগতিক জীবনের সব কাজ মোটামুটি তাদের সারা হলেও তাদের মনে কোনো স্বস্তি নেই। সেই হিসাবে শান্তিরও কিছু অভাব। এর প্রতিফলন ঘটে ভোরবেলায়। যখন তারা দুজনে নামাজ পড়ার জন্যে ভোরে বিছানা ছাড়ে। নামাজ পড়া তো একটু পরেই শেষ … বিস্তারিত পড়ুন

দুঃখিত!